Ameen Qudir

Published:
2018-10-09 04:46:07 BdST

আমরা অমর্যাদা ও বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছি : ডাক্তার সম্মিলনে বিএমএ মহাসচিবের সাফ কথা


 

 

৭ অক্টোবর ২০১৮ তে গনভবনে অনন্য বাগ্মীতায় দু:সাহসী বক্তব্যে বিএমএ মহাসচিব যে কথা বলেছেন ; সে বক্তব্য এখন সারা দেশের চিকিৎসক মহলে ব্যাপক আলোচিত । দুটি অংশে সম্পূর্ণ বক্তব্য প্রকাশ করা হল। স্বাচিপ ও বিএম এ নেতা ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপের দ্রুত তৎপরতায় পুরো বক্তব্য ডাক্তার প্রতিদিন দপ্তরে এসেছে।
তাকে বিশেষ ধন্যবাদ ।


ডা. মোঃ ইহতেশামুল হক চৌধুরী
মহাসচিব
বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন
_________________________________

চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন আয়োজিত আজকের এই বর্ণাঢ্য চিকিৎসক সম্মিলন ২০১৮ এর সম্মানিত প্রধান অতিথি আমাদের অহংকার ‘মাদার অব হিউম্যানিটি বঙ্গবন্ধু কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, সভার শ্রদ্ধেয় সভাপতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সামনে উপবিষ্ট মন্ত্রী পরিষদ সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, President of CMAAO, Dr. Ravindran R Naidu , বিএমএ কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রিয় অতিথিবৃন্দ, বাংলাদেশের সকল প্রান্ত থেকে আগত চিকিৎসক ভাই ও বোনেরা, উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ, ভদ্র মহিলা ও ভদ্র মহোদয়গণ আসাসালামু আলাইকুম, বাংলাদেশের প্রায় আশি হাজার চিকিৎসক ও চিকিৎসক পরিবারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা।

সম্মানিত সুধীবৃন্দ,

আপনারা জানেন চিকিৎসক সমাজ তাদের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এদেশের ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করে গৌরবময় ভূমিকা পালন করেছে। এই চিকিৎসক সমাজের প্রতিনিধিত্বমূলক সংগঠন হিসাবে চিকিৎসকদের মান মর্যাদা ও অধিকার সুরক্ষা, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের উৎকর্ষতা দিয়ে এদেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং অধিকার, চিকিৎসক জনগণের সাথে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করা বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের অন্যতম দায়িত্ব।

প্রিয় অতিথিবৃন্দ,

আজকের দিনটি আমাদের অনেক আনন্দের অনেক গৌরবের দিন। দীর্ঘ প্রায় নয় বছর পর এদেশের চিকিৎসক সমাজ একজন মহিয়ষী ব্যক্তিকে কাছে পেয়ে উৎসব মূখর পরিবেশে এখানে সমবেত হয়েছেন। যার নেতৃত্বে ও নির্দেশে আমরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাতে পেরেছি, যা বিশ্বের প্রান্তিক পর্যায়ের স্বাস্থ্যব্যবস্থার রোল মডেল হিসাবে প্রশংসিত হয়েছে। এই মহাসম্মিলনে প্রথমেই আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি আমাদের স্বপ্নপুরুষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, আমি শ্রদ্ধা জানাই মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লক্ষ শহীদ আর দু লক্ষ সম্ভ্রম হারা মা-বোনকে, আমি অবনত হয়ে শ্রদ্ধা জানাই ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট গভীর রাত্রে ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে শহীদ বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল সদস্যদের, আমি শ্রদ্ধা জানাই শহীদ চার নেতা, ২১ শে আগস্টের শহীদ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ সহকর্মী ডা. মিলন সহ ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নিহত দেশের সকল বীরদের।

 


প্রিয় সহকর্মীবৃন্দ,

আপনারা সকলেই জানেন এদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই ¯স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের শহুরে স্বাস্থ্যসেবা গ্রামীন জনকেন্দ্রীক পর্যায়ে প্রসারিত ও বিকশিত হতে থাকে। গুটি কয়েক জেলা ও মহকুমা হাসপাতাল হতে প্রতিটি থানায় শত শত গ্রামীন স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা’৭২ এর সরকারই শুরু করেন। চিকিৎসকদের প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা দিয়ে বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে শুধুই আলোকিত করেননি, গোটা ¯স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে তিনি অর্থবহ করে তুলেন। ১৯৭৫ এই সেই কালরাত্রিতে বঙ্গবন্ধু শহীদ হওয়ার পর দীর্ঘদিন সামরিক শাসনের যাতাকলে এবং তাদের দোষর বিভিন্ন সরকারের খামখেয়ালীপনা উদাসীনতা ও লুটপাটের কারনে এদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে। সাধারণ মানুষ সার্বজনীন স্বাস্থ্যর কোন ছোঁয়াও পায়নি শুধু বিত্তবানরা চিকিৎসার জন্য বিদেশমুখী ছিলেন। ১৯৯৬-২০০১ সময়কালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে এদেশে স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়নের বিপ্লব শুরু হয়। অতীতের শাসকদের লুটপাট, দূর্নীতি ও অস্থিতিশীলতার কালো ছায়া দূরীভূত হয় জাতীয় স্বা স্থ্যনীতি প্রণয়নের মাধ্যমে। প্রতি ছয় হাজার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন, প্রায় দশ হাজার প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মান ও দেশের হাসপাতাল সমূহের শয্যা সংখ্যা সাত হাজারে বৃদ্ধি করা হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণামূলক কর্মকান্ড সম্পাদনা করার জন্য এই সময়ে দেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি কিডনি, ক্যান্সার, নিউরোলজী সহ বেশ কয়েকটি বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী ভাবে স্বাস্থ্য সেবাকে আরো সম্প্রসারিত করার লক্ষ্য নিয়ে এই সময়েই দেশে বেসরকারী খাতে হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দেওয়া হয় এবং উন্নতমানের চিকিৎসা যন্ত্রপাতির ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ২০১১ এ গণমুখী স্বাস্থ্যনীতির ধারায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একবিংশ শতাব্দীর ঊষালগ্নে ¯স্বাস্থ্যকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়ার দেশের যে প্রয়াস শুরু, তা গত এক দশকে শতধারায় বিকশিত হয়ে এদেশের স্বাস্থ্যখাতকে নিয়ে গেছে অনন্য শিখরে। বিশে^ তা এক অনুকরণীয় মানদন্ড। এই সময়ে গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ভ্যাক্সিন এন্ড ইমুনাইজেশন (GAVI) এ্যাওয়ার্ড, মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল এ্যাওয়ার্ড, সাউথ সাউথ এ্যাওয়ার্ড, ডিজিটাল হেলথ ফর ডিজিটাল ডেভেলাপমেন্ট এ্যাওয়ার্ড সহ অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী তনয়া মিসেস সায়মা ওয়াজেদ পুতুল কে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা অটিজম বিষয়ে অবদানের জন্য ‘এক্সেলেন্স ইন পাবলিক হেলথ’ পুরস্কার প্রদান করে এবং ‘গুডউইল এম্বাসেডর ফর অটিজম’ মনোনয়ন প্রদান করেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

বর্তমান সরকারের আমলে স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে গতিশীল করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সেস্বাস্থ্যবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ নামে দুটি বিভাগ সৃষ্টি করা হয়েছে। বিগত দশকে মাঠ পর্যায়ে ১২ হাজার নারীকে ‘স্কিলড বার্থ এটেনডেন্ট’ হিসেবে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে, তিন হাজারের বেশী মিডওয়াফ পদ সৃষ্টি হয়েছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দিতে ১৩,৮৮২ টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে যেখানে ৩০টি ঔষধ বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। চিকিৎসা ব্যবস্থার ভারসাম্য আনতে এই সময়ে ১৩,২৩৮ জন চিকিৎসক, ৪২৭ জন ডেন্টাল সার্জন, ১৩৬৯৮ জন নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নতুন করে আরো প্রায় পাঁচ হাজার চিকিৎসক ও ৬ হাজার নার্স নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। সারা দেশের সকল হাসপাতালে শয্য সংখ্যা বৃদ্ধি, বিভিন্ন জেলায় নতুন নতুন বিশেষায়িত ও জেনারেল হাসপাতাল নির্মান, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইএনটি, ৫০০ শয্যার মুগদা হাসপাতাল, ৫০০ শয্যার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং এশিয়ার বৃহত্তম বার্ন হাসপাতাল ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউট’ নির্মান সহ ২০টি হাসপাতাল প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। জাতীয় ঔষধনীতি ২০১৬ ও মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন ২০১৮ প্রণয়ন জাতীয় ঔষধনীতি আধুনিকায়ন এ সরকারের সময়েই হয়েছে। বাংলাদেশে এখন তিনটি মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়, একশত সাতটি মেডিকেল কলেজ ৫১৮২টি বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিক, প্রায় দশ হাজার চারশতটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ৪২৮টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বিশেষায়িত ও অন্যান্য হাসপাতাল ৪৬টি এবং রাজধানী ঢাকা হতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃতস্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিকস্বাস্থ্য সেবা দানকারী আপনার নির্দেশনায় ১৬ কোটি মানুষের সুস্বাস্থ্যর নিশ্চয়তায় নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমরা পোলিও নির্মূল করেছি, নির্মূল হয়েছে কালাজ¦র, গোদরোগ, ধনুষ্টংকার, নিয়ন্ত্রণ হয়েছে কলেরা। আমরা এমডিজি অর্জন করেছি, শিশু মৃত্যু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে, দেশে টিবি ও এইচআইভি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে এবং পুষ্টিমান যথেষ্ট বেড়েছে। আমাদের দেশের তরুণ বিজ্ঞানীরা অ্যান্টি ড্রাগ রেজিস্টেন্ট টিবি এবং জটিল লিভার রোগের ঔষধ আবিষ্কার করেছেন যা বিশে^র বিভিন্ন দেশের রোগীরা ব্যবহার করছেন। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সহ পৃথিবীর প্রায় একশত পঞ্চাশটি দেশে মানসম্মত ঔষধ রপ্তানী করছি। সর্বোপরি আমরা আপনার নেতৃত্বে এসডিজি বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। আমরা বীরের জাতি, বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে পরাজিত হতে শেখাননি, আপনার নেতৃত্বে আমরা আপনরা স্বপ্নের সারথী হয়ে বীরদর্পে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত ২০৪১ সালে কাক্সিখত লক্ষ্যে পৌঁছে দিব ইনশাআল্লাহ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

আমরা এদেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে ও দেশের সার্বিক উন্নয়নে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। আমরা মাঝে মাঝে অমর্যাদা ও বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছি। বৈষম্যের যন্ত্রণা শুধু ভুক্তভোগীরাই অনুভব করে। সমতাভিত্তিক কল্যান রাষ্ট্র গঠনে সকল ক্যাডারের অভিন্ন মৌলিক সুবিধাদি এবং সকল বিশেষায়িত ক্যাডারের কাজের ধরণ ঝুঁকি ও গুরুত্ব অনুসারে মূল্যায়নে আপনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। আপনি দিক নির্দেশনা দিয়েছেন আন্তঃক্যাডার বৈষম্যের সৃষ্টি হয় এমন কোন কাজ যেন কোন মন্ত্রণালয় না করে ।

প্রিয় নেত্রী,

আমরা আমাদের পদযাত্রায় আজ এক আশনি সংকেত লক্ষ্য করছি। সমাজের কিছু দুষ্ট ব্যক্তি চিকিৎসক ও জনগণের মাঝে সুকৌশলে দূরত্ব সৃষ্টি করে ফায়দা লুটতে চায়। চিকিৎসক ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আস্থা কমাতে অকারণে সুপরিকল্পিতভাবে হেনস্থা, হামলা এবং অতিরঞ্জিত খবর ফলাও করে প্রচার করে এক শ্রেণীর ব্যাক্তি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে নেমেছে। আমরা বিব্রত, আমরা অনিরাপদ। তাদের মূল উদ্দেশ্য চিকিৎসা ব্যবস্থার এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে আশে পাশের দেশে রোগীরা চিকিৎসার জন্য যাবেনা। এই সংঘবদ্ধ চক্রই পাশের দেশে এজেন্সী খুলে বসে রয়েছে। তারা প্রভাবশালী ও শক্তিধর। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অক্ষরজ্ঞানহীন ব্যক্তি যেকোন রোগীর মৃত্যুকে চিকিৎসকদের অবহেলা বলে চালিয়ে দেয়ার প্রয়াস নিচ্ছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

আমরা চিকিৎসা শাস্ত্রে পড়া-লেখা করেছি, ফৌজদারী অপরাধ করার জন্য নয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পূর্বসূরী ৬৯ জন আত্মাহুতি দিয়েছিলেন আমাদেরকে হাজতবাসী করার জন্য নয়, কথায় কথায় আইন শৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাড়াবাড়িতে চিকিৎসকরা গ্রেফতার হচ্ছেন। আমরা অপমানিত বোধ করি। পৃথিবীর কোন দেশে বিজ্ঞ আদালত তার নির্দেশিত ও গঠিত কমিটির মাধ্যমে অপরাধ প্রমানিত না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসক গ্রেফতারের কোন বিধান নাই। ভারতের প্রাক্তন মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেছেন “Save the doctors, save ourselves” আমরা আপনার কাছে আমাদের সম্মানের নিশ্চয়তা চাই, আপনি দয়া করে ঘোষণা দিন অপরাধ প্রমানিত না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসক গ্রেফতার করা যাবে না।


# বিএমএ মহাসচিবের অনলবর্ষী বক্তব্যের দ্বিতীয়
ও বাকি অংশ" বিএমএ মহাসচিবের ১৬ দফা : ডাক্তারদের
প্রাণের দাবি " শিরোনামে প্রকাশ করা হয়েছে।

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়