Dr. Aminul Islam

Published:
2021-04-09 01:45:51 BdST

স্ত্রীকে খুশি করতে সত্য গোপনের অবকাশ রয়েছে:গোপনীয়তা লঙ্ঘন শরীয়ায় হারাম: মামুনুল হক


 

ডা লুৎফর রহমান
----------------------------------

হেফাজতে ইসলামের নেতা অাল্লামা  মামুনুল হক বলেছেন, ‘স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে, স্ত্রীকে খুশি করতে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে কোনো সত্যকে গোপন করারও অবকাশ রয়েছে। এটা শরিয়া সম্মত। তিনি বলেন,
যাঁরা তাঁর ব্যক্তিগত আলাপ, কথা জনসম্মুখে এনেছেন; তিনি (মামুনুল) তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করবেন। গোপনীয়তা লঙ্ঘন শরীয়ায় হারাম। প্রচলিত অাইনে অপরাধ। মামুনুল বলেন, ওই দিন অসাবধানতা ও নিজস্ব নিরাপত্তা না নিয়ে রয়্যাল রিসোর্টে ঘুরতে যাওয়া তাঁর উচিত হয়নি। ব্যক্তিগত অসাবধানতা ও পদক্ষেপ না নেওয়ায় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ও গতকাল ফেসবুক লাইভে এসে মওলানা  মামুনুল হক এ কথা বলেন।
৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করার ঘটনায় স্থানীয় সরকার সমর্থকেরা মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। ওই দিন তিনি জানান, সঙ্গে থাকা নারী তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। দুই বছর আগে তিনি বিয়ে করেছেন। কয়েকটি ফাঁস হওয়া ফোনালাপের সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় বিয়ে করার বিষয়টি মামুনুল হকের প্রথম স্ত্রী জানতেন না। তা ছাড়া রিসোর্টে স্ত্রীর নাম সঠিক বলেননি মামুনুল।

ওই ঘটনার পাঁচ দিন পর মামুনুল হক লাইভে এসে বলেছেন, ‘আমি একাধিক বিয়ে করেছি।’ তিনি দাবি করেন, ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী ও বাংলাদেশের আইনে একাধিক বিয়ের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। নিজের একাধিক বিয়ের কথা উল্লেখ করে মামুনুল বলেন, একজন পুরুষ চারটি বিয়ে করতে পারেন। চারটি বিয়ে করলে কার কী?
মামুনুল হক হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং খেলাফত মজলিসের মহাসচিব। রয়্যাল রিসোর্টে তিনি ঘেরাও থাকা অবস্থায় স্থানীয় হেফাজতে ইসলামের নেতা–কর্মীরা সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। পরে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান তাঁরা।

 

ওই দিনের ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। একটি মামলায় মামুনুল হককে আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে তাঁর পক্ষে দলীয় এক নেতা ঘটনার পরদিন থানায় একটি অভিযোগ করেন। যদিও সেটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি।

 

মামুনুল হক ওই দিনের ঘটনার জন্য পুলিশকে দায়ী করেন। এ ছাড়া স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতা–কর্মীদেরও দায়ী করেন। তিনি বলেন, যাদের কারণে এমন হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

লাইভে মামুনুল হক নিজের ও ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীর কথা উল্লেখ করে বলেন, সরকার মানুষের চরিত্রহননের কাপুরুষোচিত পন্থা অবলম্বন করেছে। এতে কেউই সম্মান নিয়ে চলতে পারবে না। এর প্রতিবাদ করতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়