Ameen Qudir
Published:2016-12-07 03:16:25 BdST
মেয়েদের চিন্তার এ পিঠ , ও পিঠ
সাদিয়া
আফরিন
রিংকী
__________________
কিছু মেয়ের চিন্তা গুলো এমন
আরে পইড়া কি করমু!দুইদিন পর তো বিয়াই হইয়া যাইব।জামাই ইনকাম করব..আমার আর কিসের কষ্ট!"
_____
আমি অনেক সুন্দরী...সিওর ভাল জায়গায় বিয়া হইব।এত্ত কাজ শিখা লাভ নাই।"
____________
আমার বড়লোক ছেলে দরকার..যে আমাকে রানীর মত সাজাইয়া রাখব।কোন অভাব থাকব না ।
.________________
আমি একটা মেয়ে তাও বলব...এসব ছোট্ট চিন্তা তোমায় মানায় না!
কিছু ঘটনা বলি....
#জামাই সারা রাত বসে অফিসের কাজ করবে...ঐ সময় তুমি বলবা" ঘুমিয়ে পড়"
তার উওর কি হবে জানো?
খানিকটা ধমকের স্বরেই বলবে"তুমি এসবের কি বুঝ!আমি অনেক important কাজ করছি।বিরক্ত করো না তো!যাও ঘুমোও!
.
____________
যখন চা বানাতে গিয়ে চিনি বেশী দিয়ে ফেলবা অথবা রান্না করতে গিয়ে সব পুড়িয়ে ফেলবা...শশুড় বাড়ির লোক বলবে"মা বাপ কিচ্ছু না শিখাইয়া বিয়া দিছে।সামান্য রান্নাই করতে পারে না।তখন জামাই বলবে"তোমার সোন্দৌর্য ধুইয়া কি পানি খামু!তুমি তো দেখতেছি কোন কাজেরই না!
.
___________________
তুমি শপিং করতে পচ্ছন্দ কর!জামাই বলবে"টাকা কি গাছে ধরে?এখন থেকে আমার টাকা দিয়া যা করবা সব কিছুর হিসাব নিব।"
.
____________
আচ্ছা ধরে নিলাম তুমি সোনার চামচ মুখে নিয়া জন্মাইছো!তাই তোমার ভাগ্যটাও ভাল হবে।তোমার শশুড় বাড়ির মানুষ গুলা খুবই ভাল...আর সাথে জামাইটাও!
ভাগ্যের ওপর কারো হাত নেই গো মেয়ে...ভাগ্য প্রতিটি মুহূর্তে বাদলায়!তোমাদের বিয়ের কয়েক বছর পর ধর তোমার দুইটা বাচ্চা থাকা অবস্থায় স্বামী মরে গেল!
আমাদের সামাজের অবস্থাটা এমন....স্বামী মারা গেলে শশুড় বাড়িতে মেয়েটাকে থাকতে দেয় না!জানোই তো!
তখন দুইটা বাচ্চা নিয়া কই উঠবা?
তাদের কি খাওয়াবা?
ও আচ্ছা!মা বাবার বাড়ি উঠবা!
ভাল!
ওইখানে শান্তি পাবা?
আশে পাশের লোক আইসা বলবে"বিয়ার পরেও মেয়ে বাপের বাড়ি থাকে!"
এসব কথা শুনতে পারবে তো?
একটুও কি কষ্ট হবে না?
শোন,তুমি যখন এসব নিয়ে
ভেতরে ভেতরে কষ্টে
কাতরাতে থাকবে তখন বার
বার নিজেকে অসহায় মনে
হবে।আয়নার সামনে
দাড়িয়ে দেখ তো এমন
অসহায় অবস্থায় ছিলে
কোনদিন?
ওই লোক গুলো একবারও ভাব্বে না তুমি কতটা অসহায়!তোমার যোগ্যতা নাই ব্যাস...সেই মুহূর্তে নাওয়া খাওয়া সব বাদ! একদম সেই রকমের গবেষনা শুরু!দোষ না থাকলেও মাটি খুইরা কই কই থেইকা যে দোষ বের করবে তুমি কল্পনাও করতে পারবা না।
.
_____________
এখন অন্য কথা বলি....
কোন কাজই ছোট না।প্রতিটি কাজের সঠিক মূল্য আছে!তুমি বড়লোক,সুন্দরী বা ভাল চাকরি ওয়ালা পাত্রের সাথে বিয়ে হবে বলে সামান্য কাজের ভারে তোমার মান-সম্মান চলে যাবে এসব ভুল ধারনা।ছোটবেলা থেকে বেড়ে ওটা এইসব চিন্তা গুলোর জন্য একসময় অনেক সাফার করতে হবে।সবচেয়ে বড় কথা হল স্বনির্ভরশীল না হলে নির্দয় এই সমাজের এক কোনে পড়ে থাকবা...শুকনো ফুলের মত!
আত্নসম্মান বোধটাও পুড়ে ছাঁই হয়ে যাবে।তুমি আর তুমি থাকবে না মেয়ে!
যোগ্যতা থাকলে....ওদের কথার জবাব দিতে পারতে।মুখ লুকিয়ে...নিজের সত্বাকে প্রতিদিন হাজার বার করে গলা টিপতে টিপতে মারতে হত না!
মনে রেখ সব হারিয়েও ওই যোগ্যতা টুকুই তোমার বেঁচে থাকার শেষ পুঁজি!
_____________________
সাদিয়া
আফরিন
রিংকী, সুলেখক ।
আপনার মতামত দিন: