Ameen Qudir

Published:
2019-12-01 06:08:02 BdST

ড. শহীদুল্লাহর প্রপৌত্র ডা.তৌসিফুল্লা এইমস-এন্ট্রান্সে সর্বভারতীয় চিকিৎসকদের মধ্যে প্রথম



সংবাদদাতা
_______________________

প্রখ্যাত ভাষাবিদ জ্ঞানপন্ডিত ড. শহীদুল্লাহর প্রপৌত্র ডা. তৌসিফুল্লা এইমস-এন্ট্রান্সে সর্বভারতীয় পর্যায়ে সকল নবীন চিকিৎসকদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন।
উপমহাদেশের সর্বশীর্ষ চিকিৎসা ও গবেষণা সংস্থা অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স বা এইমস-এর পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রি ডিএম (সুপার স্পেশালিটি)-এর প্রবেশিকায় সর্বভারতীয় স্তরে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি। কলকাতার সংবাদপত্রের খবরে জানা যায়,এ বছরসর্বভারতীয় পর্যায়ে ১০ হাজারের বেশি ডাক্তার এইমস-এর ডিএম বা ডক্টর অফ মেডিসিনের (পোস্ট ডক্টরাল) এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন তৌসিফুল্লা । পার্ক সার্কাসের বাসিন্দা ডা. মুহাম্মদ তৌসিফুল্লা । উপমহাদেশের প্রখ্যাত বহুভাষাবিদ পন্ডিত ভাষাতত্ত্ববিদ সর্বজন নমস্য ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ পরিবারেরই উত্তরসূরি ২৮ বছরের এই তরুণ চিকিৎসক । আরও উচ্চতর চিকিৎসা গবেষণায় এগিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি করে নিলেন এবার।


ডা. তৌসিফুল্লার পিতা বর্তমানে কলকাতার বিশিষ্ট চিকিৎসক ও গল্পকার ডা. মুহাম্মদ হেদায়েতুল্লা । ডা. হেদায়েতুল্লার এক দাদু ছিলেন ভাষাতত্ত্ববিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। উত্তর ২৪ পরগনার পিয়ারা গ্রামের সন্তান হেদায়েতুল্লা একদিকে যেমন বাংলা ভাষাচর্চাকে ধরে রেখেছেন, অন্যদিকে তাঁর পরবর্তী প্রজন্ম চিকিৎসাবিজ্ঞানে পারিবারিক ঐতিহ্যকে সুমহান করে চলেছেন। পার্ক সার্কাস রেলস্টেশনের কাছে তাঁর চেম্বারে বসে গর্বিত পিতা বলেন, ছোটবেলা থেকেই তৌসিফুল্লা মেধাবী ছাত্র। আইএসসি বোর্ডে উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে গোল্ড মেডেল সহ এমডি পাশ করেন। এরপর এইমস-এর চিকিৎসা গবেষক হওয়ার জন্য মনোযোগ দেন।নবজাতক বিশেষজ্ঞ বা নিওনাটোলজিতে ডিএম করে ভবিষ্যতে আরও উচ্চতর চিকিৎসা গবেষণা করার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর। ডা. হেদায়েতুল্লা জানান, তাঁর বড় ছেলে ডা. মুহাম্মদ আসিফুল্লাও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর এমডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ছোট ভাইয়ের মতো তিনিও গোল্ড মেডালিস্ট হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি অঙ্কোলজির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এই দুই কৃতী সন্তানের চিকিৎসক পিতা হেদায়েতুল্লা নিজে (এমবিবিএস) জেনারেল ফিজিশিয়ন হিসেবে বর্তমানে কলকাতায় প্র্যাকটিস করলেও কয়েক দশক ধরে দেগঙ্গায় বিশিষ্ট চিকিৎসক হিসেবে সুখ্যাতি লাভ করেছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি সাহিত্য চর্চাও করেন। প্রথম শ্রেণির বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিয়মিত তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়। কয়েকটি বইও প্রকাশিত হয়েছে।
তবে, তৌসিফুল্লার মামার বাড়ি পার্কাসার্কাসের তিলজলা রোডে। তাঁর নানা আবদুর রশিদ ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত টেলিযোগাযোগ দফতরে উচ্চপদস্থ আধিকারিক। একসময় আবদুর রশিদ ও তাঁর বড় ভাই আবদুস সাত্তার ছিলেন মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের স্বর্ণযুগের খেলোয়াড়। তৌসিফুল্লার মা মমতাজ খাতুনও বিজ্ঞানের স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী।একসময় তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের একটি বালিকা শিক্ষালয়ে শিক্ষকতা করতেন। পরে শিক্ষকতা ছেড়ে একদিকে চিকিৎসক স্বামীর সাহচর্যে নিয়োজিত হন, অন্যদিকে দুই পুত্রের শিক্ষার্জনের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে ওঠেন। তাই সন্তানের সাফল্যে আজ মুখে খুশির হাসি সুখী দম্পতি হেদায়েতুল্লা ও মমতাজ খাতুনের।

আপনার মতামত দিন:


প্রিয় মুখ এর জনপ্রিয়