Ameen Qudir

Published:
2019-04-30 09:21:19 BdST

একবার ওএসডি, তারপর প্রত্যাহার নাটক: শেষে বরখাস্ত: এসব তামাশার একদিন শুধতে হবে ঋণ


 


ডা. সোলায়মান আহসান সুজন

____________________________

একবার ওএসডি, তারপর কথিত ফোন করে শাস্তি প্রত্যাহার , নড়াইলের স্থানীয় সাংবাদিকদের ব্যবহার করে কথিত শাস্তি প্রত্যাহারের অনুরোধ ও প্রত্যাহারের নাটক; অত:পর ৪ ডাক্তারকে সাময়িক বরখাস্তের সরকারি সাচিবিক আদেশ ; ডাক্তারদের নিয়ে এই তামাশার মানে কি ! আমি পড়াশোনা ডাক্তার । এইট পাশ না। এইট পাশদের আমি ভয় পাই। সকল শিক্ষিত ডাক্তার ভয় পায়। এইট পাশদের সঙ্গে পারতে হলে একতা ও অধিকার আদায়ের বিকল্প নাই ।
এটা তামাশা। সিরিয়াস ধরণের অপমান। ডাক্তার হাসপাতালের অনুপস্থিত সেটা দেখার জন্য সিভিল সার্জন অফিস আছে, তারা অবশ্যই অনুপস্থিত ডাক্তারদের ব্যাপরে বিভাগিয় ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু এভাবে ডাক্তারদের অপমান করে নাকানি চুবানি খাওয়ানো যে হচ্ছে, এর পেছনে কারা। কারা সরকার, আওয়ামী লীগের সঙ্গে দেশের বৃহত্তম জনগনসেবা প্রতিষ্ঠান ডাক্তারদের সঙ্গে সুকৌশলে দূরত্ব তৈরী করছে।
আমাদের নেতা ইকবাল আর্সলান ভাই যতই দূরত্ব ঘোচানোর চেষ্টা করুন; সরকারের মধ্যে আওয়ামী লীগ বিরোধী ঘাপটি মারা চক্র ঠিকই গোপন চাল চেলে যাচ্ছে। এ ব্যপারে এখনই বিএমএ, স্বাচিপ , ইকবাল আর্সলান ভাই, ডা. মোস্তফা ভাই সতর্ক না হলে পরে কিন্তু পস্তাতে হবে।

সব ডাক্তার আওয়ামী লীগ করে না। সব ছাত্রলীগ স্বাচিপ নয়। ড্যাব আছে। জামাত আছে। তাদের ২২ থেকে ৪২ টা মেডিকেল কলেজ আছে। ২২টা সবাই জানে। বাকিগুলা ও জানতে চাইলে ইশারাই কোফি। সেসব থেকে স্বাচিপের ডাক্তার তৈরী হয় না।

বিস্ময়ের ব্যাপার হল , এখন সবচেয়ে বেশী লাঞ্ছিত নিগৃহীত হচ্ছে সরকার সমর্থক তথা স্বাচিপ ডাক্তাররা। এদেরকে নিয়ে কারা খেলছে। সেটা নেতাদের খুঁজে বের করতে হবে। নইলে বিপদ।

বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি এমপি হওয়ার পর না জেনে না বুঝে ডাক্তারদের পেছনে লাগল। তার যে ভাবমূর্তি ছিল , সেটা বারোটা নিজেই বাজালেন।
নড়াইলের ডাক্তাররা নড়াইলের লোক না। সারা বাংলাদেশের লোক। তাদের সঙ্গে সরকারি এটিকেট , ডেকোরাম মেনেই ব্যবস্থা নেয়া সঠিক হত। তিনি তা করলেন না। তিনি হিরো হতে গেরেন। সেজন্য বলির পাঠা ডাক্তার আর হাসপাতাল। হাসপাতালে ময়লা কেন । দোষ ডাক্তারের। পায়খানা অপরিস্কার কেন । দোষ ডাক্তারদের। মাশরাফিকে দোষ দিতে পারি না। কদিন আগে ডাক্তাররা ঝাড়ু হাতে কত রঙ্গ নাটক করলেন। তারাই প্রমাণ করলেন , হাসপাতালের ময়লা তারাই ঝাট দিয়ে বিদায় করবেন। তো মাশরাফি যদি ভেবেই থাকেন যে, ঝাড়ুে দয়া ডাক্তারদের কাজ; তাকে দোষ দেবেন কোন মুখে।

হাসপাতালে অপারেশন করতে খালি সার্জন হলেই চলে। রিকশা অলা ঝাড়ুঅলা সবারই তাই ধারআ। নড়াইল হাপাতালে বেশীর পোস্ট খালি তাতে। ডাক্তার ২৪ ঘন্টা থেকে বাচ্চা বিয়োনো সহ , অপারেশন , মেডিিসিন , এনসথেশিয়া সব কাজ করবেন। দেশে ক্লাস্ এইট পাশ টেকনিশিয়ান কত জায়গায় ঢাকা মেডিকেলের প্রফেসর সেজে চেম্বার করছে। রোগী সেবা করছে। তো আসল ডাক্তার এমবিবিএসরা কেন নড়াইলে একজন প্রফেসরের মত; সবজান্তার মত সব ডাক্তারি পারবেন না।

যাই শেষ কথা হল, হাসপাতাল অভিযান , ওএসডি করন, শাস্তি প্রত্যাহার ইত্যাদি সস্তা নাটক শেষে

দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলার কারণে নড়াইল সদর হাসপাতালের সেই চার চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।


সোমবার ২৯ এপ্রিল বিকেলে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন হাসপাতালে এসে পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন নড়াইল সদর হাসপাতালের নবনিযুক্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আব্দুস শাকুর।

কি বুঝলেন। দিন শেষে ক্ষতিগ্রস্ত ডাক্তারই। আর সবাই চড় থাপ্পড়, অসৌজন্য ব্যবহার সবাই হিরো। সুতরাং সাধু সাবধান। এই দিন না। আরও দিন আছে। বলে গেছেন হুমায়ুন আহমেদ।
সেই দিন কেমন করে মোকাবেলা করবেন, নেতারা অবশ্যই ভাববেন।
_________________________

ডা. সোলায়মান আহসান সুজন । পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ডাক্তার। পরিচয় বললেন, আমি পড়াশোনা ডাক্তার । এইট পাশ না। এইট পাশদের আমি ভয় পাই।

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়