Ameen Qudir

Published:
2019-09-16 00:18:16 BdST

ওয়ার্ল্ড হেলথ আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেলেন অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশীদ


ডেস্ক / বিজ্ঞপ্তি
______________

কিডনি রোগের চিকিৎসা ও গবেষণায় ৪০ বছর ধরে অসামান্য অবদান রাখা কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশীদ এবার ওয়ার্ল্ড হেলথ সম্মাননা পেলেন । কিডনি রোগীদের চিকিৎসা প্রদান, কিডনি সংযোজন ও ডায়ালাইসিস সম্প্রসারণ, রোগ প্রতিরোধে গবেষণা ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়াসহ নানা বিষয়ে অক্লান্ত পরিশ্রমের স্বীকৃতি-স্বরূপ ২০১৯ সালের এই পুরস্কার পান ।

উপমহাদেশের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস এবং সিএইচআরও এশিয়া যৌথভাবে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে   ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তাকে এ পুরস্কার তুলে দেন। অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদ ২০১৭ সালে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব নেফ্রোলজি কর্তৃক আইএসএন পাইওনিয়র পুরস্কারে ভূষিত হন।

 

জুরি বোর্ড জানায়, কিডনি রোগের বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা দিয়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পেশাগত কাজে ডা. হারুন আর রশিদের নীতি ও দৃষ্টিভঙ্গি, আন্তরিকতা, পরিচলন দক্ষতা, ভবিষ্যত পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে তাঁকে এ সম্মাননা জানানো হয়। ৭ সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক জুরিবোর্ড সকল দিক বিশ্লেষণ করে তাঁকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে।

অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদ ন্যাশনাল কিডনি ডিজিজেজ এন্ড ইউরোলজি (নিকডু) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। এছাড়াও তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কিডনি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সোসাইটি অব অরগান ট্রান্সপ্লান্টের সভাপতি ও কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদ পাবনা জেলা স্কুল থেকে এসএসসি, পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি এবং রাজশাহী মেডিকেল থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। পরে বিসিপিএস থেকে এফসিপিএস করে ১৯৭৭ সালে স্কলারশিপ নিয়ে ইংল্যান্ডে যান এবং ওখানে পিএসডি করেন। তারপর সেখান থেকেই কিডনি রোগের ওপর হায়ার ট্রেনিং নিয়ে ১৯৮২ সালে তৎকালীন আইপিজিএমআর এ সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন।আইপিজিএমআর পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। সেখানে তিনি সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন। পরে ১৯৯৯ সালে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেসের প্রথম প্রজেক্ট পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হন। এছাড়াও তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কিডনি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সোসাইটি অব অরগান ট্রান্সপ্লান্টের সভাপতি ও কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

 

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়