Ameen Qudir
Published:2018-01-11 17:08:36 BdST
লোকপ্রিয় কবি ও ডাক্তার জিয়া সাঈদের জন্য হাজারো ভক্তের ভালবাসা
ডাক্তার প্রতিদিন
________________________
পাঠক নন্দিত কবি ; লোকপ্রিয় ডাক্তার জিয়া সাঈদ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন । সকলের কাছে কল্যাণ কামনা করেছেন।
সম্প্রতি ফুটবল খেলায় অংশ নিতে গিয়ে তিনি আহত হন। পায়ে আঘাত পান। এখন তিনি ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে পরিবার সদস্যরা জানান।
তার রয়েছে বিশাল ভক্তগোষ্ঠি। কবির আঘাতে কষ্ট পান তারাও।
কবিদের ডাক্তার জিয়া সাঈদ সকলের প্রতি জানিয়েছেন কৃতজ্ঞতা ও অফুরান ভালবাসা।
তাকে নিয়ে বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ মনোজ্ঞ লেখা লিখেছেন। পাঠকদের জন্য সেসব লেখা তুলে ধরা হল।
ইতিহাসের অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন ___________
জনাব ডা: জিয়া সাঈদ।
(হেমিলনের বংশীওয়ালা।)
প্রথম পরিচয়েই জিয়া ভাইকে হেমিলনের বংশীওয়ালা মনে হয়েছে।
প্রথম দেখা ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমীর একুশের বই মেলায়। আমি এক কোনায় দাড়িয়ে ভাস্কর দা ( জানের দুশমন) মৃত্তিকা বইয়ের মোড়ক উম্মোচন দেখছিলাম।
হঠাৎএক ভদ্রলোক মিষ্টির প্যাকেট হাতে নিয়ে আসেপাশের সবাইকে মিষ্টি ও একটি রজনী গন্ধ্যার স্টিক ধরিয়ে দিলেন।অচেনা আমাকেও দিলেন কি মনে করে! তখনো নাম জানিনা পরে ভাস্কর দার সাথে
আলাপের মধ্যে আমার সাথে পরিচয়।
চেনা জানা নেই এমন কারো হাতে মিষ্টি ও ফুল যিনি দিতে পারেন তার মনের বিশালতা বলার অপেক্ষা রাখে না।
তারপর আর দেখা হয়নি ফেসবুকে যোগাযোগ দু একবার ফোনালাপ ও হয়েছে।
আগেই বলেছি কবিতা অত পড়িনা তবে কবিতার কিছুকিছু মানুষ আমার পছন্দের। তিনিও সে ধরনের একজন।
চেহারা মধ্য এশিয়ার হুন জাতীর ছাপ
। যারা একবার ভারত বর্ষ আক্রমণ করে কিছু শাসন করেছিল বহু আগে।হয়ত সাইদ ভাইয়ের পুর্ব পুরুষ হুন জাতীর ছিলেন। দেখতে ছোট খাট কিন্তু চেহারায় দীপ্তিময়।
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের( আজিমপুর) গ্রামে আদি নিবাস। বেড়ে উঠেছেন মামা বাড়ী শরিয়ত পুরে।
দেখেন কি মিল দুজনের : গ্রাম - আজিমপুর, আমার মত মামা বাড়ীতেই বড় হয়েছেন!!
সবচেয়ে যে কারনে প্রিয় সেটা বলছি তিনি ঢাকা কলেজ - ৭৬ ব্যাচ আর আমি ঢাকা কলেজ - ৭৮ ব্যাচ। উনি বের হবেন আর আমি ঢুকছি ঢাকা কলেজে। বারান্দায় দেখা হলেও হতে পারে কে জানে!
তারপর শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হতে এমবিবিএস। জানি না আমার কিছু বন্ধু বান্ধবী পড়ত শেরেবাংলায় আমি যেতাম তখনো হয়ত এপ্রোন গায়ে পাশ দিয়ে গেছেন!!
