Ameen Qudir
Published:2019-04-18 01:52:11 BdST
মাছ বিক্রেতা বা রিকশাচালকও কোন যাদু বলে হয়ে গেছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার
ডেস্ক
________________________
এক সময়ে মাছ বিক্রেতা বা রিকশাচালক ছিলেন, তারাই কোন যাদুবলে হয়ে গেছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।
র্যাব ও পুলিশের অনুসন্ধানে ভুয়া চিকিৎসকদের বিচিত্র পেশাগত পরিচয়ের তথ্য এখন গোয়েন্দাদের টেবিলে । অনেকের লেখাপড়ার দৌড় অষ্টম শ্রেণি থেকে এইচএসসি পর্যন্ত। পাড়া-মহল্লার ফার্মেসি ও ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারেই তাদের আস্তানা। সনদ ছাড়াই তারা নামিদামি চিকিৎসক হয়ে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রক, অধিদপ্তর , সিভিল সার্জন অফিস, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) বা বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) এবং সংশ্লিষ্ট কর্তাদের নজরদারি না থাকায় তারা অপকর্ম করছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তাব্যক্তিরা মনে করছেন।
অন্যদিকে স্বাস্থ্য কর্তা ও সিভিল সার্জনরা বলছেন, তাদের আইনি ক্ষমতা নেই। ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার নেই। এ অবস্থায় লোক হাসানো ছাড়া কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব নয়। তাই অনেকের দাবি, স্বাস্থ্য কর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি দিলে দেশে কোন ভুয়ো ডাক্তার থাকবে না।
ঢাকাসহ সারা দেশে অন্তত সহস্রাধিক ভুয়া চিকিৎসক সক্রিয়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রকৃত চিকিৎসকদের নামও ব্যবহার করেন। ওইসব ভুয়া চিকিৎসকের সঙ্গে ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক ও ফার্মেসি মালিকদের রয়েছে গভীর সখ্য। তারা সবকিছু জেনে রোগী দেখার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। এমনকি অসাধু পুলিশ সদস্যদের সঙ্গেও তাদের সখ্য আছে। ডাক্তারি পেশায় আসার আগে কেউ কেউ মাছ বিক্রেতা থেকে শুরু করে রিকশা পর্যন্ত চালিয়েছিলেন।
এদিকে ভুয়া চিকিৎসকদের প্রতারণা ঠেকাতে আগামী মাসে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) জোরালো অভিযানে যাচ্ছে। এরই মধ্যে এ দুুটি সংগঠন চিকিৎসকদের নির্দেশ দিয়েছে প্রেসক্রিপশনে রেজিস্ট্রেশন ও মোবাইল নাম্বার দিতে। এগুলো কেউ ব্যবহার না করলে চিকিৎসকদের সনদ স্থগিত করা হবে।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব এহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ভুয়া চিকিৎসকদের কারণে আমাদের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের সঙ্গে অপকর্ম করছেন। সনদ না নিয়েই তারা এমবিবিএস চিকিৎসক হয়ে যাচ্ছেন। বিএমডিসির মাধ্যমে আমরা প্রকৃত চিকিৎসকদের বলে দিয়েছি প্রেসক্রিপশনে রেজিস্ট্রেশন ও মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। এখনো অনেকে ব্যবহার করেন না বলে অভিযোগ এসেছে। তবে আগের চেয়ে প্রকৃত চিকিৎসকদের সচেতনতা বেড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগামী মাস (মে) থেকে আমরা জোরালো অভিযানে যাব। প্রেসক্রিপশনে রেজিস্ট্রেশন ও মোবাইল নাম্বার না দিলে সনদ স্থগিত করা হবে।’
আপনার মতামত দিন: