SAHA ANTAR

Published:
2020-10-22 14:59:18 BdST

মাথা ব্যথা থেকে বাঁচতে ৫টি মোক্ষম পরামর্শ


 

ডেস্ক/ সংবাদ সংস্থা
____________________

মাথা ব্যথা হচ্ছে কি মাঝে মাঝেই? তাহলে কি করবেন। ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন অবশ্যই। যে কোন স্বাস্থ্য সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ও তা মেনে চলা সুস্বাস্থ্য বিধির মূল নিয়ামক।

 


জনমন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিদ্যার সহযোগী অধ্যাপক , ওসিডি ও জেরিয়াট্রিক কনসালটেন্ট , ডা. সুলতানা আলগিন বলছেন,

মাথা ব্যথা হলেই মারাত্মক দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু সাবধান হতে হবে অবশ্যই।

ডাক্তারদের মতে, মাথা ব্যথার ডাক্তারি চিকিৎসা নেওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু স্বাস্থ্য বিধি নিয়মিত পালন করলে উপশম আরও কার্যকর হবে।

প্রথমে কয়েকটি সহজ নিয়ম মানুন। চোখ বন্ধ করে কিছু ক্ষণ আরাম নিন।

যন্ত্রণা কমাতে হালকা মাসাজ করতে পারেন। উগ্র গন্ধ থেকে দূরে থাকুন।

মেয়াদী সমস্যা এড়াতে উদ্বেগ , দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন।

চা কফি খেলে মাধা ধরা কাটবে, এরকম বাধ্য বাধক চিন্তায় বিশ্বাস করবেন না। হুটহাট প্যারাসিটামল খাবেন না। প্যারাসিটামল বা অন্য কোন ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে খাবেন না।

এবার বিস্তারিত কিছু কথা।

এটাও মনে রাখতে হবে,
সামান্য মানসিক চাপ পড়লেই মাথা দপদপ, রগের দু’পাশ ধরে যন্ত্রণা, নইলে মাথা-ঘাড় জুড়ে ব্যথা। মাইগ্রেন বা সাইনাস না থাকলেও এই রকম মাথা যন্ত্রণার শিকার হয়ে থাকেন অনেকেই। মাথা ব্যথা কিন্তু শরীরের অন্য কোনও সমস্যারও ইঙ্গিত বহন করে। তাই মাথা ব্যথার অনুষাঙ্গিক অন্য কোনও সমস্যা যোগ হলে আজই সাবধান হোন।

সর্দিতে মাথা যন্ত্রণা হওয়া আর মাঝে মাঝেই মাথা ব্যথায় কাবু হয়ে পড়া এক জিনিস নয়। মাথা যন্ত্রণার সঙ্গে ঝাপসা দেখা বা চোখ থেকে জল পড়ার মানে দৃষ্টিশক্তির সমস্যাও হতে পারে। আবার এর সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা চোখে অন্ধকার দেখার অর্থ কিন্তু মস্তিষ্কের স্নায়ুগত কোনও সমস্যাও হতে পারে। অনেকেরই মাথার সঙ্গে ঘাড়ে ব্যথা, গা-বমি ভাব এ সবও হয়ে থাকে, তখন আবার ইঙ্গিত যায় মাইগ্রেনের দিকে। আবার মাথার পিছন দিকে ঘন ঘন অসহ্য যন্ত্রণা কিন্তু কোনও টিউমার জাতীয় অসুখ থেকেও হতে পারে।

তাই মাঝে মাঝেই মাথা ব্যথা হলে সচেতন হতে হবে বইকি। কপাল জুড়ে মাথা যন্ত্রণা, না কি মাথার পিছন দিকে ধীরে ধীরে ব্যথা ছড়িয়ে পড়া— ঠিক কী ভাবে আর কোথায় যন্ত্রণা হচ্ছে তার উপরেও নির্ভর করে চিকিৎসা। তাই মাথা যন্ত্রণায় বার বার ভুগলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কিন্তু সব সময় চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার সুযোগ বা সময় হয় না, আবার ওষুধ খেলেই যে সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা কমে যায় এমনটাও নয়।


১.
আরাম পেতে আধ ঘণ্টা চোখ বুজে বিশ্রাম নিন।

অনেকেই মাথা যন্ত্রণা কমাতে প্যারাসিটামল বা বেদনানাশক ওষুধ খান। যখন তখন সে সব ওষুধ খাওয়া শরীরের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। তাই কিছুটা ঘরোয়া উপায়ও অবলম্বন করতে হয় আমাদের। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে এই সব উপায় মেনে চললেও মাথা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলবে। তবে তা বলে চিকিৎসাকে অবহেলা করবেন না যেন!
২.
কফি ও চা-এ না: মাথা যন্ত্রণা হলেই চা বা কফির উপর নির্ভর করেন অনেকেই। আমাদের ধারণা চা বা কফি মাথাব্যথা সারায়। আসলে কফির ক্যাফিন স্নায়ুকে উদ্দীপ্ত করে ফলে ব্যথা কমেছে বলে মনে হয়। সে ধারণা ভুল। উল্টে মাথা ব্যথা সারাতে বেশি মাত্রায় চা-কফি শরীরের অন্য জটিলতা ডেকে আনতে পারে ও ক্যাফিন নির্ভর করে তুলতে পারে, যা ক্ষতিকর।
৩.
নিরুদ্বেগ বিরাম: মাথা যন্ত্রণার বাড়বাড়ি হলে কখনও কাজের মধ্যে থাকবেন না। সম্ভব হলে অন্ধকার ঘরে চোখ বুজে বসে থাকুন। চেষ্টা করুন পছন্দের গান শুনতে। এসি চালাবেন কি না তা নির্ভর করবে ঘরের আবহাওয়া কেমন পছন্দ করবেন তার উপর। আধ ঘণ্টা চোখ বুজে বিশ্রাম নিতে নিতে কোনও রকম মোবাইল চেকিং, গেম খেলা, টিভি দেখা এ সব করবেন না।
৪.
উগ্র গন্ধ থেকে দূরে থাকুন।
, ধূপধুনো বা রুম ফ্রেশনারের উগ্র গন্ধ থেকেও মাথা যন্ত্রণার সূত্রপাত হতে পারে। এমন হলে সে সব গন্ধ থেকে এই সময়টা দূরেই থাকুন। সাবান, ময়শ্চারাইউজারের গন্ধও এড়িয়ে চলুন এ ই সময়।
৫.
মাসাজ: মাথা যন্ত্রণার ঘন ঘন প্রভাব এড়াতে ফিটনেস এক্সপার্টদের সঙ্গে পরামর্শ করুন। মাথা যন্ত্রণা কমার কিছু মাসাজ আছে। ঘাড়ের ব্যায়াম, প্রাণায়ম এ সব থেকেও অনেক রকম মাথা যন্ত্রণা কমে।

 

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়