Ameen Qudir

Published:
2018-09-12 17:46:06 BdST

মান সম্মত মেডিক্যাল শিক্ষাঃ পর্ব-৫বিশ্বমানের চিকিৎসক গড়তে যেমন মেডিকেল কলেজ চাই


লেখকের ছবি

 


ডাঃ আজাদ হাসান

_____________________

আলোচনার শুরুতে "শিক্ষা" বলতে কি বোঝায় সেই বিষয়ে আলোকপাত করা যাক। "শিক্ষা" বলতে "একজন মানুষের সার্বিক বিকাশ বোঝায়"। অর্থাৎ একজন মানুষের পূর্ণাংগ ও পরিপূর্ণ বিকাশ বোঝায়। যার মাধ্যমে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও ট্রেনিং -এর মধ্য দিয়ে মানবিক মূল্যবোধ বা মানবিক গুণ অর্জন, সামাজিক মূল্যবোধ তথা দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা, মানসিক বিকাশ, আত্মিক উৎকর্ষ লাভ, এক কথায় "একজন মানুষ ভবিষ্যৎ-এ একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার জন্য পূর্ণাংগ গুণাবলী অর্জনই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য"। আর মেডিক্যাল শিক্ষারর ক্ষেত্রে উপরের উদ্দেশ্যের সাথে আর যে বিষয়টি যুক্ত হয় তা হলো, মানুষের প্রতি মানুষের মমত্ব বোধ, অসহায় আর্ত পীড়িত ও অসুস্থ রোগীর প্রতি সহানুভূতিশীল ও সংবেদনশীল মানসিকতা পোষন করা। আর এগুলো কেউ জন্মগত ভাবে অর্জন করে না এ জন্য প্রয়োজন নিয়মিত কাউন্সিলিং এবং মোটিভেশন এবং উপযুক্ত ট্রেনিং।

একটি শিশু জন্মের পর তার পরিবারে বেড়ে উঠে। বস্তুতঃ প্রতিটি শিশুই তার নিজস্ব পারিবারিক পরিমন্ডলে বেড়ে উঠে এবং জীবনের প্রথম শিক্ষা লাভ করে স্ব স্ব পারিবারিক পরিমন্ডল হতে। এরপর শিশুটি আমাদের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ হতে শিক্ষা লাভ করে এবং পরবর্তিতে উক্ত শিশু বিদ্যালয় হতে পুথিগত শিক্ষা এবং নৈতিকতার শিক্ষা লাভ করে। তাই শিক্ষার ক্ষেত্রে পরিবেশ একটি বিরাট ভূমিকা পালন করে। আজ মেডিক্যাল কলেজের বসবাস ও শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে নীচে সংক্ষেপে আলোচনা করবো। আলোচনার সুবিধার্থে কয়েকটি পয়েন্ট উল্লেখ পূর্বক আলোচনা করছি।


১) ছাত্রাবাস/ ছাত্রীনিবাসঃ ক্লাস রুমের বাহিরে ছাত্র/ছাত্রীরা সব চেয়ে দীর্ঘ সময় যে স্থানে কাটায় সেটা হলো ছাত্রাবাস বা হোস্টেল। অথচ এই হোস্টল লাইফ কিভাবে আকর্ষনীয় এবং হোমলি করা যায় সে ব্যাপারে কোনো কর্ম তৎপরতা কারো চোখে পড়ে না।
মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষা বিজ্ঞানের একটি অত্যন্ত উচ্চ মার্গীয় শাখা এবং এখানে যারা পড়তে আসে তা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত মেধাবী ও বিচক্ষণ এবং এই মেডিক্যাল কলেজ হতে পাশ করার পর উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা চিকিৎসা পেশার মতো উন্নত ও সম্মানী পেশা গ্রহন করবে, তাই সবার আচার-আচরণ যাতে সকলের জন্য আদর্শ এবং অনুকরণীয় হয় সে জন্য প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। মেডিক্যাল কলেজে যারা পড়ে তারা সবাই পূর্ণ বয়স্ক তাই তারা স্বাধীন, তাদেরকে কিছু বলা যাবে না, আমি এই মতাদর্শের সাথে একমত নই। আমি মনে করি শিক্ষার প্রতিটি স্তরেই উপযুক্ত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।

