ডা হামীম চৌধুরী
Published:2021-04-26 20:26:58 BdST
ভারতে মন্দিরে, মসজিদে কোভিড হাসপাতাল, মানবতার বিজয়
ডা. হামীম চৌধুরী
----------------------
ভারত বর্ষ করোনা বিপর্যয়ে বিপন্ন।
তারই মাঝে সেখানে জেগে উঠেছে মানবতা।
বিশ্বের অন্য কোন দেশে মানবতার বিপুল জয়গান দেখা যায় নি।
সারা বিশ্বকে বিস্মিত করে ভারতে প্রচুর মন্দির, গির্জা, মসজিদে করোনার জন্য হাসপাতাল চালু হয়েছে। ধর্মীয়
উপাসনালয়গুলো রুপান্তর হয়ে চলেছে মানবতার উপাসনালয়ে।
এ ভারতে সম্ভব। তাই সারা বিশ্ব ভারত বর্ষের পাশে।
বাংলা দেশের মানুষ ফেসবুকে ঝড় তুলছে অাল্লামা মামুনুল, সাকিব অাল হাসান দের অাইপিএল নিয়ে।
কিন্তু কোথাও কোন মসজিদে করোনার হাসপাতাল চালুর কথা শোনা যায় নি।
অাশা করি, বাংলা দেশের নানা ধর্মের লোকজন মানবতার কাজে শামিল হবেন। তারাও মসজিদ, মন্দির গির্জায় চালু করবেন হাসপাতাল।
সুব্রত নন্দী লিখেছেন,
চারিদিকে ধর্মান্ধতার অন্ধকার দেখে যখন বিমর্ষ হয়ে যাই, মন খারাপ হয় তখন এমন খবর সত্যিই আশার উদ্রেক করে। মনে হয় অন্ধকারের অচলায়তন ভেঙ্গে আলো আসবেই। ভারত যখন করোনা মহামারীতে পর্যুদস্ত তখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে ৮০ মেট্রিক টন তরলীকৃত অক্সিজেন পাঠিয়েছে সৌদি আরব। ভারতের মসজিদ, মন্দির গুলো খুলে দেয়া হয়েছে করোনাকালীন এই দুর্যোগে অস্থায়ী হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য।
মানুষ যদি না বাঁচে তবে ধর্ম দিয়ে কি হবে ? বন্ধ থাক উপাসনা, বন্ধ থাক আযান, মন্দিরের ঢাক কাঁসর ঘন্টা। বন্ধ থাক পুজা অর্চণা বা নামাজ। যতদিন পর্যন্ত আমরা সুন্দর সুস্থ জীবনের সেই দিনগুলো ফিরে পাব ততদিন মানুষকে বেঁচে থাকার সংগ্রামে একটু সাহায্য করলে মানবতা উপকৃত হয়। আমরা আস্তিক নাস্তিক ধার্মিক অধার্মিক মিলে সবাই মানুষ। এভাবেই ধর্ম মহিমান্বিত হয়। ধর্মীয় ঘৃণা বিদ্বেষ বিভেদমুক্ত সমাজের চেয়ে ভাল কিছুই কখনো হতে পারে না। আমি সব সময়ই এমন একটি সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি। মাঝে মাঝেই হতাশায় নিমজ্জিত হই , আবার সামান্যতম আলোক রশ্মির দর্শনে স্বপ্নটা নতুন করে জেগে ওঠে। আমাদের একটিই দেশ তাহলো বসুন্ধরা, আমাদের একটিই ধর্ম, সেটা হলো মানবতার ধর্ম।
আপনার মতামত দিন: