DR. AMINUL ISLAM
Published:2025-01-08 09:15:01 BdST
শুধু সংখ্যায় নয়, গবেষণার গুণগত মান বৃদ্ধি করতে হবে: অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম
বিএসএমএমইউ বিজ্ঞপ্তি
_____________________________
মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারি ২০২৫ইং তারিখে বিএসএমএমইউর পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর যৌথ উদ্যোগে গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে (Fostering Research Culture) একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম বলেন, বিএসএমএমইউতে সবচাইতে বেশি গবেষণা হয়। তবে শুধু গবেষণার সংখ্যা বাড়ালেই হবে না, গবেষণার গুণগত মান বৃদ্ধি করতে হবে। গবেষণার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলেরই উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা অত্যন্ত ইতিবাচক ও অনুপ্রেরণামূলক। বিএসএমএমইউর বর্তমান প্রশাসন গবেষণার ক্ষেত্রে সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। তবে গবেষণার মাধ্যমে যাতে রোগীরা উপকৃত হন সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। উপাচার্য তার বক্তব্যে গবেষণার কারিগরি ও ফান্ডের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তা প্রত্যাশা করেন।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, উন্নতমানের গবেষণা নিশ্চিত করতে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। গবেষণার বিষয়ে যে সকল ফ্যাকাল্টিগণ দায়িত্বে থাকেন তাদেরকে আরো সক্রিয় ও দায়িত্বশীল হতে হবে।
উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মুজিবুর রহমান হাওলদার বলেন, শুধু কথায় নয়, গবেষণার ক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে। সেই লক্ষ্য পূরণে বিএসএমএমইউতে সেন্ট্রাল রিসার্চ সেন্টার চালু করা হবে। জার্নাল ক্লাবকে ঢেলে সাজানো হবে। গবেষণার দায়িত্বে যারা থাকবেন অবশ্যই তাদের গবেষণার জন্য অধিক সময় দিতে হবে।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার বলেন, শুধু পাশের জন্য থিসিস করা বা দায়সারা ধরণের গবেষণা করার মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, নতুন নতুন গবেষণার দিকে মনোযোগী হতে হবে। এমন যেনো না হয় যে, একই ধরণের থিসিস বা গবেষণা একটু পরিবর্তন করে নতুন মোড়কে সাজানো হয়।
ন্যাশনাল রিসার্চ ইথিকস কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এম এ শাকুর, হাউ টু গাইড থিসিস, এ হ্যান্ড বুক ফর পোস্ট গ্রাজুয়েট থিসিস সুপারভাইজরস প্রসঙ্গে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, আইআরবি বা ইআরসি এর মেম্বার যারা হবেন তারা ন্যাশনাল গাইড লাইন অন রিসার্চ এন্ড ইথিকস, ইন্টারন্যাশনাল গাইড লাইন অন রিসার্চ এন্ড ইথিকস এবং গুড ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস এই তিনটি বিষয়ের উপর অবশ্যই গুরুত্ব দিবেন। যারা থিসিসের গাইড হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তারা অবশ্যই ছাত্রদেরকে একটু বেশি সময় দিবেন, তাহলেই উন্নতমানের গবেষণা ও থিসিস সম্পন্ন করা সম্ভব।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোঃ রুহল আমিন, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোঃ আতিয়ার রহমান, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, প্রিভেনটিভ এন্ড সোস্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোঃ আতিকুল হক, প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ, বিএসএমএমইউর জার্নালের এডিটর অধ্যাপক ডা. এম মোস্তফা জামান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. ফেরদৌস হাকিম, ডা. মোঃ রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব প্রমুখ।
#
আপনার মতামত দিন: