Ameen Qudir
Published:2017-02-25 00:22:15 BdST
'ডাকাত' হাসপাতাল,ডাকাত ডায়াগনস্টিক সেন্টার'
অনিন্দিতা নন্দী
________________________
সময় এসে গেছে সাধারণ মানুষের রুখে দাঁড়ানোর,
'ডাকাত' হাসপাতাল,ডাকাত ডায়াগনস্টিক সেন্টার,।
চরম আর্থিক কেলেঙ্কারি, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ডাক্তাররাই বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন। তাঁরাই বলে দেন, কোন রোগীর কী লাগবে।
ইঞ্জেকশনের একটি সিরিঞ্জ তৈরি করতে খরচ হয় মাত্র ২ টাকার মতো। অথচ, ভারতে তা কিনতে হয় তার অন্তত ১০ গুণ দামে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তার থেকে বেশিও দিতে হয়।
জনপ্রিয় হিপ ইমপ্ল্যান্টের আমদানি খরচ ৮,৯০৬ টাকা। অথচ রোগীদের থেকে নেওয়া হয় প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা।
গড়ে ভারতে একটি হাঁটুর রিপ্লেসমেন্ট নেওয়া হয় প্রায় ৪৬ হাজার টাকা। অথচ, বিদেশ থেকে সেই সব রিপ্লেসমেন্ট আনা হয় মাত্র ৯,২৬৪ টাকায়।
ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর একটা থাইরয়েড টেস্ট করতে খরচ হয় মাত্র ৩০- ৫০ টাকা, বাজারের দাম ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, রক্তের সুগার টেস্ট করতে খরচ হয় মাত্র ৫ - ১০ টাকা, বাজারের দাম ৬০- ১২০ টাকা , লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করতে খরচ হয় মাত্র ৪০- ৫০ টাকা, বাজারের দাম ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, ভাবুন একবার কি ভাবে লুঠছে এরা আমাদের......৫০% কমিশন ডাক্তার বাবুরাই নিয়ে নিচ্ছেন আমাদের প্রতিটা টেস্ট এর উপর,
একটা ইসিজি করতে শুধুই কাগজের খরচ মাত্র ৩- ৫ টাকা, ডাক্তারবাবু নেন ১০০ - ১৫০ টাকা, এরকমই XRay USG MRI সবকিছুতেই ডাক্তারবাবু দের মোটা কমিশন, নার্সিংহোম এর ICU তে ঢুকিয়ে নার্সিংহোম এর লাখ লাখ টাকার বিল, মানুষকে জমি বাড়ী বেচিয়ে ছাড়ছে।রোগ হলে এদের কাছে
না গেলে প্রানে মরবেন আর গেলে ধনে মরবেন, তাই সময় এসে গেছে সাধারণ মানুষের রুখে দাঁড়ানোর।শেয়ার করুন আর সবাই কে সচেতন করুন।
_________________________
অনিন্দিতা নন্দী , কলকাতা।
আপনার মতামত দিন: