Ameen Qudir
Published:2019-11-01 00:04:51 BdST
বিএসএমএমইউতে লিম্ফ ইডিমা ক্লিনিক প্রতি সোমবারে
ডা. রুবাইয়াত রহমান
_________________________
জন সচেতনতা ও আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাই ,
স্তন ক্যান্সার সচেতনতা চলছে। কিন্তু যাদের ক্যান্সারটি হয়ে গেছে তাদের কি হবে ? তারা সকলেই কি নিরাপদ। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা আজ সেসকল মানুষদের কে ই সেবা দিতে বেশী পছন্দ করেন যাদের রোগ সম্পুর্ন ভালো হয়ে যাবে কিন্তু যারা কিনা রোগটিকে আমৃত্যু বয়ে নিয়ে যাবেন অথবা যারা কিনা রোগের বিরুপ প্রভাব নিয়ে বেঁচে থাকবেন , তাদের জন্য আমাদের স্থানটি কি এই সেবা ব্যাবস্থা আমাদের কে দেখিয়ে দিয়েছে। প্রশ্ন রেখে গেলাম ?
যারা ই আমার এই লিখাটি পড়ছেন , আপনাদের যদি জিজ্ঞাসা করি নিজের কোন জিনিষ্ টি আপনি খুব বেশী পছন্দ করেন- কোন কিছু চিন্তা না করেই সব্বাই উত্তর দিবেন নিজের সুন্দর গড়ন ও চেহারা। কিন্তু আমরা কি একবার ভেবে দেখেছি ,স্তন ক্যান্সারের অপারেশানের পর একজন ব্যাক্তির অভিব্যাক্তি কি হয় ? তার দেহের ও মানুষিক গড়নের কি অবস্থা হয় ? এই টা ভেবে দেখবার সময় কি আমাদের হয়েছে ? সহজ অকপট উত্তর হয়ত – না ।
আমাকে অনেকেই পাগল বলতে পারেন , তাদের জন্য বলব, কিছুক্ষনের জন্য নিজেকে সেই অবস্থায় একবার বসিয়ে ভাবতে পারেন। দেখবেন আপনার অস্ত্বিত্ব সব ধুলোয় মিশিয়ে যাচ্ছে। কারন আপনার সৌন্দরর্যতা আপনার অহংকার।
স্তন ক্যান্সারের অপারেশানের পর অনেককেই দেখা যায় ,তারা কিছুদিন পর হাত ফুলা নিয়ে চলে আসেন। কিন্তু এই বিষয়ে অপারেশনের পর পর ই আসলে তাদের একটি ধারনা দিয়ে রাখা ভাল যা কিনা এই রোগের একটি বিরুপ প্রভাবে ফল, নাম – লিম্ফ ইডিমা । ক্যান্সারটিকে নির্মূল করতে অপারেশানের সময় এমন কিছু জরুরি অংগকে কেটে ফেল্তে হয় ( লিম্ফনোড ) যা, রোগীর ভালো র জন্য ই করা হয়। এই লিম্ফনোডের কাজ ছিল , হাতের জ্বলীয় অংশকে শরীরের মূল প্রবাহে দিয়ে দেয়া। কিন্তু পরবর্তিতে এই অঙ্গের অভাবে হাতে পানি জমে যায় এবং জীবনে নেমে আশে শারিরিক এ মানুষিক কস্টের।
আমার এতগুলো কথা বলার কারন হল, এই পরিবর্তনের ( হাত ফুলে যাওয়ার ) তেমন কোন ঔষুধ না থাকলে ও প্রতিকার আছে এবং, এর একমাত্র চিকিথসা হল বিশেষ কিছু ব্যায়াম ও সেবা। এই বিষয়ে বিশেষায়িত সেবা কেবল মাত্র সেন্টার ফর প্যালিয়েটিভ কেয়ার, বংগবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১ সাল থেকে হয়ে আসছে। আগে খুব ক্ষুদ্র পরিসরে থাকলেও বর্তমানে রোগীদের কথা ভেবে ডাঃ শারমিন কাদিরের নেতৃত্বে ,ডাঃ মারুফা খানম অন্যান্য চিকিৎসকদের নিয়ে প্রতি সোম বার “ লিম্ফ ইডিমা ক্লিনিক “ ই ব্লকের ৫ তলায়, প্যালিয়াটিভ কেয়ার সহকারীদের সহায়তায় এই সেবা দিয়ে আসছে।
সবার চিন্তা যেখানে শেষ , আমাদের শুরু সেখানে। বাংলাদেশ- এ আমার জানা মতে এ ধরনের সেবা এখানে ই প্রথম। উদ্দেশ্য, সচেতনতার মাধ্যমে এই প্রতিক্রিয়ার থেকে সুস্থ্য থাকা
আশা করি এই খবর টি আপনাদের কাজে লাগবে ।
_________________________
Dr.Rubayat Rahman
Medical officer,
Palliative Medicine,
Bangabandhu Sheikh Mujib Medical University,
shahbagh, Dhaka.
আপনার মতামত দিন: