ডেস্ক

Published:
2021-04-25 19:10:53 BdST

নিজের কারখানার শেষ অক্সিজেনবিন্দুটুকুও জাফর বিলিয়ে দিলেন নির্দ্বিধায়


 

দেবাশীষ সেনগুপ্ত
-------------------------------

ইন্দোরের এক ছোট্ট ব্যবসায়ী জাফর মনসুরি। তার ছোট্ট সংস্থা নিউ ইন্ডিয়ান ইঞ্জিনীয়ারিং ওয়ার্কস। ছোটি গৌলতলির ছোটিসি ফ্যাক্টরিতেই বসেন জাফর। কনস্ট্রাকশনের কাঁচামাল তৈরী হয়। যায় সরকারী ও বেসরকারী নির্মাণে। মোটের উপর ভালোই চলে জাফর মনসুরির ব্যবসা।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুতেই আছড়ে পড়ে যেসব রাজ্যে, মধ্যপ্রদেশ তার অন্যতম। মুহুর্মুহু আক্রান্তের সংখ্যাবৃদ্ধি আর মৃত্যুর সঙ্গে যুঝতে যুঝতে এপ্রিলের মাঝামাঝি ইন্দোর শহরের প্রশাসন আবিষ্কার করে অক্সিজেনের রসদ ফুরিয়ে এসেছে দেশের বাকি ছোটবড় শহরগুলোর মতই।
মরিয়া হয়ে ইন্দোর নগর নিগমের কমিশনার আবেদন জানান শহরের শিল্পোদ্যোগীদের কাছে। ভাড়া নিতে চান তাঁদের কারখানার অক্সিজেন সিলিন্ডার। আর তখনই এগিয়ে আসেন জাফর। তাঁর কারখানার সমস্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার তুলে দেন ইন্দোরের ছোটবড় সব হাসপাতালের হাতে। সম্পূর্ণ বিনামূ্ল্যে! নিজের কারখানা একেবারে খালি করে শেষ অক্সিজেনবিন্দুটুকুও বিলিয়ে দেন নির্দ্বিধায়!

একইসঙ্গে পাঠিয়ে দেন কয়েকহাজার জীবনদায়ী রেমডিসিভির। হ্যাঁ, সেও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে! পুরমাতার হাজার অনুরোধেও এককানাকড়ি নিতে রাজি হননি জাফর। বরং সবিনয়ে জানিয়েছেন - এ আমার নাগরিক কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে তো! পয়সা নেবো কী করে?
অনেকটা তাঁরই জন্য ইন্দোর শহরের কয়েকহাজার করোনারোগী নিশ্চিন্তে শ্বাস নিতে পারছেন কয়েকদিন ধরে।
এত অন্ধকারের মধ্যেও জাফররা জ্বলজ্বল করেন জোনাকির মতন। বুঝিয়ে দেন সব শেষ হয়ে যায়নি এখনো! এত হতাশার মধ্যেও এটুকু কি কম কিছু?

 

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়