Ameen Qudir

Published:
2018-10-09 05:13:22 BdST

চিকিৎসক সমাজের ১৬ দফা : প্রাণের দাবির দৃপ্ত উচ্চারণ


 

৭ অক্টোবর ২০১৮ তে গনভবনে বিএমএ মহাসচিব চিকিৎসক সমাজের ১৬ দফা প্রাণের দাবি দৃপ্ত উচ্চারণে তুলে ধরেন। স্বাচিপ ও বিএম এ নেতা ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপের দ্রুত তৎপরতায় পুরো ১৬ দফা ডাক্তার প্রতিদিন দপ্তরে এসেছে। এখানে ১৬ দফাসহ বিএমএ মহাসচিবের বক্তব্যের দ্বিতীয় ও বাকি অংশ প্রকাশ হল।
তাকে বিশেষ ধন্যবাদ ।


ডা. মোঃ ইহতেশামুল হক চৌধুরী
মহাসচিব
বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন
_________________________________

 

প্রিয় নেত্রী, আমাদের অভিভাবক

আপনি ষোল কোটি মানুষের রাষ্ট্র বিনির্মানের এক প্রখর দার্শনিক। আমি বিনয়ের সাথে কিছু বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি:

১। আমরা আইনের উর্ধ্বে নই, আমাদের অবহেলার বিচারের জন্য বিএমডিসি আইন, ভোক্তা অধিকার আইন ও দেশের প্রচলিত আইন বিদ্যমান। চিকিৎসক ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে হামলার জন্য পার্শ¦বর্তী দেশ সমূহসহ পৃথিবীর সকল দেশের ন্যায়vq ‘Prohibit violence against Medicare Service person and damage or loss to property of Medicare Service institution’এর আদলে একটি আইন আজ সময়ের দাবি। আমরা আর পারছিনা নেত্রী, এ আইন প্রণয়নে আপনার নির্দেশনার জন্য আমরা উন্মুখ হয়ে আছি।

২। আপনার নির্দেশিত ক্যাডার বৈষম্য রোধে জরুরী ভিত্তিতে আমাদের ক্যাডার পদ প্রায় ৩০ হাজার এর অনুপাতে ১নং ও ২ নং গ্রেড এ চিকিৎসক কর্মকর্তার পদ সৃষ্টি আমাদেরকে উজ্জীবিত করবে। প্রশাসন ক্যাডার, পুলিশ ক্যাডার এমনকি কৃষি ক্যাডারে মাত্র কয়েক হাজার কর্মকর্তার জন্য যে সংখ্যক ১নং গ্রেড এর পদ রয়েছে তার বিপরীতে আমাদের মাত্র ১টি ১নং গ্রেড এর পদ হতাশার সৃষ্টি করছে। দয়া করে ব্যাপারটি আপনি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন।

৩। আপনারই নির্দেশে দেশে চিকিৎসা সংকট মোকাবেলার জন্য আপনি দু দফায় প্রায় ৪ হাজার চিকিৎসক এ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে এক হাজার দুইশত চিকিৎসক বিভিন্ন বিসিএস এর মাধ্যমে encadrement হয়েছে। কিন্তু তাদের যোগদানের তারিখ থেকে জ্যেষ্ঠতা দেওয়া হচ্ছে না। তারা বিসিএস এর পূর্বে যে সময়কাল চাকুরী করলো সেগুলো কি তামাদি হয়ে গেলো ? অবশিষ্ট প্রায় দুই হাজার চিকিৎসকের বয়স উত্তীর্ণ হয়ে গেছে, এদের মধ্যে প্রায় এক হাজার চিকিৎসক পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শেষ করেছেন, চাকুরী প্রায় ৮ বছর হয়েছে কিন্তু encadre না হওয়ার কারনে তাদের পদোন্নতি হচ্ছে না। তারা উভয় পক্ষ হতাশ। এরা আপনারই সন্তান, আপনারই নির্দেশে চাকুরীতে এসেছেন। শুধু পদশূন্য নাই বলে কিছু চিকিৎসকের চাকুরী encadreহবে না অথচ তারা চাকুরীতে প্রবেশের পর ৭টি বিসিএস এর মাধ্যমে পদ সৃষ্টি করে আরো কয়েক হাজার চিকিৎসক ইত্যবসরে
চাকুরীতে যোগদান করেছে। এই উভয় পক্ষ আমলাতন্ত্রের জালে আটকে আছে। অনুগ্রহ করে আপনার সহানুভুতিশীল রাজনৈতিক ও মমতাময়ী নির্দেশে তাদের চাকুরী encadrementএবং অন্যদের চাকুরীর জ্যেষ্ঠ্যতার বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

৪। প্রশাসন ক্যাডারে যুগ্মসচিব পদমর্যাদা সম্পন্ন কর্মকর্তাদের জন্য গাড়ী বরাদ্দ কিংবা গাড়ী ক্রয়ের জন্য সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। এমনকি সেই গাড়ী রক্ষনাবেক্ষনের জন্য ও মাসিক ৪৫ হাজার টাকা ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। অধিকন্তু উপসচিব পদমর্যাদার প্রশাসনের কর্মকর্তাদের গাড়ী প্রদান ও তাদের টেলিফোন বিল প্রদানে এবারের বাজেটে কয়েকশ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। মাননীয় নেত্রী আমাদের অপরাধ কী? আমরা স্বা স্থ্য ক্যাডারের একই পদমর্যাদার কর্মকর্তারা বৈষম্যের শিকার হবে কেন? এ বিষয়ে আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

৫। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ¯স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের দুইটি মহাপরিচালকের পদ সৃষ্টির জন্য আপনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রী পরিষদ বহুদিন পূর্বে সুস্পষ্ট লিখিত নির্দেশ দেওয়া স্বত্ত্বেও অদ্যাবধি তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ফলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গতিশীল হচ্ছে না এবং মাঠ পর্যায়েও তার প্রভাব পড়ছে।
৬। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটশনস বাংলাদেশ (আইইবি), কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন্স বাংলাদেশ, এবং অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠনের অফিস ভবন নির্মানের জন্য আপনি ঢাকায় জায়গা ও অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। আমাদের পুরাতন জীর্ন-শীর্ন বিএমএ ভবনের পাশে একটা পরিত্যক্ত ভবন রয়েছে। দেশের ৮০হাজার চিকিৎসকের পক্ষে আমরা আকুল আদেন জানাই এ ভবনটি বিএমএ’র অনুকূলে বরাদ্দ দিয়ে ঐ জায়গায় নতুন কŴর একটি ভবন নির্মানের অনুদান দিলে এদেশের চিকিৎসক সমাজ বিষয়টি গর্ব করে চিরদিন মনে রাখবে ও কৃতার্থ হবে।

০৭। বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনুপাতে চিকিৎসক-নার্স-¯ স্বাস্থ্য কর্মীর সংখ্যা যথেষ্ট না থাকার কারনে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে আমাদের অনেক বিড়ম্বনার শিকার হতে হতে হয় এবং স্বাস্থ্য গ্রহীতার সাথে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয় ফলে স্বাস্থ্য সেবা গতিশীল হচ্ছে না । বিএমএ দীর্ঘদিন পূর্বে পদ সৃষ্টির সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করেছে। বিষয়টিতে আপনার দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

৮। বেসরকারী খাতে ক্লিনিক ও লাইসেন্স নবায়নের নীতিমালা অসম্ভব জটিল ও দুর্বোধ্য। এমনকি সমসাময়িক সময়ে তাদের প্রতিষ্ঠানের নবায়ন ফি এক লাফে একশত পার্সেন্ট বৃদ্ধি তাদেরকে হতাশ করেছে। চিকিৎসা সেবা অত্যন্ত ব্যয়বহুল বিধায় পৃথিবীর সকল
দেশে মানসম্মত চিকিৎসা সেবার অঙ্গীকারে বেসরকারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহ প্রদান করা হয়। আপনি নিজেও বেসরকারী পর্যায়ে উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। কিছু কর্পোরেট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দৈত্যের মত আচরন করলেও মাঝারী উদ্যোক্তারা মন্ত্রণালয়ের এক ধরনের হ-য-ব-র-ল আদেশে বিরক্ত। অনুগ্রহ পূর্বক বিষয়টি দেখবেন কেননা এদেশের প্রায় ৬০ ভাগের বেশী স্বাস্থ্য সেবা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রদান করে।

