Ameen Qudir

Published:
2019-10-17 20:58:26 BdST

মানসিক রোগ ও রোগীকে লুকোবেন না, ঠেলে দেবেন না বড় দুর্ঘটনায়


বেঙ্গালুরুর মেয়ে বিশ্বখ্যাত বলিউড অভিনেত্রী দিপীকা পাড়ুকোন হলেন উত্তম নজির। তিনি গুরুতর ডিপ্রেশনের শিকার ছিলেন কৈশোরে ও প্রথম যৌবনে। একাকী থাকা ছিল পছন্দ। তার পরিবার বিষয়টি লুকোয় নি। হেলাফেলাও করেন নি। তারা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারে র শরণ নেন। তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করে পরিবার। পরে সেই আত্মহত্যাপ্রবণ মেয়েটি এখন পুরোপুরি সুস্থ । এবং বিশ্ব খ্যাত অভিনেত্রী। এ বিষয়ে দিপীকা খোলামেলা বলেন, সেই ডিপ্রেশনের সময় তার আত্মহত্যার ইচ্ছা জাগত বারবার। কিন্তু বাবা মা ছোট বোন তার পাশে ছিল। ছিল মানসিক রোগের সুযোগ্য ডাক্তাররা। তারাই তাকে নতুন জীবন দিয়েছেন। তথ্য দক্ষিণ ভারতীয় মিডিয়া।

ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
_______________________

বাংলাদেশে হার্টের অসুখ হলে কেউ অন্য কাউকে বলতে দ্বিধা বোধ করেনা। বরং উঁচু গলায় বলতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন । আগে পাইলস হলে অন্য কাউকে বলতে কিছুটা ইতস্তত করতেন। ইদানিং সেই অবস্থাটাও কেটে গেছে। কিন্তু মানসিক রোগ হলে চেপে রাখার অভ্যাসটা রয়েই গেছে সবার। রোগীর পাশাপাশি পারিবারিক পর্যায়ে চেপে রাখার প্রবৃত্তি বেশী। এর ফল ভয়াবহ। এর ফলে নানারকম সমস্যা হচ্ছে। বাড়ছে আত্মহত্যা। অথচ সঠিক সময়ে চেষ্টা করা গেলে, চিকিৎসা দিলে ওই আত্মহত্যার মত ঘটনা ঘটত না। শারীরিক রোগের মতো মানসিক রোগেও যে কেউ যখন তখন আক্রান্ত হতে পারেন। অনেকে ভেবে থাকেন কেবল বড় কোন কষ্ট পেলেই বিষণ্ণতা হয়। এই ধারণা ভুল। সবদিক থেকে সুখি একজন মানুষেরও যেকোন সময় ডিপ্রেশন হতে পারে। এরকম হলে কেউ কেউ ঘুমের ওষুধ খেয়ে কষ্ট ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করেন। কিন্তু মানসিক রোগের চিকিতসককে দেখাতে চান না। এসব বিষয় থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। মানসিক রোগের উপসর্গ থাকলে দ্রুত মানসিক রোগের বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া উচিত। তাতে বড় রকমের সমস্যা থেকে অনেকাংশেই বেঁচে থাকা সম্ভব হবে।

ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়