Ameen Qudir
Published:2018-03-19 02:31:02 BdST
ডাক্তারদের টিজিং,লাঞ্ছনা ,হয়রানি ,ভাংচুর সব করে রোগীর সাথে আগত উটকো দর্শনার্থীরাই
ডা.কামরুল হাসান সোহেল
____________________________
দর্শনার্থীরাই যতো অনিষ্টের মূলে, নারী ডাক্তারদের ইভটিজিং থেকে শুরু করে নানা ধরণের হয়রানি, পুরুষ ডাক্তারদের শারিরীকভাবে নিগৃহীত করা থেকে শুরু করে হাসপাতাল ভাংচুর সব করে রোগীর সাথে আগত উটকো দর্শনার্থীরাই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ এই সমস্যাটিকে চিহ্নিত করেছেন এবং তা প্রতিকারে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। আমাদের শেষ আশা ভরসার ব্যক্তি হলেন আপনি। আপনার উপর আমাদের আস্থা ছিল,আস্থা আছে। আমরা জানি আপনি আমাদের পাশে দাঁড়াবেনই। আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী অত্যন্ত জরুরি নিদের্শনা আমরা পেয়েছি এক চিকিৎসক সম্মেলনে তার মূল্যবান ভাষণ থেকে। সেসব তথ্য বিস্তারিত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসা সেবা প্রশ্নে বেশ কিছু মূল্যবান নির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়েছেন।
রোগীর গুরুতর অবস্থায় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ও ইনটেনসিভ কেয়ারে দর্শনার্থী প্রবেশের ব্যাপারে চিকিৎসকদের কঠোর হতে বলেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন, আমাদের একটা বড় অসুবিধা হলো ভিজিটরের সমস্যা। কোনো রোগী হাসপাতালে থাকলে ভিজিটর যেতেই হবে। না গেলে রোগীরও মন খারাপ হয়। কিন্তু যে রোগীর খুব ক্রিটিক্যাল অবস্থা, তার কাছেও কেন যেতে হবে?
রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত তৃতীয় ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যদান কালে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,
"আরেকটা বিষয় আমাদের মতো রাজনীতিকদের ক্ষেত্রে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ রোগী হলেই তাকে সবার দেখতে যেতে হবে। আর মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর তো যেতেই হবে। না গেলে প্রধানমন্ত্রীরও ইজ্জত থাকে না, রোগী আর রোগীর আত্মীয়-স্বজনেরও ইজ্জত থাকে না।"
এমনকি অপারেশন থিয়েটারেও মানুষ ক্যামেরা নিয়ে ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী । তিনি বলেন: আমি এখন ক্রিটিক্যাল রোগী দেখতে যাওয়া ছেড়েই দিয়েছি। এতে যেকোন সময় রোগীর ক্ষতি হতে পারে। বিদেশে তো যেতে দেয় না।
চিকিৎসকদের নিত্য কঠিন বিচিত্র বাস্তবতার ওপর আলো ফেলে প্রধানমন্ত্রী বলেন,
‘আইসিইউ’তে ঢোকা এখন ভাতমাছের মতো ব্যাপার। সেখানে রোগীর স্বজন, ভিজিটর সবাই ঢুকে বসে থাকে। আর রাজনৈতিক নেতাও মনে করেন, আমি না গেলে মনে হয় আমার দায়িত্ব ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করলাম না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন: এজন্য হাসপাতালে ভিজিটর’স কর্নার করে দেয়া যেতে পারে। সেখানে সবাই বসবেন, খাতায় সই করবেন। এছাড়া এখন ডিজিটাল সিস্টেম করা হয়েছে। এজন্য চাইলে রোগীকে মনিটরে, অথবা কাচ দিয়ে আলাদা করে কাচের অন্য প্রান্ত থেকে দেখা যাবে।
প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, তিনি আগে গুরুতর অবস্থায় থাকা রোগীদের দেখতে গেলেই আইসিইউ’তে ঢুকতে বলা হতো। সাংবাদিকরাও সেই ছবি তুলতে ভেতরে ঢুকে যেতেন। এজন্য এখন ক্রিটিক্যাল রোগী দেখতে গেলে কাচের বাইরে থেকে দেখেন বলে জানান তিনি। ক্যামেরাম্যানদের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন তারা তো ছবি নিতে পারছে না। কারণ আমি রোগীর কাছে যাবো, বিছানায় বসবো। তাদের কাছে সেই ছবির অনেক মূল্য। রোগীকে স্পর্শ করতে হবে। কিন্তু তার তো একটা সময় আছে। রোগীর যে বারোটা বাজছে, সেদিকে তাদের খেয়াল থাকে না। তাই ক্রিটিক্যাল কেয়ারের ডাক্তারদের আরও কঠোর হতে হবে। এজন্য দরকারে আমার নাম বলে দেবেন তাদের। আমি বলে যাচ্ছি।
___________________________
পর্যালোচনার লেখক
ডা.কামরুল হাসান সোহেল
আজীবন সদস্য, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ , কুমিল্লা জেলা।
কার্যকরী সদস্য স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ
আজীবন সদস্য,বিএমএ কুমিল্লা।
সেন্ট্রাল কাউন্সিলর, বিএমএ কুমিল্লা
আপনার মতামত দিন: