ডা শাহাদাত হোসেন

Published:
2023-01-17 05:17:54 BdST

মেধাবী সার্জারি বিশেষজ্ঞ সদা বিনয়ী ডা. মো. মনিরুল ইসলাম অকালে চলে গেলেন


ডা. মো. মনিরুল ইসলাম


ডেস্ক
______________________

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের পঞ্চম ব্যাচের "ফার্স্ট বয়'' এবং সার্জারির উজ্জ্বল চিকিৎসক , চাঁদপুর সদর হাসপাতালের সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. মো. মনিরুল ইসলাম অকালে চলে গেলেন। আকস্মিক অনাকাঙ্খিত প্রয়াণে শোকের চাদর কুমিল্লা ও চাঁদপুরে। গভীর শোকাহত প্রয়াতের গুনমুগ্ধ শিক্ষক, সতীর্থ , ডাক্তার সমাজ ও রোগী বৃন্দ।

চাঁদপুর সদর হাসপাতালের সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. মো. মনিরুল ইসলামের অকাল প্রয়াণে গভীর শোক জানিয়েছেন ডাক্তার প্রতিদিন সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিদ্যার অধ্যাপক ডা. সুলতানা আলগিন। তিনি বলেন,
ডা. মো. মনিরুল ইসলাম ছিলেন প্রতিশ্রুতিশীল সার্জারি বিশেষজ্ঞ , অহঙ্কারহীন সাদা মনের মানুষ। তাঁর প্রয়াণে দেশ একজন শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হারাল।

 

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ইউরোলজির অধ্যাপক ডা. মো. সেরাজুল হক এক শোকবার্তায় জানান,
চলে গেলো প্রিয় ছাত্র ডাঃ মনির।
সে ছিল অনেক মেধাবী, কুম-৫ এর ফার্স্টবয়, প্রতিশ্রুতিশীল শৈল্যবিদ,সুদর্শন এবং স্মার্ট, নিরহংকারী ও বিনয়ী, পরিশ্রম করে বড় হওয়া একজন মানুষ।
দেখা হলে বলতাম - তুমি অনেক দূর যাবে।
সেটা যে অনন্ত লোক হবে বুঝিনি।
অথচ আমারইতো আগে যাবার কথা।
হৃদয় ভেংগে হাহাকার জাগে,
" জন্মের সিরিয়াল আছে কিন্তু মৃত্যুর নেই "
কি বিশাল শূন্যতা গ্রাস করে।
ওপারে ভালো থেকো মনির।

 


কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ও রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গুলজার হোসেন উজ্জ্বল এক শোক এপিটাফে লিখেছেন,
মনির ভাই, আমার মাত্র দুই বছরের বড়৷ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের পঞ্চম ব্যাচের ছাত্র। উনাদের ব্যাচের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রটি ছিলেন তিনি। খুব ডানপিটে আর নায়কের মত সুদর্শন। আমার খুব ঈর্ষা হতো উনাকে দেখলে। আমরা প্রায় পুরোটা ক্যাম্পাস জীবন পাশাপাশি কাটিয়ে দিয়েছি।
ডাক্তারি পাশের পরের জীবনযুদ্ধটাতেও আমরা কাছাকাছিই ছিলাম। কুমিল্লা শহরের মিডল্যান্ড হাসপাতালে চাকরি। বিয়ে করে কুমিল্লা হাউজিং স্টেটে বাসা নিয়ে থাকতেন। পাশেই আমিও থাকতাম সপরিবারে। বিসিএস হবার পর উনার সাবসেন্টারেই আমার পোস্টিং হলো।
প্রচুর বই পড়তেন। কত কিছু জানতেন! গল্প করে আরাম পেতাম খুব৷
খুব অল্প বয়সেই এফসিপিএস করে ফেললেন জেনারেল সার্জারিতে৷ চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ছিলেন কনসাল্টেন্ট হিসেবে৷
অনেক বছর পর গত নভেম্বরে দেখা হলো। কথা হলো। জীবনের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে সামান্য কথা হলো।
আজ সকালে জীবনটাই থেমে গেল আকস্মিক হার্ট এটাকে! আহারে জীবন!
মনির ভাই আপনাকে আমি মনে মনে ঈর্ষা করতাম, গুরু মানতাম। আপনাকে ফলো করতাম। আমার ভালবাসা নিয়েন। কিভাবে নেবেন? কে পৌঁছে দেবে জানিনা৷

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়