Ameen Qudir
Published:2018-02-28 18:49:56 BdST
অনিমা বিশ্বাস হত্যা :দুই ছিনতাইকারীর প্রকাশ্যে ফাঁসি চান ডাক্তার সমাজ
লিখেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক
__________________________
ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স অনিমা বিশ্বাস হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া দুই ছিনতাইকারীর মৃত্যুদন্ড চান, প্রকাশ্যে ফাঁসি চান দেশের ডাক্তারসমাজ। তারা বলছেন , একমাত্র দ্রুত মৃত্যুদন্ডই অপরাধ নিয়ণ্ত্রণে সহায়ক হবে; এরকম কোন ঘটনা যেন আমাদের আর দেখতে না হয়। অনিমা বৌদির আত্মা নিশ্চয়ই শান্তি পাবে এ বিচার হলে।
দুই ছিনতাইকারী শরীফুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমান টিটু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
সোমবার বিকেলে ফরিদপুরের এক নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলীর কাছে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে তাদের ফরিদপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দে জানান, সোমবার বিকেলে আদালতের কাছে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা জানিয়ে ছিনতাইকারী শরীফুল ও হাবিবুর রহমান টিটু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি এ এফ এম নাসিম জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এখন পুলিশের কাজ হবে সাক্ষ্য ও প্রমাণসহ তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র উপস্থাপন করা।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স ও একই কলেজের নাক, কান ও গলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের স্ত্রী অনিমা বিশ্বাস এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সপরিবারে শহরের ঝিলটুলী এলাকার মির্জা টাওয়ারের বাসায় থাকেন।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাসা থেকে রিকশাযোগে অনিমা নিজ কর্মস্থল ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সামনের সড়কে মোটরসাইকেল আরোহী দুই ছিনতাইকারী তার ভ্যানিটি ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। এ সময় অনিমা রিকশা থেকে সড়কের ওপর পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা বিভাগে লাইফ সাপোর্টে অনিমা চিকিৎসাধীন ছিরেণ। সে অবস্থায় পাঁচদিন পর গত ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে চিকিৎসকরা অনিমার লাইফ সাপোর্ট খুলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে গত শনিবার নিহত অনিমার ভাই বাদি হয়ে কোতয়ালী থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা করেন। পুলিশ শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে জেলার আলফাডাঙ্গার পানাইল গ্রামের শ্বশুর বাড়ি থেকে শরীফুলকে এবং রবিবার ভোরে শহরের মোল্লাবাড়ি সড়কের ভাড়া বাড়ি থেকে তার সহযোগী টিটুকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে অনিমার কাছ থেকে ছিনতাই করা ভ্যানিটি ব্যাগ, মোবাইল ফোন ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল এবং ছিনতাইকারীদের পরিহিত জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়। আজ দুই আসামিই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা জানিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
আপনার মতামত দিন: