Ameen Qudir
Published:2020-04-05 18:58:28 BdST
এই মুহূর্তে ডাক্তারদের প্রাইভেট চেম্বার খোলা রাখতে বলা বিরাট ভুল : ডা. আব্দুন নুর তুষার
ডেস্ক
__________________
এই মুহূর্তে ডাক্তারদের প্রাইভেট চেম্বার খোলা রাখতে বলা বিরাট ভুল। ১১ পয়েন্ট শক্ত যুক্তি তুলে ধরলেন দেশশ্রেষ্ঠ বিতার্কিক ডা. আব্দুন নুর তুষার
ডা. আব্দুন নুর তুষার
বিতার্কিক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব
_________________________
দেশের প্রাইভেট প্র্যাকটিশনারদের চেম্বার খোলা রাখতে বলা একটা বিরাট ভুল।
ট্রিয়াজ এর ব্যবস্থা করেন ও সাধারন মানুষকে অযথা সংক্রমনের হাত থেকে বাচান।
টেলিমেডিসিন এ জোর দেন।
মন দিয়ে পড়েন।
১. প্রাইভেট প্র্যাকটিশনাররা একসাথে অনেকে বসেন। আলাদা বসেন কম।
২. তাদের কাছে যারা যাবেন তাদের অধিকাংশই অন্য রোগের জন্য যাবেন, কোভিডের জন্য না। কিন্তু ওয়েটিং এরিয়াতে একজন কোভিড রোগী এসে সকলকেই ইনফেক্ট করে যেতে পারেন অথবা ডাক্তারকেও। অন্য অসুখ থাকলে সাথে কোভিড ধরলে , মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেক বেশী। ফলে চেম্বার থেকে যাদের করোনা সংক্রমন হবে তারা আগেই অসুস্থ বলে তাদের বিপদ বেশী হবে।
৩. পরিস্কার করার বা ডিসইনফেক্ট করার যে পদ্ধতি সেটা প্রাইভেট চেম্বারে করা বেশ কঠিন।
৪. ডাক্তারদের সংগঠন এফডিএসআর প্রথমে এবং তারপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, স্বাচিপ . বিএমএ সকলেই টেলিমেডিসিন সেবা চালু করেছে।
৫. বাংলাদেশে আগে থেকেই টোনিক, পালস এসব টেলিমেডিসিন সেবা চালু আছে।
৬. প্র্যাকটিস এর চেম্বার যারা করেন তাদের মধ্যে বিখ্যাতদের প্রায় সবাই সরকারী ডাক্তার। তাদের বরং এখন সুস্থ রেখে হাসপাতালে নিয়োজিত রাখা বেশী দরকার।
৭. প্র্যাকটিসিং চেম্বারে রোগীর সংস্পর্শে এসে এরই মধ্যে ডা আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী হয়ে ১৪ দিন কোয়োরেন্টিনে থেকেছেন। যার ফলে ১৪ দিন তার সেবা থেকে সাধারন রোগী ও হাসপাতাল বঞ্চিত হয়েছে।
৮. তাই চেম্বার খোলা রাখার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো, এসবের নির্দেশ দেয়া একটা ভুল কাজ।
৯. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমনকি সন্দেহজনক কোভিড রোগীকেও প্রথমে টেলিমেডিসিনে দেখার কথা বলেছেন। পিপিই সংক্রান্ত গাইডলাইনের রিকমন্ডেশন ফর অপটিমাইজিং ইউজ অব পিপিই তে বলা হয়েছে, ডাক্তাররা সাসপেক্টেড করোনা রোগীকেও যেন প্রথমে টেলিমেডিসিন এর মাধ্যমে দেখার চেষ্টা করেন ও অপ্রয়োজনে ভর্তি না করেন। এমনকি হাসপাতালে আসতেও নিষেধ করেন।
১০. ট্রিয়াজ করার কারনও এটাই যাতে হাসপাতালের আউটডোরে কোভিড রোগী এসে যে কোন কনসালট্যান্টের কাছে যেতে না পারেন।
১১. প্রাইভেট চেম্বারে কোনভাবেই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের নিয়ন্ত্রন করা যাবে না। তারা সাথে লোক আনেন এমনকি যাদের বাসায় বাচ্চা রাখার মানুষ নেই তারা বাচ্চা সহ চলে আসেন।
তাই প্রাইভেট চেম্বার খোলা রাখতে বাধ্য না করে, ডাক্তারদের হাসপাতালে রাখেন ও যথাযথ ট্রিয়াজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করেন।
আপনার মতামত দিন: