Ameen Qudir

Published:
2018-03-04 19:24:38 BdST

"ওকে তোমরা মারধর করো না":ড. জাফরের মহানুভবতার বিবরণ এক ডাক্তারের বয়ানে



ডা. সুমন ______________________

ড. জাফর ইকবাল আমাদের জ্ঞানের বাতিঘর।
মানব কল্যাণের এক জীবন্ত মহাপুরুষ। একদম কাছে থেকে তাঁর মহানুভবতা প্রত্যক্ষ করলাম। যে হত্যাচেষ্টাকারী তরুণ তাকে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করেছিল; তার প্রতি ড. জাফর দেখালেন দৃষ্টান্তযোগ্য ক্ষমা। তিনি যখন নিজেই জীবনের জন্য লড়ছেন; তখনও তার কল্যাণকামী মানবিকতা ছিল সম্পূর্ণ অটুট। হামলাকারীকে মারধর না করার কথা বলে মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন ,ছেলেটা কই, ওকে তোমরা মারধর করো না"। মহাপুরুষদের এমন মহানুভবতার কথা গল্পে ইতিহাসে পড়েছি। এবার সত্যি সত্যি প্রত্যক্ষ করলাম।

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর জন্য কান্নারত বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি। একজন চিকিৎসক হিসেবে এই উদারতার দৃশ্য দেখতে পেরে আমার চিকিৎসক জীবন ধন্য। স্রষ্টার কাছে কৃতজ্ঞতা, আমরা দীর্ঘ লড়াই শেষে স্যারকে বাঁচাতে পেরেছি।
৩ মার্চসন্ধ্যা ৬টার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ এলাকায় এক দুর্বৃত্ত তাঁর মাথার পিছন দিকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। তারপর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।
তাকে নিয়ে শোকাতুর ছাত্ররা বলছিল, স্যার আহত হওয়ার পর হত্যাচেষ্টাকারীর প্রতি কোনরকম বিরাগ দেখান নি। বরং দেখিয়েছেন মহানুভবতা।
তিনি ছাত্রদের প্রতি জঙ্গীটার প্রতি ক্ষমাসুন্দর হওয়ার কতা বলেন। বলছিলেন, আমি নিজেকে যতটা পারি সামলাচ্ছি ; নিজের রক্তের গ্রুপও স্যার জানান। কেননা, একজন বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি জানতেন, তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তাঁর রক্ত দরকার হবে।

অথচ বিধির কি বিধিবাম। বাংলা টিব্রিউনে পড়লাম, যে উগ্র মৌলবাদী জঙ্গীর প্রতি স্যার মহাপুরুষদের মত ক্ষমার কথা বলছিলেন; তার যেন কোন ক্ষতি না হয়; মারপিট করা না হয়;  বলছিলেন। সেই জানোয়ার উল্টো স্যারের বিরুদ্ধে বিষাক্ত নি:শ্বাস ফেলছিল। ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী ফয়জুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বলে, জাফর ইকবাল ইসলামের শত্রু, তাই তাকে মেরেছি'। শনিবার রাতে র‌্যাব-৯ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ বাংলা ট্রিবিউনকে এই কথা বলেন।

আপনার মতামত দিন:


প্রিয় মুখ এর জনপ্রিয়