হোস্টেল লাইফ-এর কথা বলতে গেলে প্রথমে যে বিষয়টা আসে সেটা হলো, ছাত্রদের জন্য সিট বন্টন ব্যবস্থা। আমার মতে প্রতিটি সিট কলেজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বন্টন করা উচিত। এবং পঞ্চম বর্ষ ছাড়া অন্য বর্ষের ছাত্রদের জন্য মিক্সড ডরমেটরী হওয়া উচিত অর্থাৎ একই রুমে দু'জন প্রথম বর্ষের ছাত্রের সাথে দু'জন (বা একজন) তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আর একই রুমে দু'জন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রের সাথে দু'জন (বা একজন) চতূর্থ বর্ষের ছাত্রের সিট দেয়া উচিত। এতে করে জুনিয়র ছাত্রটি পড়াশুনার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে সিনিয়রদের থেকে সাহায্য নিতে পারবে। তা ছাড়া জুনিয়র-সিনিয়র এক রুমে থাকলে পরস্পর পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে। রুমে অযথা আড্ডা বন্ধ হবে এবং হোস্টেলের অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা অটোমেটিক্যালি পরিহার করা যাবে। অথচ এ বিষয়টি আজ আর কেউ তোয়াক্কা করে না।
হোস্টেলে যখনই ছাত্ররা প্রথম উঠবে তখন তাদেরকে হোস্টেলের বিধি নিষেধ সম্পর্ক অবহিত করতে হবে। কেনো না অধিকাংশ ছাত্রের জন্যই এটাই হয়তো প্রথম হোস্টেল জীবন। হোস্টেলে থাকতে হলে সবার সাথে কিভাবে মিলে মিশে থাকতে হয়, একে অন্যের সুবিধা অসুবিধা বিবেচনায় নিতে হয় এ বিষয়ে ছাত্রাবাসে উঠার সময় প্রতিটি ছাত্রকে আবশ্যিক ভাবে ওরিয়েন্টেড করা উচিত। কলেজে ক্লাস করার জন্য যেমন ড্রেস কোড থাকা উচিত তদ্রুপ হোস্টেলের জন্য ড্রেস কোড না হলেও অন্ততঃ লুংগি পড়ে যাতে কেউ ডাইনিং রুমে কিংবা নামাজের কক্ষে কিংবা কমনরুমে না যায় সেটা নিয়ম করা উচিত। লুংগির কথা কেনো বললাম? লুংগিটা আসলে বেড রুমের ড্রেস তাই ওটা পড়ে কমন প্লেসে যাওয়াটা শোভনীয় নয়। কথাটা এ কারণে বললাম, আমাদের মনে রাখা উচিত প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ চিকিৎসা শাস্ত্র শিক্ষা দানের পাশাপাশি অফিসার বানানোর কারখানাও বটে। একজন বিএমএ ক্যাডেটকে লক্ষ্য করলে দেখবেন ট্রেনিং শেষে প্রতিটি কেডেটের কথা বলার ধরন এবং চলার ভংগি এক রকম। তাই ডাক্তারদেরও মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষা ও ট্রেনিং শেষে চলনে বলনে অভিন্ন হওয়া উচিত।

ডাইনিংঃ
ডাইনিং প্রসংগে দু'একটি কথা না বললেই নয়। খাবারের মান এবং ডায়নিং-এর পরিবেশ নিয়ে লিখতে গেলে লেখা শেষ করা কষ্ট কর হবে তবে আমি সংক্ষেপে দু একটি বিষয়ের অবতারণা করছি। আমাদের সময় আমরা ছাত্ররা কখনো ১৫দিনের জন্য কখনো ৩০ দিনের জন্য মিল চার্জ জমা দিতাম। ছাত্রদের মধ্য হতে একজন স্বেচ্ছাসেবক উক্ত সময়ের জন্য ডাইনিং পরিচালনার জন্য ম্যানেজারের দায়িত্ব নিতো । উক্ত মিল চার্জ হতে সংগৃহীত টাকা হতে ছাত্রদের খাবার ব্যবস্থা করতঃ মেয়াদ শেষে গ্যাস বিল বাবদ এবং বাৎসরিক ফিস্ট আয়োজনের জন্য নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ মেস কমিটির কাছে জমা দিতে হতো। তাছাড়া ডাইনিং স্টাফ যেমনঃ বাবুর্চি (১জন), বেয়ারার ৩জন ( ২ জন সরকারী, ১ জন পার্ট টাইম), মশলা বাটুনী (২জন), মসজিদের ইমাম সাহেব, এবং একজন আদু ভাই ফ্রি খেতেন। এখানে সরকারের অনুদানের ছিটে ফোটাও আমরা চোখে দেখিনি। এতে করে বর্ডারদের জন্য মান সম্মত খাবার সরবরাহ করা দূরহ ব্যাপার ছিলো। তবে শুনেছি যে, আমাদের হোস্টেলের ছাত্রদের নামে নাকি রেশন কার্ডের ব্যবস্থা ছিলো। কিন্তু রেশনের মালামাল মান সম্মত না হওয়ায় সেটা আর না তুলে রেশন সপেই বিক্রী করে যত সামান্য যা লাভ হতো সেই টাকাটা মেস কমিটিতে জমা করা হতো বাৎসরিক ভোজ বা এনুয়েল ফিস্টের জন্য। এ ক্ষেত্রে সরকারী অনুদানকে কিভাবে ছাত্রদের মিল চার্জের সাথে সমন্বয় করে ডাইনিং -এর খাবারের মান উন্নয়ন করা যায় সেটা চিন্তা করার অনুরোধ থাকলো।

লাইব্রেরী ও রিডিং রুমঃ
প্রতিটি হোস্টেলে একটি লাইব্রেরী এবং রিডিং রুম থাকা আবশ্যক। অথচ অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হোস্টেলে কোনো লাইব্রেরীর ব্যবস্থা নেই। রিডিং রুমে কয়েকটি জাতীয় দৈনিক খবরের কাগজ থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। কিন্তু প্রতিটি হোস্টেলের রিডিং রুমে খবরের কাগজের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক জার্নাল বা মেডিক্যাল জার্নাল থাকা উচিত।

টিভি রুমঃ
মানসিক অবসাদ কাটানোর জন্য কিংবা মানসিক বিনোদনের জন্য, তাছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ খবরাখবর জানার জন্য টিভি একটি শক্তিশালী মাধ্যম। কিন্তু টিভি রুমের আসন ব্যবস্থা কিংবা সার্বিক ব্যবস্থাপনা আদৌ মান সম্মত নয়। তাই,
টিভি রুমের আসন ব্যবস্থা উন্নতি করা আবশ্যক। তবে এখন যেহেতু দেশে অনেক বাংলা চ্যানেল রয়েছে সে ক্ষেত্রে সবার মতামতের মাঝে সমঝোতা করতঃ টিভির অনুষ্ঠান দেখার ব্যবস্থা করতে হবে নতুবা প্রতি নিয়ত অপ্রীতিকর অবস্থার উদ্ভব হওয়ার সম্ভাবনা রয়ে যায়।
তা ছাড়া কমন রুমের জন্য প্রয়োজনীয় খেলা ধুলার সামগ্রী নিয়মিত ভাবে সরবরাহ করা উচিত। আর ছাত্রদের উচিত একজনই যেনো দীর্ঘ সময় ধরে টেবিল টেনিস ব্যাট দখল করে না রাখে, অন্যদের প্রতিও যেনো লক্ষ্য থাকে, সেটাও স্মরণে রাখতে হবে। তাই
তাই এই বিষয় সমূহ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতো হোস্টেলে সুষ্ঠু ভাবে বসবাসের নিমিত্তে সামগ্রিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়া আবশ্যক।

টয়লেট ও পয়নিস্কাশন ব্যবস্থাপনাঃ
এখানে আর একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয় সেটা হলো হোস্টেলের টয়লেট এবং ড্রেনেজ সিস্টেম। অধিকাংশ মেডিক্যাল হোস্টেলের টয়লেট ব্যবস্থা এত করুন যা না দেখলে কেউ কল্পনাও করতে পারবেন না।
টয়লেট প্রসংগে আরো দুটি পয়েন্ট না বললেই নয়, সেটা হলো, টয়লেটে কাপড় শুকানোর মতো পর্যাপ্ত স্পেস নেই। তা ছাড়া প্রতিটি টয়লেট-এর সাথে ওয়াশিং মেশিন সংযুক্ত করতে পারলে ছাত্রদের জন্য সেটা খুবই হেল্পফুল হতো। মেডিক্যাল কলেজের ড্রেনেজ ব্যবস্থার ও করুন অবস্থা। এগুলোর যথাযথ ম্যানেজমেন্ট আবশ্যক।

ট্রান্সপোর্টঃ
ফিল্ড সাইট ট্রেনিং এবং আউটার ক্যাম্পাস হোস্টেল হতে ছাত্র (ছাত্রী)-দের আনা নেওয়া করার জন্য যে যান বাহন আছে তা সংখ্যায় অপ্রতুল আবার ক্ষেত্র বিশেষে অধিকাংশ সময় ঐসব ট্রান্সপোর্ট অকেজো থাকে। এগুলো সুষ্ঠু ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওয়াতায় আনা আবশ্যক।

লাইব্রেরী ব্যবস্থাপনাঃ
মেডিক্যাল কলেজে সেন্ট্রাল লাইব্রেরী থাকলেও সেটাকে ইফেক্টিভ লাইব্রেরী বলা যাবে না। অধিকাংশ লাইব্রেরীতে ছাত্র/ছাত্রীরা ব্যক্তিগত বই সাথে এনে পড়াশুনা করে তাই এগুলোকে "লাইব্রেরী" না বলে বরং "রিডিং রুম" বলা অধিকতর প্রযোজ্য হবে।
"আধুনিক লাইব্রেরীর কন্সেপ্ট"-এর সাথে আমাদের মেডিক্যাল কলেজের লাইব্রেরী সার্ভিসের মানের সাথে ইতিমধ্যে যোজন যোজন দূরত্ব রচিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আধুনিকায়নের আশু পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।


হোস্টেলের সীমানা প্রাচীর ও নিরাপত্তাঃ
হোস্টলের নিরাপত্তার জন্য সীমানা প্রাচীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কিন্তু পরিতাপের বিষয় অধিকাংশ ছাত্রাবাসের হোস্টলের সীমানা প্রাচীর নেই বা থাকলেও অাংশিক আছে পুরোটা নেই। তাই ছাত্ররাও তাদের হোস্টেলের জিনিষ পত্রের নিরাপত্তা নিয়ে সর্বদা সংশয়ে থাকে। ছাত্রীদের হোস্টেলে দারোয়ান-এর একটিভিটিস্ চোখে পড়লেও ছাত্রাবাস গুলোতে দারোয়ান খুজেও পাওয়া যাবে না। আর তাই ছাত্ররা ক্লাসে থাকা কালীন সময় হোস্টেলে চুরির মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে থাকে। তাই প্রয়োজন, হোস্টেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

গেস্ট রুম:
ছাত্রদের সাথে দেখা করার জন্য অভিভাবক কিংবা কোনো আত্মীয় আসলে তাদের সাথে বসে আলাপ করার মতো কিংবা আপ্যায়নের জন্য কোনো গেস্ট রুমের ব্যবস্থা নেই। এমন কি অধিকাংশ হোস্টেল গুলোতে তেমন কোনো কেন্টিনের ব্যবস্থা নেই। এ বিষয়ে আশু পদক্ষেপ প্রয়োজন।

খেলা-ধুলা:
সুস্থ মানসিক বিকাশ এবং সুঠামো দৈহিক গড়ন ও শারীরিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত সাংস্কৃতিক চর্চা এবং নিয়মিত খেলা ধুলার চর্চা। অথচ এ দুটি বিষয় মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে দারুন ভাবে অনুপস্থিত। তাই প্রয়োজন নিয়মিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন মৌসুমে আন্তঃ হোস্টেল কিংবা আন্তঃ ক্লাস
নিয়মিত বিভিন্ন খেলার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা।

উপসংহারঃ এতক্ষণ আমি একজন মেডিক্যাল স্টুডেন্ট-এর হোস্টেল এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশ কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। একজন শিশুর স্বাভাবিক মানসিক বিকাশের জন্য যেমন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন নিরাপদ পরিবেশ আবশ্যক তেমনি একজন ভবিষ্যৎ চিকিৎসক-এর সূতিগাকার কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে আমি আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি। আজকের এই যুবকটিই আগামীতে দেশের জটিল এবং কঠিন স্বাস্থ্য সেবার বীর সেনানী হিসেবে দায়িত্ব নিবে। তাই তার পূর্ণ মানসিক ও শারীরিক ডেভলপমেন্টে জাতিকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট হতে হবে।

শেষ
______________________________

ডাঃ আজাদ হাসান।
সিওমেক
২১ তম ব্যাচ।
ই-মেইল:
[email protected]

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়