SAHA ANTAR
Published:2020-09-12 17:19:57 BdST
ডা. জাফরুল্লাহর সাথে দ্বিতীয়বারের মতো মুখোমুখি সাক্ষাৎকার
মোশতাক আহমেদ
কবি
ও চিকিৎসক
________________________
১লা সেপ্টেম্বর ২০২০। আজ আমার দুই যুগের পেশাগত জীবনের সবচেয়ে বড় স্বীকৃতিটি পেলাম।
জাফর ভাইয়ের সাথে আজ আমার জীবনে দ্বিতীয়বারের মতো মুখোমুখি সাক্ষাৎকার । প্রথম সাক্ষাৎ ছিল পঁচিশ বছর আগে, সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গ্যারেজের সামনে, যেদিন ভাল করে মোটর সাইকেল চালানো না শিখে কেন পাবলিক হেলথে কাজ করতে এসেছি বলে মৃদু ভর্ৎসনা করেছিলেন।
আজ তিনি আমার 'গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গল্প: পাবলিক হেলথের প্রথম পাঠ' শিরোনামের লেখাটি পড়ে গল্প করতেই ডেকেছিলেন। লেখা পড়ে কিছুতেই আমাকে স্মরণ করতে পারেননি বলে দেখা করার জন্য আরো বিশেষভাবে বলেছিলেন। সদ্য রোগমুক্ত শরীর নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সি আর দত্তের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া থেকে ফিরে ক্লান্ত থাকা সত্ত্বেও এক ঘন্টার বেশি গল্প করলেন চা খেতে খেতে। বললেন, লেখাটি তাঁর পছন্দ হয়েছে, পঁচিশ বছর আগের গ্রামীণ স্বাস্থ্য কর্মসুচির খুবই প্রাণবন্ত ( vivid) ও প্রামাণ্য চিত্র ফুটে উঠেছে আর খুবই কৌতূহল উদ্দীপক ( intersting) লেখা। আজ নিজেকে স্বার্থক মনে হল যখন এই জীবন্ত কিংবদন্তী বললেন- আমার লেখা পড়ে মনে হয়েছে আমি পাবলিক হেলথে বিশ্বাস রাখি ( believer) আর এ বিষয়ে আমার নিজস্ব দৃষ্টিভংগি ( insight বলেছিলেন) গড়ে উঠেছে। পেশাগত জীবনের সবচেয়ে বড় স্বীকৃতিটি আজ পেলাম!
বাংলাদেশে পাবলিক হেলথের ভিত গড়েছেন তিনি। এখনো অনুসন্ধিৎসু টেলিমেডিসিন কিংবা মিডওয়াইফারি প্রোগ্রামের মতো সমসাময়িক ইস্যুর অগ্রগতি ও সম্ভাবনা নিয়ে! ভাবছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পঞ্চাশ বছর উদযাপনের কথাও। ভাবতে অবাক লাগে, প্যারামেডিক আর নতুন ডাক্তাররা কীভাবে আরেকটু ভাল করে পাবলিক হেলথটা শিখবে, বুঝবে, আস্থা রাখবে, চর্চা করবে - সেটা এখনো, এই বয়সেও তার নিত্য অনুধ্যানের বিষয়!
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এখন সুস্থ ও পুরোমাত্রায় কর্মক্ষম আছেন দেখে খুবই ভাল লাগল। যাঁরা দিতে এসেছেন, তাঁরা দেশ ও সমাজকে আমৃত্যু দিয়েই যান; আমরা গ্রহনে সক্ষম কীনা সেটা ভিন্ন ব্যাপার।
[আমার ১৫ পর্বের লেখার লিংকটা এখানেও রইল:
আপনার মতামত দিন: