SAHA ANTAR

Published:
2022-09-29 06:17:57 BdST

রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মের বৈদ্যুতিক আলোয় কোচিং করে আইএএস, আইপিএস হচ্ছেন তারা


 

ডেস্ক
______
প্রতিদিন ২ ঘণ্টার জন্য স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম হয়ে যায় কোচিং সেন্টার।
রেলস্টেশনে যাত্রীরা দাঁড়িয়ে থাকেন ট্রেনের অপেক্ষায়। প্ল্যাটফর্মে ভিড় থাকে যাত্রীদের। কিন্তু ভারতের একটি স্টেশনে ২ ঘণ্টার জন্য প্রতিদিন ভিড় জমে পড়ুয়াদের।


ভারতের ছোট থেকে বড় রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্ম সদা ব্যস্ত থাকে যাত্রীদের ভিড়ে। থাকে হকার থেকে ছোট ছোট স্টল। ট্রেন এলে প্ল্যাটফর্মেই নামেন যাত্রীরা। আবার ওঠেনও। প্ল্যাটফর্ম এজন্যই তৈরি। কিন্তু সেই প্ল্যাটফর্মই প্রতিদিন ২ ঘণ্টার জন্য হয়ে ওঠে কোচিং সেন্টার।

ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ জংশন স্টেশনের ১ ও ২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম যাত্রীদের নয়, দখলে চলে যায় পড়ুয়াদের। তাও আবার যে সে পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কোচিং নয়। খোদ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার কোচিং হয় এখানে।

২০০২-০৩ সালে বিহারের সাসারাম স্টেশনে কয়েকজন ছাত্র মিলে জড়ো হয়ে পড়া শুরু করেন। কারণ ছিল একটাই। ওই স্টেশনে ২৪ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকত। ফলে প্ল্যাটফর্মে পড়া করতে অসুবিধা হত না।


সেই শুরু। তারপর ক্রমে ছাত্রদের ভিড় বাড়তে থাকে এখানে। পুরনো ছাত্ররা নতুন ছাত্রদের পড়ান। তাঁদের তৈরি করেন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য।


তবে এখন শুধু সিভিল সার্ভিস বলেই নয়, আইআইটি এন্ট্রান্স, আইআইএম এন্ট্রান্স, বিভিন্ন ব্যাঙ্কের পরীক্ষারও প্রস্তুতির জন্য সকাল ও বিকালে এই স্টেশনে হাজির হন তরুণ পড়ুয়ারা।

এখানেই তাঁরা তৈরি করেন নিজেদের পরীক্ষার জন্য। প্ল্যাটফর্মের চলন পথ হয়ে ওঠে তাঁদের লেখা পড়ার স্থান। এখানেই পড়াশোনা করে আইএএস হওয়া অনেক মানুষ এখন ভারতের প্রশাসনিক কাজে যুক্ত রয়েছেন।

প্রশ্ন হল স্টেশন কর্তৃপক্ষ এটা মেনে নেয় কি? উত্তর হল অবশ্যই মেনে নেয়। বরং স্টেশনের তরফে ছাত্রদের সুবিধার্থে একটি বিশেষ পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। এরফলে তাঁদের স্টেশনে বসে পড়তে কোনও সমস্যা হয় না।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়