Ameen Qudir
Published:2018-03-08 16:18:19 BdST
কি ভয়ঙ্কর অপচিকিৎসা : এই কবিরাজদের বিরুদ্ধে মিডিয়া লেখে না; শাস্তিও হয় না
ডা রুস্তম আলী 
_____________________
কী ভয়ঙ্কর এই অমানবিক দৃশ্য। কি ভয়ঙ্কর অপচিকিৎসা ! ভন্ড কবিরাজি চিকিৎসার ফলে এই রোগীর কি হাল হয়েছে দেখুন। এই অপচিকিৎসক ভূয়া ডাক্তারের কি কোন শাস্তি হয়েছে । তার বিরুদ্ধে সরকার কি কোন ব্যাবস্থা নিয়েছে। আদালত কি স্বত:প্রনোদিত হয়ে সুয়োমটো করেছে ! কোন বিজ্ঞ আইনজীবি কি এই ভয়ঙ্কর মানবতাবিরোধী অপচিকিৎসার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে আদালতে বিষয়টি তুলেছেন। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর যদি না হয় , তবে সত্যিই নিরাপত্তাহীন এক দেশে বাস করছি আমরা। 
আমরা চব্বিশ ঘন্টা প্রকৃত এমবিবিএস ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে মেতে থাকি। দেশের মিডিয়াগুলো মিথ্যা প্রপাগান্ডায় মেতে থাকে। কিন্তু তারা কখনওই প্রকৃত অপচিকিৎসক এই সব কবিরাজদের বিরুদ্ধে কোন লেখালেখি করে না। 
তাহলে কেমন করে হবে এই দেশের মানুষের উপকার ও সঠিক চিকিৎসা। 
নির্মম বাস্তবতা হল , চব্বিশ ঘন্টা যে জনগোষ্ঠি এমবিবিএস ডাক্তার দের গালাগালিতে ব্যস্ত থাকে ; তারা এধরণের ভয়ঙ্কর অপচিকিৎসার শিকার হয়ে শেষ ভরসা হিসেবে এমবিবিএস ডাক্তারদের কাছেই ছুটে আসে । এই নির্মম ঘটনায়ও যখন ভুক্তভোগী এমবিবিএস ডাক্তারদের কাছে এলেন , ততক্ষণে ভন্ড কবিরাজি চিকিৎসায় সব সম্ভাবনা শেষ করে দিয়ে এসেছেন।
 
লোকসেবী চিকিৎসক সুলেখক ডা. হৃদয় রঞ্জন রায় তার এক লেখায় জানিয়েছেন , 
"এত করে বলি কবিরাজী চিকিৎসা না নিতে। কে শোনে কার কথা!
২৫ বছরের এই যুবক গার্মেন্টস এ কাজ করার কারনে একটু পা ফুলে গিয়েছিল (পানি জমেছিল) যাকে বলা হয় ইডিমা। পা বালিশে রেখে বিশ্রাম ও ২/১ টা ওষুধ খেলেই তা ভাল হয়ে যায়। অথচ কবিরাজ গাছ গাছালির কি সব লতা পাতা লাগিয়ে দিয়ে এই অবস্থা করেছে তার।
সদ্য বিয়ে করেছে ছেলেটি। অথচ তার দুটি পা ই এখন কেটে ফেলতে হবে। মানুষ সচেতন কবে হবে?"
আপনার মতামত দিন:

 
                 
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                       