৯। দেশের বাইরে কন্টিনিউইং মেডিকেল এডুকেশন প্রোগ্রামেস্বল্প/দীর্ঘমেয়াদী ট্রেনিং কিংবা সরকারী হজ্জ টিমে বেসরকারী চিকিৎসকদের অন্তর্ভূক্তি কেন হচ্ছে না বিষয়টি আমাদের বোধগম্য নহে। শুধুমাত্র বেসরকারী হওয়ার কারনে তারা আধুুনিক বিশ্বের চিকিৎসা বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার সাথে পরিচিতি লাভ করছেনা এবং প্রকারান্তরে চিকিৎসা ব্যবস্থার সুষম অবস্থা বিরাজ করছেনা, এহেন সিদ্ধান্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

১০। মন্ত্রণালয়ের প্রমোশন নীতিমালায় জৈষ্ঠতা, দক্ষতা ও যোগ্যতার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আনুগত্য থাকা বাঞ্চনীয়। দুঃখজনক হলেও সত্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে উদাসীন এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নীতিনির্ধারনি পর্যায়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী চিন্তা চেতনার হওয়ার ফলে সরকারের নীতি সমূহ বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে এবং ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। এ ব্যাপারে আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

১১। জরুরী ভিত্তিতে Basic Subject ও এনেসথেশিয়া বিষয়ে শিক্ষক স্বল্পতার বিষটি সুরাহা করতে হবে। ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে কাজ করার জন্য আরো অধিক চিকিৎসক আকৃষ্ট করার কৌশল প্রণয়ন করতে হবে। প্রয়োজনে এসকল বিষয়ে বিশেষ প্রনোদনার ব্যবস্থা না করলে মানসম্পন্ন মেডিকেল এডুকেশন বাধাগ্রস্থ হবে।

১২। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকদের ক্যাডারভুক্তিকরণ দীঘ দিনের দাবী। এখানে এন্ট্রি পদেই চিকিৎসকদের চাকুরী জীবনের দুঃখজনক সমাপ্তি হয়ে যায়। কষ্টের নতুন আরেকটি বিষয় যোগ হয়েছে আর তাহলো এই অধিদপ্তরের চিকিৎসকদের ডিডিওশীপ বাতিল হয়ে যাচ্ছে। এতে করে এই অধিদপ্তরের চিকিৎসকগণ হতাশাগ্রস্থ এবং যার Impactপরিবার পরিকল্পনার কাজের বিষয়ে পড়তে বাধ্য। এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
১৩। বিসিএস (¯ স্বাস্থ্য ) ক্যাডারের কর্মকর্তাগণের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত ও কারিগরি যোগ্যতার জন্য চাকুরীর প্রারম্ভে ও পরবর্তীতে সিলেকশন গ্রেড, টাইম স্কেল, উন্নীত স্কেল ও উচ্চতর স্কেল পদোন্নতিতে প্রযোজ্য বিধান অনুযায়ী বেতন নির্ধারিত হচ্ছে না। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় এবং অর্থ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ঐ দুই ক্যাডারের কর্মকর্তাগণ তা ভোগ করছেন। কিন্তু নানা অজুহাতে বিষয়টি চিকিৎসক কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হচ্ছে না। এ ব্যাপারে আমরা আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

১৪। মহান জাতীয় সংসদে উত্থাপনের জন্য প্রস্তুত মানসিক ¯ স্বাস্থ্য আইন, বাংলাদেশ-২০১৮ এর ২ নং ধারার সংজ্ঞা অংশের ১৭ নং উপধারাটি সংশোধন করা অতীব জরুরী। চিকিৎসক নয় এমন পেশাজীবীদের ‘মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করলে মানসিক চিকিৎসা সেবায় চরম অরাজকতা বিরাজ করবে এবং ইহা বর্তমান প্রচলিত বিএমডিসি আইনের পরিপন্থী।

১৫। কৃত্য পেশা ভিত্তিক প্রশাসন প্রতিষ্ঠা আমাদের দীর্ঘ দিনের দাবী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পুনরায় দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে প্রশাসনকে গতিশীল করতে আমাদের এই দাবী বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

১৬। দেশের প্রায় ৮০ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এর ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায়। বিষয়টি দ্রুত সূরাহা হলে এতগুলো পরিবার নব উদ্যোগে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নিবীড়ভাবে কাজে মনোযোগী হবে।

প্রিয় চিকিৎসক বৃন্দ,

বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন “সমস্ত সরকারী কর্মচারীদেরকে আমি অনুরোধ করি যাদের অর্থে আমাদের সংসার চলে, তাদের সেবা করুন। যাদের জন্য, যাদের অর্থে আজকে আমরা চলছি, তাদের যেন কষ্ট না হয়। আপনাদের কাছে আমার আবেদন রইলো, আমার অনুরোধ রইলো, আমার আদেশ রইলো আপনারা মানুষের সেবা করুন। মানুষের সেবার মত শান্তি দুনিয়ার আর কোন কিছুতে হয় না। একটা গরীব যদি হাত তুলে আপনাকে দোয়া করে আল্লাহ সেটা কবুল করে নেন।” মনে করবেন রোগীরা আমাদের সম্পদ, বোঝা নয়। এই সম্পদ আগলে রাখার দায়িত্ব আমাদের। প্রতিজন রোগীদের নিজেদের আত্মীয় মনে করে যত্নসহকারে সেবা দানের মাধ্যমে আপনারা নিজেদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করবেন। আমরা যদি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি তবে তারই শিখিয়ে দেওয়া আত্মসমালোচনা, আত্মশুদ্ধি ও আত্মসংযমের মাধ্যমে নিজেদেরকে একজন পরিণত চিকিৎসক হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠির দোরগোড়ায় সকল মানুষের সু¯ স্বাস্থ্য র নিশ্চয়তা বিধান করেই আমরা বঙ্গবন্ধু ও ত্রিশ লক্ষ শহীদের প্রতি সম্মান দেখাতে ও তাদের ঋণ শোধ করতে পারি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

আপনি রবিঠাকুরের মোহনীয় বাংলার উজ্জল প্রতিচ্ছবি, আপনি নজরুলে ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ তরীর দৃঢ় প্রত্যয়ী এক নির্ভীক নাবিক, আপনি জীবনানন্দ দাসের গ্রাম বাংলার দুঃখিনী কিষাণীর আলোর দিশারী, আপনি বঙ্গবন্ধুর পাল তোলা নৌকার দৃঢ় প্রত্যয়ী মাঝি আপনার
আদর্শ “চিত্ত যেথা ভয়শূন্য উচ্চ যেথা শীর” আপনাকে আমাদের সালাম, অভিনন্দন ও অভিবাদন।


আমি এই সম্মিলনের উপস্থিত হাজার হাজার চিকিৎসকের পক্ষ থেকে আশ^াস দিচ্ছি আমরা আপনার স্বপ্নের সারথী হতে চাই। আমি প্রতিজ্ঞা রাখি আগামী দিনের ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত স্বাস্থ্য বান জাতি বিনির্মাণে আমরা আপনার পাশে থাকবো। ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস, সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা বিজয়ী হবো। নৌকা আমাদের বিজয়ের প্রতীক, আওয়ামী লীগ আমাদের ¯ স্বা ধীনতার মশাল, বঙ্গবন্ধু আমাদের আদর্শ।


বারবার দরকার শেখ হাসিনার সরকার।
মহান সৃষ্টিকর্তা আপনাদের মঙ্গল করুন।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়