জ্যান্ত জেগে উঠল মর্গে : নির্ভয়ে পড়ুন সত্য কাহিনি

ডাক্তার প্রতিদিন
_______________________________

হাসপাতালের এক কর্মী মর্গের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন।হঠাৎ তিনি শুনতে পান মর্গের ভিতর থেকে কারও গলার আওয়াজ । কেউ যেন চিৎকার করছে।

অবাক সেই হাসপাতাল কর্মী। কে চেঁচাবে মর্গে। মর্গে তো লাশ থাকার কথা। লাশ চিৎকার দেয় কেমন করে।

যে ঠাণ্ডায় মৃত্যু আমাদের নশ্বর দেহটাকে পরম স্নেহে জড়িয়ে রাখে, সেখানে কেই বা এমন ভাবে চেঁচাবে? তবে কি তিনি ইহ জগতের কেউ নন? এমন ভাবনাই প্রথম মাথায় এসছিল ওই কর্মীটির।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি!

প্রবল সাহসী মানুষটা মর্গে প্রবেশ করেন । বুঝতে পারেন একটি রেফ্রিজারেটর-এর ভিতর থেকে ভেসে আসছে এই চিৎকার। সেখানে খানিক আগেই রাখা হয়েছে এক সদ্য মৃত পুলিশকর্মীর দেহ। তিনি দুরুদুরু বুকে টান দিয়ে খুলে ফেলেন রেফ্রিজারেটর। দেখতে পান, নগ্ন অবস্থায় রাখা দেহটি চোখ মেলেছে। শুধু তাই নয়, ঠাণ্ডায় কাঁপছে রীতিমত। ভয়ে এবং বিস্ময়ে কথা বন্ধ হয়ে আসে ওই কর্মীর। তারপর খেয়াল করেন, রেফ্রিজারেটরের মধ্যে থাকা মানুষটি কম্বল চাইছেন।

কোনওমতে সাহস সঞ্চয় করে তাঁকে ওই ঠাণ্ডা থেকে বের করে আনেন কর্মীটি। চিকিৎসককে খবরও দেন। চিকিৎসক এসে পরীক্ষা করে জানান, অত্যাধিক মদ্যপান করার ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাময়িকভাবে শ্বাসক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কামিল নামের ওই ব্যক্তির৷ মর্গেই তিনি ফের প্রাণ ফিরে পেয়েছেন৷

এরপর সুস্থ হয়ে কামিল হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। কিন্তু মৃত্যুকে ফাঁকি দিয়েও বাড়ি ফেরেননি তিনি। বরং হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মদ্যপানের জন্য ফের যোগ দেন বন্ধুদের আড্ডায়। মদ্য পানের নেশা যে কতটা মারাত্মক, তা ২৫ বছরের কামিল জানিয়ে দিয়ে গেল।

মাতালজীবনের এই সত্যি কান্ড পোলান্ডের একটি হাসপাতালের ।