তাইতো বলি সাঈদ ভাই আমার হেমিলনের বংশীয়ালা। দুর থেকেও টানছেন প্রতিনিয়ত!! মজার ব্যাপার হোল সাঈদ ভাই খিলগাঁও তিলপাড়াতে থাকেন। আর সেখানেই আমার মা থাকেন। আমি মায়ের সাথে দেখা করতে যাই সাঈদ ভাইয়ের সামনে দিয়ে যাই কিন্তু ওনার সাথে কোন দিন দেখা হয়নি খিলগাতে।ওনার পাশেই এক ডাক্তারের কাছে আম্মা প্রায় যান। সাঈদ ভাই শুনে বললেন আমি থাকতে আপনার মা অন্য খানে যাবেন কেন।আপনি একবার এসে খালাম্মাকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে যান। বলেছি পরেরবার এসে আম্মা সহ আপনার চেম্বারে আসব।
খিলগাওয়ে যে কোন রিক্সা ওয়ালাকে ওনার নাম বললে চেনে। অন্যসুত্রে জেনেছি।
কাল বল খেলতে গিয়ে পা ভেংগেছেন!!
বললেন মনের বয়স না হলেও শরীরের বয়স হয়েছে।
২৭শে ডিসেম্বর ওনার( পদ্যের গদ্য-২) কবিতাটি বারবার পড়েছি ভীষন সত্যকথন। এ ধরনের গভীরতায় কজনে ভাবেন। কিছু লাইন কপি করে পাঠালাম।
অনেক শ্রদ্ধা আর ভালবাসা প্রিয়জন সাঈদ ভাই।
ভালবাসায় থাকুন ভাললাগায় থাকুন।
রুবি রহমান লিখেছেন-----------------
ভাল মানুষর বিপদ বেশি, আল্লাহ পরীক্ষা করে বেশি, যে মানুষটি নিজে অসুস্থ থাকলে কখনো কাউকে বুজতে দেয়নি,
যে মানুষ এর সেবা করে এসেছে সবসময়, অসহায় মানুষের বন্ধু যে
যে মানুস গরিবের কষ্টকে , নিজের কষ্ট মনে করে, যে মানুষটি অন্নের চোখের পানি দেখলে সে নিজেই কাদে, যে মানুষ গরিবকে সাহায্য করে নিজে আনন্দ পায়,
যে মানুষটি রিক্সাওলা থেকে শুরু করে ভিক্ষুক এর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখে, যে মানুষটি গরিবকে ভিজিট ছাড়া দেখে দেয়,এবং যত টুকু সম্ভব তার জন্য করে,যার কথাতে মানুষ অর্ধেক সুস্থ হয়ে যায়,
যার গুনের কথা বলে শেষ করা যায় না
যার পাশে থাকলে বাবার অভাব পুরণ হয়ে যায়
সেই মানুষট
খুবিই অসুস্থ পায় ব্যথা পেয়েছে অপারেশন পযন্ত তাকে নিয়ে গেল
আল্লাহ তাকে সুস্থ করে দিক, আল্লাহ তার হেফাজত কর
সবাই তার জন্য দোয়া করবেন,
তিনিযেন তাড়াতাড়ি
সুস্থ হয়ে যান।
বোরহান বিশ্বাস লিখেছেন-----------------
মাঝের মানুষটি আমাদের প্রাণপ্রিয় ডা. জিয়া ভাই। খেলাপাগল একজন মানুষ। মেধাবী স্বভাবজাত এই কবি সাদাসিধে জীবনযাপনে অভ্যস্ত। খেলার প্রাণ তিনি। এই বয়সেও খেলেন। ফুটবল কেন্দ্রিক ছোটখাটো দুর্ঘটনার স্বীকার হন প্রায়ই। সেদিনও হয়েছেন। কিন্তু এবার আর অল্পতেই সারছে না। পায়ের দুর্ঘটনাটি তাকে অপারেশন থিয়েটার পর্যন্ত নিয়ে গেছে।
দ্রুত সুস্থ হয়ে জিয়া ভাই মাঠে ফিরে আসুন। জানি আপনি আসবেনই...।
* টিম ডাক্তার প্রতিদিনের পক্ষ থেকে কবি ও ডাক্তার জিয়া সাঈদের জন্য রইল কল্যাণ প্রার্থনা।
আপনার মতামত দিন: