Ameen Qudir

Published:
2017-12-11 01:57:49 BdST

"আমি এক হলুদ সাংবাদিক "


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 


ডা. শিরিন সাবিহা তন্বী
শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল।

_______________________________

অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে,আমি বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ডাক্তারী পেশা পরিবর্তন করে হলুদ সাংবাদিক হয়ে গেছি।।

আজকের গুরুত্বপূর্ন খবর।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একদল কসাই যারা নিজেদের মেধাবী বলে ভাবে,তারা রুগীর সাথে আসা স্বজনের হাতে রামধোলাই খেয়েও দুই ঘন্টা মানে একশত বিশ মিনিট চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখেছে।

এই কসাই গুলার এত্ত সাহস,মাইর খাইছি খাবি।তোরা চিকিৎসা সেবা বন্ধ করবি কেন?

কসাই গুলোর আবার একটা মন্ত্রনালয় আছে।তার কর্তা ব্যক্তি তার বাড়ীর পাশের ইভটিজারের জন্য খুব বিচলিত।নারী ডাক্তারকে ইভটিজিং করলে ঐ নারী ডাক্তার ই শাস্তি পায়।


আজ যখন রুগীর স্বজন রুপী তামিল হিরোগন ডাক্তারদের ক্লাস রুমে ঢুকে ডাক্তারকে মেরে হাত ভেঙ্গে দিছে।তখন তিনি চুপ।তোরা জানিস না তোদের মাথার উপর ছাতা নাই?

 

এই হাত ভাঙ্গা ডাক্তারের জন্য তার সহকর্মী ডাক্তাররা যদিও ইমার্জেন্সী গেটে তালা লাগায়নি।রুগীর সাথে আসা তামিল হিরোগন হাসপাতালের আইন শৃংখলার জন্য নিযুক্ত আনসারদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
আনসাররা ডাক্তারদের মত মেরুদন্ডহীন নয় তো!তারাই তালা লাগিয়েছে ইমার্জেন্সীতে।

আমি এখন হলুদ সাংবাদিক।
তাই এই ঘটনা ডিসি অফিস,ভূমি অফিস বা অন্যত্র হলে কি ঘটত তা বলব না।
ডিসি অফিসে দুর্নীতি ধরতে গিয়ে দুদক কর্মকর্তার রক্ত ঝরে।তাও বলব না।

 

সাংবাদিকদের গাড়ী বহরে হামলা হলেও আমরা তো কক্সবাজার থেকে ফিরে আসি না।সাংবাদিকতা করেই যাই।করেই যাই!

ডাক্তাররা কেন ডাক্তারী বন্ধ করবে?
তোরা অধম চিকিৎসক প্রজাতি,তোদের হাসপাতালে সারা দেশের সব লোক ঢুকবে।রুগীরা বাড়ীতে বসে অবস্থা বারোটা বাজিয়ে আসবেন।রুগীর হায়াত শেষ হলে রুগী মরবে।
আর মরলেই তোরা ডাক্তাররা ধোলাই খাবি।
হাত ভাঙ্গব।পা ভাঙ্গব।দাঁত ভাঙ্গব।কাঁচ দিয়ে হাত কাটব।
মুখ বুজে সহ্য করবি।

 

তোদের পান থেকে চুন খসলে স্বপ্রনোদিত শোকজ হবে বিশেষ জায়গাতে।কিন্তু তোগোর হাত পা ভাঙ্গলে কোন স্বপ্রনোদনা নাই।

ডাক্তারদের জন্য এই সমাজের কারো কোন দায় নাই।কর্তব্যকালে যে কোন পেশার মানুষ আহত হলে সৎ,মহান হয়ে যায়।সাক্ষাৎকার দিতে দিতে তাদের চৌদ্দ গুষ্ঠি ক্লান্ত হয়।
কিন্তু আমরা তোগোর কথা কমু না।।
সাক্ষাৎকার নিমু না।
অপরাধীর বিচার চামু না।

তোগোরেই অপরাধী কমু।তোগোরে চাপের মধ্যে রাখমু রে ভোট বানিজ্যের গুটি ডাক্তার!
এক সেকেন্ডের জন্য ও চিকিৎসা দেয়া বন্ধ করবি না।ভাঙ্গা হাতে ব্যান্ডেজ লাগাবি আর অন্য হাতে চিকিৎসা করবি।
এইটাই তোদের পেশা।
নইলে এমন পেশাদারী উস্কানী দিমু,জনগন বাড়ী আইস্যা মাইরা যাবে।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়