Ameen Qudir

Published:
2018-05-24 17:31:47 BdST

ঈদে লাক্ষা দ্বীপ,আন্দামান নাকি সিল্ক রুট : চলুন সুলভে শ্যামলদার সঙ্গে


 

 



ডা. সুজানা সাবেরী
_____________________

আসছে ঈদে ভ্রমণ শিডিউল কি ফাইনাল। এখনও যদি চুড়ান্ত বুকিং না দিয়ে থাকেন , তবে আমি অতি কম খরচে লাক্ষা দ্বীপ;আন্দামান, সিল্করুট সহ নানা গন্তব্যে ভ্রমণের হদিস দিতে পারি।
এই যে শ্যামলদার কথা বললাম। তার ব্যাপারে পরে আসছি।
আগে কম খরচের রহস্য বলি।
ঢাকা থেকে কোন ট্যুর অপারেটরের সঙ্গে রফা দফা করে যে ভ্রমনে যান , সব ক্ষেত্রেই আপনি জনপ্রতি ৫/ ৭ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকার বেশী খরচ করছেন অযথাই।

লাক্ষা দ্বীপ


ঢাকার অপারেটররা কোন রকম কাজ না করেই আপনার কাছ থেকে টাকাটা বাগিয়ে নিচ্ছেন। বিষয়টা হল, তারা আপনাকে কলকাতা বা দিল্লির কোন অপারেটরর কাছে গছিয়ে দিচ্ছে। যে টাকা কলকাতা দিল্লীর অপারেটর নিচ্ছেন রুপিতে ; সেটা টাকায় কনভার্ট করে ; তার সঙ্গে ঢাকা কলকাতা বিমান বা বাস রেল যুক্ত করছে। আর এই বাড়তি টিকেটটা করে দিয়েই সবকিছুর ওপর ওই বিশাল জনপ্রতি টাকাটা নিয়ে নিচ্ছেন।
আমার ভ্রমণ ব্যবসায়ী কাজিনের কাছে রহস্যটা জেনে অনলাইনে কলকাতায় এই শ্যামলদার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে আমরা লাক্ষা দ্বীপ ঘুরে এলাম অতি সুলভে। স্টার ভ্রমণ। কোন হয়রানি নেই। তারপর হিসেব করে দেখলাম অামার ৭ জনের পরিবার ট্যুরে ঢাকার অপারেটরের তুলনায় সর্বমোট ৭০ হাজার টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
এবার আসি শ্যামল দার প্রসঙ্গে। তার পুরো নাম শ্যামল চট্টোপাধ্যায়। কলকাতার মানুষ। তিনি গন মানুষের রাজনীতি করা লোক। পাশাপাশি পর্যটক নামে তার একটি ট্যুর প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
কলকাতায় নানা প্রয়োজনে যখন মানুষের দুর্যাগকালীন সহায়তা লাগে; তখন এই শ্যামলদা ঝাঁপিয়ে পড়েন সদলবলে। কি রক্তদান। কি মরনোত্তর দেহদান। সব কাজের কাজি তিনি।
তার সঙ্গে পরিচয় অনলাইনে।
পরে ব্যাক্তিগত আলাপে যত জেনেছি তত মুগ্ধ হয়েছি।

পর্যটক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি যার যেমন সাধ্য তেমন কাস্টমাইজ ট্যুর প্লান করে দেন।
কোনরকম আগরম বাগরম নেই। সম্পূর্ণ পেশাদার। যেমন কাস্টমাইজ করবেন। ঠিক তেমন সেবা পাবেন। উনিশ বিশ নেই।

নেটে তার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন এই ঠিকানায়। [email protected]

লাক্ষা দ্বীপ

 


এখানে শ্যামলদার ব্যবস্থাপনায় যে লাক্ষা দ্বীপ ভ্রমনে গিয়েছি, তার বিস্তারিত দিলাম। যে খরচপাতি , সব পরিস্কার। কোন লুকোছাপা নেই। তবে সিজন ও নানা তারতম্যে টুকটাক পরিবর্তন হয়। মনে রাখতে হবে আপনার কলকাতার শ্যামল খরচের সঙ্গে ঢাকা কলকাতা ঢাকা যাতায়াতটুকু নিজ দায়িত্বে করতে হবে।

Agatti Island(Lakshadweep) (3N/4D-Package 2 Pax 1 Double room)

Day 1:

After reaching Agatti Airport our team will receive you and will make the road transfer to villa, after lunch can proceed for half day Island sight-seeing, feel the tradition, custom and culture of the local people of Lakshadweep.

DAY 2: (Agatti – Bangaram Island & Thinnakara Island, uninhabited island-Optional)

After breakfast will make boat transfer to Bangaram Island, Please note this trip takes 1 ½ hr travel by sea-one way, on the way you can watch the dolphins and green turtles, Lunch will be provided at the beach of Bangaram and our boat will bring you to Thinnakara Island for sightseeing, evening after tea will proceed back to Agatti island for the night stay.
Day 3: (Agatti – Kalpitty Island, uninhabited island-Optional)
After Breakfast You can try for water sports(Optional), After Lunch will make transfer to Kalpitty Island on boat which takes 45minutes , where you can enjoy the beauty of sunset. After sunset proceed back to Agatti island for the night stay.

 

লাক্ষা দ্বীপ


Day 4:

This is the final day of Lakshadweep trip after breakfast Transfer to Agatti Airport for return flight to Home with sweet memories.
Beach view Villa: (both sides beach) 3N/4D 2 Pax

Rs. 18,500/-Per person (optional - Bangaram, Thinnakara and Kalpitty)

Rs. 13,500 /- per person (without optional)
Standard villa 3N/4D 2 Pax

Rs. 16,300/-per person (optional - Bangaram, Thinnakara and Kalpitty)
Rs. 11,300/-per person (without optional)

GST- applicable

লাক্ষা দ্বীপ

 

Caption



Package includes:

1. Pick-up and Drop at Agatti Airport And Boat jetty
2. Agatti Island sight-seeing
3. STD A/C Room
4. APAI PLAN (B/fast + Lunch & Dinner)
5. Entry permit and heritage fee
6. Documentation and processing fee
7. Our personal assistance in the Island

Package Excludes:
1. Air / Ship fare to Agatti
2. Any extras other than mentioned in inclusion
Water Sports Activities with cost:

Scuba Diving –Rs.2500/-per person (1-Hour)
Snorkeling-Rs.750/-pp-1 Hour
Glass-Bottom Boatride-Rs.750/-pp
Kayaking-Rs.500/-pp
Turtle Watch-1200/-pp (one and half hour)

Documents Required;
1. Scanned copies of I.D proof (Voter I.D/Aadhar) & 3 passport size photo

2. Police Clearance Certificate (PCC) from local Police station (Hard copy required 25 days prior departure)

Feel free to contact us for any kind of assistance and assuring you best of services of all time. Awaiting your early response.

Thanks & Regards
Shyamal Chatterji
(PARYATAK)
9674131313
9830226357
(033) 2555-0263

 

 

লাক্ষা দ্বীপ


শ্যামলদা সুলেখক । তার একটি ট্যুর টিপস এখানে দিলাম। ___________________
কিছুদিন যাবৎ ভ্রমণপিপাসু মানুষদের কাছে বেড়াতে যাবার জন্য এই নামটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই সিল্ক রুটের ইতিহাস আছে। সিল্ক রুটের বাংলা তর্জমা করলে যা পাই তা হলো রেশম পথ। এই নামকরণ কেন? আমরা অনেকেই বলি এই পথে ভারত-চীনের মধ্যে সিল্ক মানে রেশমের ব্যবসা হতো। এটা আংশিক ঠিক। যে পথে আমরা চার রাত বা পাঁচ রাত ভ্রমণের জন্য কাটাতে যাবো সেই রাস্তার ইতিহাস একটু খতিয়ে দেখা যাক।
প্রথমেই জানাই যে মূল রেশম পথ বা সিল্ক রুটের কোন অস্তিত্ব আজ আর নেই। ভ্রমণসংস্থাগুলো ‘ওল্ড সিল্ক রুট’-এর গুল্পো ছেড়ে ব্যবসা করে মাত্র। আমরা মানে ‘পর্যটক’ সেই গুল্পোতে বিশ্বাস নই বলে এই পথের সামান্য ইতিহাসটা তুলে ধরতে চাই।

 

শ্যামলদা সুলেখক


এই রেশম পথ বা আমাদের বেড়ানোর সিল্ক রুট আসলে এশিয়ার উপমহাদেশীয় অঞ্চলগুলো মধ্য দিয়ে পূর্ব ও পশ্চিম এশিয়া, ইউরোপ ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলকে সংযুক্ত করে একটি প্রাচীন বাণিজ্যিক পথ ছিল। এই পথের সৃষ্টি আজ থেকে ২০০০ বছর আগে। যীশুখ্রীস্ট জন্মানোর প্রায় ২০০ বছর আগে তখন চীনে হান বংশের রাজত্বকাল। ইতিহাসের পাতায় লেখা আছে এই সময় চীনের স্বর্ণযুগ। যাইহোক, এই সময় চীনের পশ্চিমে মঙ্গোলিয়ান যাযাবরেরা খুব ঝামেলা বা আক্রমন করতো। তখনকার হান বংশের রাজা ইউদি মঙ্গোলিয়ান যাযাবরদের সাথে সমঝোতা করার জন্য ঝাং কিয়ান নামে এক রাজ কর্মচারীকে পাঠান। কিন্তু মঙ্গোলিয়ান যাযাবররা ঝাং কিয়ানকে বন্দী করে রেখে দেয়। কিছু দিন পর ঝাং কিয়ান পালাতে সক্ষম হন। মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন পথ ঘুরে ঝাং কিয়ান চীনে এসে পৌঁছান। তাঁর মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন তথ্য থেকে এক ব্যানিজিক সম্ভবনার সৃষ্টি হয়। আর তাঁর ফিরে ফিরে আসা পথের বিবরণ থেকেই যে পথের সৃষ্টি হয় তাই আমাদের বেড়াতে যাবার পথ ‘সিল্ক রুট’ বা ‘রেশম পথ’। আমাদের অনেকেরই ধারণা এই পথে সিল্কই ছিল প্রধান পণ্য, অন্যান্য নানা পণ্যও আনানেওয়া হতো। ভারতীয়, ফার্সী,আরব ও ইউরোপিয় সভ্যতার উন্নয়নে এই বাণিজ্য পথের বিশাল প্রভাব ছিল। কিন্তু তা সম্পূর্ন ঠিক নয়। এই পথের মূল ব্যবহার ছিল কিন্তু প্রতিরক্ষার জন্য। এশিয়ায় নতুন ধর্মের উদ্ভব ও প্রসার রেশমপথের বণিকদের ওপরই নির্ভরশীল ছিল। চীন দেশ থেকে এই পথ ধরে রেশম ভারতসহ পৃথিবী অনান্য দেশে ছড়িয়ে পড়তো। আবার কেউ কেউ বলেন তাম্রলিপ্ত থেকে রেশম যেত তিব্বতে। যদিও দ্বিতীয় তথ্যের তেমন কোন ভিত্তি আমি খুঁজে পাই নি। পদমচেনের কাছে পুরোনো রেশম পথে ভগ্ন চিহ্ন দেখা যায়। এইখানেই আছে ৫০০ বছরের একটি মনিস্ট্রি। ভ্রমণকারীদের জন্য মনে হয় এইটুকুই যথেষ্ট। আরো একটা কথা বলে রাখি যে এই সিল্ক রুট শুরু কিন্তু আসলে রংপো থেকে যেখান যেখান থেকে আপনাকে সিকিম ঢোকার পারমিট নিতে হচ্ছে। আমরা যে সিলারি গাঁও বা আরিতার ইত্যাদি যেখানে থাকি তা কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে। রংলি যেতে এই জায়গাগুলো পড়ে আর এই জায়গাগুলো খুবই সুন্দর। তাই এদের সিল্ক রুটের যাত্রাপথে জুড়ে দেওয়া। এছাড়াও অনেকটা পাহাড়ি পথ একসাথে অতিক্রম করার ধকল এড়ানোর জন্যও এইখানে থাকাটা স্বাভাবিক।
এইখানে কে বা কারা কীভাবে যাবে সেটা সম্পূর্ণ তাদের ইচ্ছানুযায়ী। এইখানে সেইভাবে কোন হোটেল নেই। সবই হোম স্টে।
এই সিল্ক রুট যদি যেতে চান আমাদের সাথে মানে পর্যটক-এর ব্যবস্থাপনায় চলুন।

বিস্তারিত জানার জন্য যোগাযোগ করুন।
পর্যটক [email protected]
৯৬৭৪১৩১৩১৩
৯৮৩০২২৬৩৫৭
---------------------------------------------------

আপনার মতামত দিন:


ভ্রমণ এর জনপ্রিয়