Ameen Qudir

Published:
2018-08-22 15:34:02 BdST

২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের স্মৃতির প্রতি জানাই অতল শ্রদ্ধা


 

 

ডা. কামরুল হাসান সোহেল
_______________________________

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের ইতিহাসের আরেকটি কলঙ্কজনক ও রক্তাক্ত দিন এটি। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। ৩০ বছর পর সেই আগস্ট মাসেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা করা হয়। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালে ২১ শে আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামীলীগের সমাবেশে নারকীয় এই গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে।। দেশের বিভিন্ন স্থানে বোমা-গ্রেনেড হামলা ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগ এক সমাবেশের আয়োজন করে। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ট্রাকের ওপর স্থাপিত মঞ্চে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা তার বক্তব্য শেষ করার পর পরই বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে অতর্কিতে চারিদিক থেকে গ্রেনেড এসে পড়তে থাকে।
ওই সময় মঞ্চে উপবিষ্ট দলের জাতীয় নেতারা পরিস্থিতি বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে মানববর্ম রচনা করে সভাপতি শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেন।।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে সেদিন শুধু গ্রেনেড হামলাই চালানো হয়নি, তিনি যখন গাড়িতে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করছিলেন, তখনও তাকে লক্ষ্য করে গাড়িতে গুলি চালানো হয়েছিলো।

সেই দিনের সেই চিত্র ছিল ইতিহাসের নারকীয় ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি। অল্পের জন্য যদি ও শেখ হাসিনা রক্ষা পেয়েছিলেন কিন্তু চারিদিকে মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়ে গিয়েছিল সেই দিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউ। চোখের সামনে এখনো ভেসে উঠে লাশের সারি, আহত মানুষের আত্মচিৎকার, একটু বেচে থাকার আকুতি।

এই বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় ৪শ’ জন আহত হন। আহতদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন। তাদের কেউ কেউ আর স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাননি।।

২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি জানাই অতল শ্রদ্ধা।
_____________________
ডা. কামরুল হাসান সোহেল:
আজীবন সদস্য, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ , কুমিল্লা জেলা।
কার্যকরী সদস্য at স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ
আজীবন সদস্য,বিএমএ কুমিল্লা।
সেন্ট্রাল কাউন্সিলর, বিএমএ কুমিল্লা

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়