Ameen Qudir

Published:
2019-06-23 20:23:29 BdST

চিকিৎসক নিগ্রহ প্রতিরোধ আইন পাশ করাতে হলে যেসব ধাপ অতিক্রম করা লাগবে


 



 

ডা.মোঃ শাব্বির হোসেন খান

_____________________________

বাংলাদেশের চিকিৎসকদের স্বপ্নের চিকিৎসক নিগ্রহ প্রতিরোধ আইন পাশ করাতে হলে যেসব ধাপ অতিক্রম করা লাগবেঃ-

প্রথমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এসংক্রান্ত নীতিনির্দেশনামূলক নথিপত্র তৈরি করে একটি প্রাথমিক বিলের খসড়া তৈরি করতে হবে। এরপর সারাংশসহ সেটা ( খসড়া বিল) ক্যাবিনেট ডিভিশনে প্রেরণ করতে হবে
ক্যাবিনেট মিটিংয়ে অনুমোদনের জন্য।
ক্যাবিনেটের অনুমোদনের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়কে নির্দেশ দেওয়া হবে বিলের চুড়ান্ত খসড়া তৈরি করার জন্য। সেই চুড়ান্ত খসড়াকে আবার
বিবেচনা করে দেখবে কেবিনেট। তারপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করবে হয় একটা চূড়ান্ত খসড়া বিল তৈরি করতে, নয়ত খসড়া বিলটি পুঙ্খানুপুঙ্খ খতিয়ে দেখতে। তারপর চূড়ান্ত খসড়া বিল অথবা খতিয়ে দেখা বিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো হবে এবং অনুমোদন প্রাপ্তির পর এটাকে সংসদ সচিবালয়ে পাঠানো হবে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ড্রাফট বিল পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য ল’কমিশনে পাঠাতে পারে এবং কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিলটি কমিশনের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমার্জন করতে পারে। বিলটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর আগে এ কাজ সম্পন্ন করা হবে।
বিলটি সংসদ সচিবালয়ে যাওয়ার পর স্পীকার বিলটিকে সংসদে উপস্থাপনের জন্য তারিখ নির্ধারণ করবেন। বিলটি সংসদে উপস্থাপনের আগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) সংসদ-সদস্যদেরকে ওই বিলের কপি প্রদান করবেন। বিল উপস্থাপন বা "ফার্স্ট রিডিং" এর পর এ বিলটির উপর বিশদ আলোচনার জন্য আরেকটি তারিখ ধার্য্য করা হবে, যাকে বিলের "সেকেন্ড রিডিং" বলা হয়ে থাকে। এ পর্যায়ে বিলের উপর আলোচনা হতে পারে অথবা একটি স্থায়ী কমিটি অথবা বাছাই কমিটির কাছে পাঠানো অথবা জনমত যাচাইয়ের জন্য প্রচার করা হতে পারে। কমিটিতে গেলে কমিটি বিলের ওপর রিপোর্টসহ বিলটিকে সংসদে ফেরত পাঠাবে। এরপর রিপোর্টসহ বিলটিকে বিবেচনার জন্য রাখা হবে। বিলটি গৃহীত হলে স্পীকার ভোটের জন্য সংসদে পেশ করবেন। বিলটিতে যদি কোনো সংশোধনী আনার প্রস্তাব করা হয় এবং ভোটে দেওয়া হয় তখন সংশোধিত বিলটি সংসদে বিবেচনার জন্য পেশ করা হবে। "সেকেন্ড রিডিং" এর পর যদি সংশোধনী সহ বিলটি পাশ হয়, তাহলে সেটাকে "থার্ড রিডিং" বলা হবে।
উল্লেখ্য, কোনো বিল পাশ হতে হলে উপস্থিত সংসদ-সদস্যদের অধিকাংশের ভোটের প্রয়োজন। বিল পাস হওয়ার পর স্পীকার এতে স্বাক্ষর দান করেন। এরপর বিলটি রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতির সম্মতির পরই কেবলমাত্র "চিকিৎসক সুরক্ষা বিল"টি জাতীয় সংসদের একটি আইন (চিকিৎসক সুরক্ষা আইন") হিসেবে সরকারি গেজেটে ছাপা হবে।

সে' শুভ দিন কবে আসবে? কবে আমাদের মন্ত্রণালয় এটার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেবে?
___________________________

ডা.মোঃ শাব্বির হোসেন খান
সিওমেক'২২
মৌলভীবাজার।

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়