Ameen Qudir

Published:
2019-10-25 00:31:29 BdST

চিকিৎসককে পিটিয়েই দমেন নি ভাইস চেয়ারম্যান, আটকে রেখেছিলেন বাথরুমে


 

বাঁ দিকে প্রহারকারী ইউসুফ ও ডানে অবরুদ্ধ থাকা ডা. শাকিল

ডেস্ক
____________________

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইউসুফ আলী শেখ  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাকিল হামজাকে মারপিট করে পিটিয়েই দমেন নি ; দেড়ঘণ্টা বাথরুমে বন্দি করে রেখেছিলেন । এ নিয়ে বিস্তারিত খবর ছাপা হয়েছে বাংলাদেশের একমাত্র টেবলয়েড পত্রিকা মানব জমিনে। পত্রিকাটির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান বিস্তারিত। তিনি জানান, এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা নেয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন আহত চিকিৎসক। চিকিৎসক ডা. শাকিল হামজা অভিযোগ করে বলেন, সোমবার দুপুরে হাসপাতালে রোগী দেখার সময় একজন মহিলা (পুরাতন রোগী) এক যুবককে নিয়ে টিকিট ছাড়া রুমে প্রবেশ করেন। নতুন রোগীর চাপ থাকায় তাকে পরেরদিন আসার জন্য পরামর্শ দেই। তারা চলে যাবার ৫/৭ মিনিট পরে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ শেখ কক্ষে প্রবেশ করেই আমাকে মারপিট শুরু করেন। আমাকে গলা চিপে লাথি মারতে মারতে টেনে হিঁচড়ে জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। এ অবস্থায় আত্মরক্ষার্থে আমি জরুরি বিভাগের বাথরুমে প্রবেশ করলে আমাকে সেখানে দেড়ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে বের হয়ে একটি ওষুধ কোম্পানীর গাড়িতে পালিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছি।

বিকেলে ঘটনার বিষয়ে মামলা করতে থানায় গেলে ওসি সাহেব বলেন, আপনার সম্পর্কে অনেক নেগেটিভ কথা শুনেছি। অভিযোগ নেয়ার কথা বললেও নানা টালবাহানায় তিনি অভিযোগ নেয়নি। বিষয়টি আমি সার্কেল এএসপি ও ঊর্ধ্বতন চিকিৎসক কর্মকর্তাদের অবগত করেছি। এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ওসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, চিকিৎসক থানায় এসে ঘটনার কথা জানিয়েছেন। অভিযোগ নিয়ে পরে আসবেন জানালেও আর আসেননি। ওসি আরও বলেন, চিকিৎসক কোন অভিযোগ না দিলেও একজন মহিলা তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন। বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তাসলিমা জান্নাত জানান, ডা. শাকিলের সাথে একজন মহিলা রোগীর কথা কাটাকাটি কারনে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে এসে কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারপিট ও বাথরুমে আটকে রেখেছিল। কোন জনপ্রতিনিধি একজন সরকারি চিকিৎসকের গায়ে কোনভাবেই হাত তুলতে পারে না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
এ বিষয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউসুফ আলী শেখ জানান, চিকিৎসক শাকিল হামজা একজন মহিলা রোগীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। বিষয়টি জানার পর আমি চিকিৎসকের রুমে গিয়ে দুর্ব্যবহারের কারণ জানতে চাইলে তার সাথে আমার তর্কাতর্কি হয়েছে। মারপিটের কোন ঘটনা ঘটেনি।
দৈনিক মানব জমিনের সৌজন্যে প্রকাশিত।

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়