Ameen Qudir
Published:2020-03-28 04:40:21 BdST
ক্রেন দিয়ে যেভাবে কবর দেয়া হল 'করোনা'য় মৃত বাংলাদেশী আমিনাকে
ডেস্ক / নিউজব্যাংকঃ
_______________________
করোনা ভাইরাসে নিউইয়র্কে জীবন দিলেন বাংলাদেশী আমিনা তৃষা। মৃত্যুর তিনদিন পর কবর দেয়া হল লং আইল্যান্ডে। অদ্ভুত উপায়ে সম্পূর্ণ যান্ত্রিক পদ্ধতিতে হলো দাফন-কাফন। ক্রেন দিয়ে কবরে নামানো হলো তরুণীর মরদেহ।
কোবিড ১৯-এ আক্রান্ত তৃষা মারা যান ২৩ মার্চ। নিউইয়র্কে জ্যামাইকার হাইল্যান্ড অ্যাভিনিউয়ে ছিলো বসবাস। স্বামী বোরহান চাকলাদার পেশায় 'উবার' চালক। তিনটি শিশু সন্তানের দুটি মেয়ে একটি ছেলে। কনিষ্ঠ কন্যাটির বয়েস মাত্র ১৪ মাস। নিউইয়র্কে তৃষার প্রবাসজীবন মাত্র চার বছরের।
বাবা মনির হোসেন হাওলাদার একাত্তরের বীর-মুক্তিযোদ্ধা। পৈতৃকনিবাস মুন্সী গঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মধ্যপাড়া-তেলিপাড়ায়। তৃষার পুরো নাম আমিনা ইন্দালিব। জন্ম ১৯৮২-এর ১৬ জানুয়ারি মুন্সিগন্জে। গুণবতী ও রূপবতী হিসেবে ছিলেন সবার প্রিয়ভাজনেষু। আকস্মিক প্রয়াণে স্বদেশে-প্রবাসে নেমেছে শোকের ঢল;
চৌদ্দ মাসের শিশু-সন্তানটির প্রতিপালন নিয়েও সিদ্ধান্তহীনতা চলছে। তবে সিটির পুলিশবিভাগ সরকারিভাবে লালন-পালনে আগ্রহী।
উল্লেখ্য, 'করোনা'য় নিহতদের লাশ দাফন নিয়েও সমস্যা বিস্তর। স্বাস্থ্যবিধিতে হাত দিয়ে লাশ ধরার বিধান নেই। করোনা' 'ছোঁয়াছুঁয়ি' রোগ হওয়ায় সেবাকর্মীরা সমাধিকর্মে অনাগ্রহী। তবুও বাংলাদেশ সোসাইটির হস্তক্ষেপে জটিলতার নিরসন হয়।
লং-আইল্যান্ডের কবরস্থানে দ্রুত 'সমাধি' বরাদ্দ দেয় সোসাইটি। সভাপতি-সম্পাদক কামাল আহমেদ ও রুহুল-আমিন সিদ্দিকী তৎপর হন। অবশেষে ২৬ মার্চ ধর্মীয় মর্যাদায় দাফনকার্য সম্পন্ন হয়। ক্রেনের মাধ্যমে কবরে নামানো হয় প্রয়াতর কফিন ।
আপনার মতামত দিন: