Dr.Liakat Ali

Published:
2023-05-27 15:27:14 BdST

হজের জন্য সস্তায় সৌদি রিয়াল কিনতে গিয়ে ৯ লাখ টাকা দিয়ে  কাগজের পোটলা পেলেন হতভাগ্য ডাক্তার


ধৃত সৌদি রিয়াল ব্যবসায়ী চক্র

 

সংবাদ দাতা
__________________
হজের জন্য অতি সস্তায়
সৌদি রিয়াল কিনতে গিয়ে দারুণ ভাবে প্রতারিত হয়েছেন একজন প্রবীণ ধর্মপ্রাণ ডাক্তার। ৯ লাখ রিয়ালের কথা বলে গামছা দিয়ে মোড়ানো একগাদা কাগজের টুকরা তাঁকে ধরিয়ে দিয়ে ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে প্রতারক চক্র।
অবশ্য পুলিশের তৎপরতায়
গ্রেপ্তার হয়েছে রিয়াল ব্যবসায়ী চক্র। এরা হলো– লিয়াকত (৩৫), মিরাজ তালুকদার (৫০), আহাদ শেখ (৫৮), হায়দার মৃধা (৫৭), মফিজুল মিয়া (৩৫) এবং ইমারাত মোল্লাকে (৬১)।

তাদের মধ্যে লিয়াকতকে গত ২১ মে এবং বাকিদের বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান।
মিডিয়ার কাছে
তিনি বলেন, এই চক্রটি অন্যদেশের মুদ্রা দেখিয়ে কৌশলে মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল। সম্প্রতি মাহবুবুল আলম নামের এক বয়স্ক চিকিৎসক এ চক্রের প্রতারণার শিকার হয়ে ৯ লাখ টাকা খোয়ান।

প্রতারক চক্র তাঁকে অাটঘাট বেঁধে টার্গেট করেছিল।
কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় চক্রের এক ব্যক্তি সৌদি রিয়াল কোথায় ভাঙানো যাবে তা জানতে চান ডা মাহবুবুল আলমের কাছে। তিনি একটি মানি এক্সচেঞ্জ দেখিয়ে দিলে ওই ব্যক্তির অনুরোধে মাহবুবুলও সেখানে যান।

সেই মানি এক্সচেঞ্জ থেকে ১০০ রিয়াল ভাঙিয়ে বের হওয়ার সময় ওই ব্যক্তি ডা মাহবুবুলকে বলেন, তার কাছে আরও অনেক সৌদি রিয়াল আছে। যার পরিমান ৯লাখ। সেটা মানি এক্সচেঞ্জের চেয়ে বেশ কম দামে মাত্র ৯ লাখ টাকায় তিনি দিতে পারবেন।

পুলিশ কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ বলেন, বোন হজে যাবে বলে ওই লোকের কাছ থেকে সৌদি রিয়াল নিতে আগ্রহী হন ডা মাহবুবুল। সেই ব্যক্তি নিজের নাম সিরাজ বলে মোবাইল নম্বর দিয়ে চলে যায়।

প্রায় দুই সপ্তাহ পর ১ মার্চ সিরাজ নামের ওই ব্যক্তির ফোন পেয়ে ৯ লাখ টাকা নিয়ে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের একটি ভবনের নিচে যান ডা মাহবুবুল। সেখানে তাকে একটি ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে ৯ লাখ রিয়াল আছে বলে জানায় সিরাজ, সে সময় আরো দুজন ছিল তার সঙ্গে।


উপ-কমিশনার শহীদুল্লাহ বলেন, সরল বিশ্বাসে চিকিৎসক ৯ লাখ টাকা ওই প্রতারকদের হাতে তুলে দেন এবং তাদের দেওয়া ব্যাগটি নিয়ে বাসায় চলে আসেন। বাসায় এসে খুলে দেখেন টাকা বা রিয়ালের আদলে কাগজ ভাঁজ করে গামছা দিয়ে মোড়ানো রয়েছে।

চিকিৎসক মাহবুবুল তখন বনানী থানায় মামলা করেন। ওই মামলার প্রেক্ষিতে বনানী থানা পুলিশ গত ২১ মে গোপালগঞ্জ জেলা থেকে লিয়াকত (৩৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় চক্রের পাঁচজনকে।

পুলিশ কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ বলেন, “তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অত্যন্ত সুকৌশলে এ ধরনের প্রতারণা করে আসছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।”

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়