Ameen Qudir

Published:
2019-11-17 06:16:28 BdST

প্রথমবারের মত মেডিকেলে অধ্যক্ষ হেনস্থাকারী ছাত্রদের বিরুদ্ধে যেভাবে শক্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল


অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক
বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক, অধ্যাপক

________________________

একদল উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র রাজশাহী মেডিক্যালের মাননীয় অধ্যক্ষকে মারাত্মক হেনস্থা করে ।

এই ঘটনা ১৯৮৪সালেই ঘটে। ছাত্র নামের দুস্কৃতিকারীর এই ঘটনার প্রেক্ষিতে প্যাথলজির সম্মানিত অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ২৩.৭.১৯৮৪ এ এক সাধারণ সভায় টিচার্স এসোসিয়েশন গড়ে ওঠে আধ্যাপক নাজিম উদ্দিন - ডাঃ মজিবুল হক(আমি) এর নেতৃত্বে।
সারা বাংলাদেশ থেকে আমরা সমর্থনসূচক পত্র পাই। তবে অরাজকতার চাপ ও অসুস্থতায় নাজিম উদ্দিন স্যার পদ ত্যাগ করেন। তিনি ছিলেন স্থানীয় এবং প্রভাবশালী। আমি একেবারেই সুদূর সিলেটের সন্তান।
তবুও ভয়, ভীতি উপেক্ষা করে লেগে থাকি।

ঢাকায় অধ্যাপক ফিরোজা বেগমের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ মেডিক্যাল শিক্ষা ফেডারেশন এক সভায় সারা বাংলাদেশের সব শিক্ষক প্রতিনিধি উপস্থিত হয়ে আমাদের সমর্থন যোগান।

আমরা২/৩ মাস কলেজ বন্ধ রাখি।

আমি, অধ্যাপক সানোয়ার (বর্তমানে স্কয়ারে ) জেলা প্রশাসক এর সংগে দেখা করে অরাজকতা, ভীতি প্রদর্শন নিয়ে অনুযোগ করি। খুবই শক্ত ব্যবস্থা নেন তিনি।

শেষ পর্ষন্ত শিক্ষা পরিচালক আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক অধ্যাপক আবুল হোসেন ঢাকা থেকে আসতে বাধ্য হন, আমাদের ঢাকা নিয়ে যান। স্বাস্থ্য সচিব এর একান্ত আবেদন এ একটাউইন উইন অবস্থায় কলেজ খুলি।

অধ্যাপক খালেক স্যার , সকল সিনিয়র শিক্ষক বৃন্দ,ডাক্তার ডাঃরফিকুল(কমুনিটি মেডে )ডাঃ মোতালেব এর সাহসী তৎপরতা মনে পড়ে। আমারা সত্যিই এক অনন্য ইতিহাস গড়ি।

এখন বুঝি, চিকিৎসকরা দলীয় ধামাধরা হয়ে পড়লে ইচ্ছা, অনিচ্ছায় দুর্নীতিগ্রস্ত ও কর্মক্ষমতা ও সাহস হারান।

(আমি অবশ্য এমবিবিএস পাশ করার পরই বৃহত্ত্বর সিলেটের বিমএ র প্রথম জেনারেল সেক্রেটারি নির্বাচিত হই২৭বছর বয়সে।। বিএমএ টি ছিলো বৃহত্তর সিলেট জু ড়ে।)

আমারে অনেক দিয়েছ প্রভু।
____________________________

অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক

MBBS (Dh), FCPS, FRCP, DDV (Dhaka), DDV (Vienna).Former Professor & Head, Dept. of Dermatology, Dhaka Medical College & Hospital (DMCH).

Dermatologist and Sexual Medicine specialist. Also in Skin Allergy and Male Infertility.

 

আপনার মতামত দিন:


ক্যাম্পাস এর জনপ্রিয়