DESK
Published:2024-08-11 12:20:03 BdST
সবার কাছে গ্রহণযোগ্য মেডিকেল সেক্টর গড়ে তুলতে চিকিৎসকদের একগুচ্ছ পরামর্শ
ডেস্ক
_______________
দেশে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ শুরু করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন জনসেবা বিশেষজ্ঞ মিজ নুরজাহান বেগম। অধ্যাপক , শিক্ষক, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী, মেডিকেল সংশ্লষ্টরা মনে করছেন চিকিৎসা সেবা, মেডিকেল শিক্ষা , সেবা সহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার নানা প্রয়োজনীয় বিষয় আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এখন সুরাহা করে নেওয়া সম্ভব।
এজন্য অনেকেই দরকারি কথাগুলো বলতে শুরু করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের কথা, আপনিও কথা বলুন। আপনিও আপনার কথা লিখুন। সবার মতামতের ভিত্তিতেই সকলের জন্য গ্রহণযোগ্য ও কল্যাণকর নীতিমালা তৈরি সম্ভব।
চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী এবং বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন ডা. আমিনুর রহমান শাহীন বলেন,
স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ন্যুনতম বিষয়াদিঃ
১. স্বাস্হ্য সেবার ডিজিকে ইউএইচএফপিও, সিভিল সার্জন, ডিরেক্টর পদে পদায়নে যারা ছিল তাদের মধ্যে থেকে করতে হবে। কোনো ক্লিনিকাল প্রফেসরকে ডিজি করা যাবে না, তাদের মাঠ সনপর্কে জানতে দু বছরের উপর লেগে যায়
২. যুক্তরাজ্য আর অস্ট্রেলিয়ার আংগিকে রেফারেল সিস্টেম ও জিপি মডেল করতে হবে
৩. স্বাস্হ্য ব্যবস্হাপনা প্রিভেনটিভ আপ্রোচকে বেস করে করতে হবে
৪. সরকারী ডাক্তারদের ডুয়েল প্রেকটিস বন্ধ করতে হবে যথাযত নন প্রেকটিসিং এলাউন্স দিয়ে
অধ্যাপক ডা. আহমেদ তাউস লিঙ্কন এক লেখায় বলেন,
অনেক চিকিৎসক স্বাস্থ্যখাত নিয়ে ইন্টেরিম গভ: এর কাছে প্রত্যাশা বা দাবির বিষয়ে লিখছেন। আমি স্পেসিফিক কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। অনেকে বলতে পারেন এতে মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন হবে। জ্বি, কিছুদিন এইসব মৌলিক অধিকার আমরা সাইডে রেখে দেই। স্বাস্থ্যখাতে শৃংখলা আনয়ন করতে হলে এগুলা লাগবে, কোন রাজনৈতিক সরকারের পক্ষে কাজগুলো করা সম্ভব নয়।
১. শিক্ষক আর পেশাজীবিদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। শুধু ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে কোনই লাভ নাই।
২. মেধা আর যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দিতে হবে। যেহেতু পদোন্নতির জন্য ডাক্তারদের পোস্টগ্রাজুয়েশন প্রয়োজন, তাই সিনিয়রিটির জন্য পোস্টগ্রাজুয়েশনের সময়টাই বিবেচনা করতে হবে। অধ্যাপক বা পরিচালকদের প্রথম গ্রেড দিতে হবে।
৩.তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের চাকুরি বদলিযোগ্য করতে হবে। আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগ বন্ধ করতে হবে।
৪. পূর্বের মত নার্সিং আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটা করতে হবে।
৫. চিকিৎসক, চিকিৎসাসেবা দানকারী, চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান সুরক্ষা আইন করতে হবে।
৫. মানহীন প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে সকল ২৫০ বেডের হাস্পাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করে প্রয়োজনীয় স্থায়ী লোকবল নিয়োগ করতে হবে।
৬.. রেফারাল সিস্টেম ও স্বাস্থ্যবীমা চালু করতে হবে।
৭. সরকারী ডাক্তারদের প্রাইভেট প্রাক্টিস বন্ধ করে তাদের সেই অনুযায়ী অতিরিক্ত ভাতা দিতে হবে। প্রাক্টিসের কারণে ডাক্তাররা বদলি হতে চান না @
আপনার মতামত দিন: