Ameen Qudir

Published:
2017-09-21 20:04:54 BdST

বুয়েটের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে চিকিৎসকের বেতন ২৩ হাজার, অন্যদের ৩৫-৫৬ হাজার টাকা


 


ডাক্তার প্রতিদিন
____________________________

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বিস্ময়কর ভাবে চিকিৎসকের বেতন ভাতা অন্য পদের তুলনায় তাচ্ছিল্যপূর্ণ __ এমন অভিযোগ ওঠায় তা দেশের চিকিৎসক সমাজে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।


সুগায়ক ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. গুলজার হোসেন উজ্জ্বল তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন,
"'বুয়েটে কিছু কর্মকর্তা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি।তাদের বেতন-ভাতা নিম্নরূপ :-
১.লাইব্রেরিয়ান-৫৬৫০০ টাকা
২.মসজিদের ইমাম-৩৫৫০০ টাকা
৩.ডাক্তার (মেডিকেল অফিসার)-২৩০০০ টাকা!!

ডা. গুলজার বলেন,
এটা দেখে অনেক ডাক্তারই হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তবে আমি নিশ্চিত এই চাকরির জন্যও লবিং হবে। আবেদনের স্তুপ পড়ে যাবে।
প্রিয় চিকিৎসক ভাই ও বোনেরা মন শক্ত করুন। বাস্তবতা মেনে নিন। এটা সাপ্লাই এন্ড ডিমান্ড থিউরি। মার্কেটে চিকিৎসকের সাপ্লাই বেশি। তাই ডিমান্ড কম, ভ্যালুও কম।
এটা হলো ডাক্তার হবার/বানাবার জন্য অতি আবেগ আর সেই সুযোগে প্রতিষ্ঠিত অতিরিক্ত মেডিকেল কলেজ ইফেক্ট।
মন শক্ত করুন ভাই-বোনেরা । "'


সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি ত্রুটিপূর্ণ । এ নিয়ে
বিতর্ক হবেই। কেননা, লাইব্রেরিয়ান না হয় প্রধান গ্রন্থাগারিক হলে সিনিয়র পদ। ঢাবিতে অধ্যাপক পর্যায়ের। তারও এন্ট্রি লেভেল আছে।
চিকিৎসক যদি এন্ট্রি লেভেল হয়, তবে লাইব্রেরিয়ান মসজিদের ঈমাম- এন্ট্রি পয়েন্ট থাকার কথা। নইলে পদ-কে বলতে হবে -প্রধান / সিনিয়র লাইব্রেরিয়ান / সিনিয়র ঈমাম ।
সেটা না বললে সব নিয়োগই এন্ট্রি পয়েন্ট নিয়োগ বোঝায়।

যদি প্রধান লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ তারা দেন, তার বেতন লক্ষাধিক হওয়ার কথা। কিন্তু লাইব্রেরিয়ান কোন পদস্কেল নির্দেশ করে না।


ডা. সাঈদ রহমান প্রিয়ম ফেসবুকে এক মন্তব্যে বলেন ,


ডাক্তারি তো একটা সেবামূলক কার্যক্রম। টাকা যে দিচ্ছে এটাই তো বেশী। টাকা না দিলেও সমস্যা কি!! এ পেশায় আছে অফুরন্ত সওয়াব। আর টাকা সব সময় না পেলে কি হয়!!! মাঝে মাঝে তো মানুষ হাত পা দিয়ে ডাক্তার কে আদর ভালোবাসা দিয়ে সব পুষিয়ে দেয়, এটাও বা কম কি।

কেউ
প্রিয়ম আরও লেখেন, আবার এটা বলবেন না যে,বিদেশে তো ডাক্তার দের বেতন স্কেল ই সবচেয়ে বেশী। ভাই বিদেশে মানুষ জীবনকে সবচেয়ে বেশী মূল্য দেয়, তাই ডাক্তার এর মূল্য এমনেই বেড়ে যায়। এদেশে ভাই জীবনের মূল্য কই,এখানে তো মানুষ ব্যথা আর প্যারা সহ্য করতে না পারলে তারপর ডাক্তার এর কাছে যায়। তারপর টাকা খরচ কেন হলো ডাক্তার এর কাছে গেলে,সেই দুঃখে কেও কসাই বলে গালি দেয়, আর কেও হাত থাকতে মুখে কেনো এই নীতিতে চলতে চেষ্টা করে। কিন্তু এই মানুষ এর মাঝেই কেউ কেউ ২৫০ টাকা দিয়ে কাপড় কিনে ১৫০০-২০০০ টাকা দিয়ে দোকানে ট্যাগ মেরে বিক্রি করে। তখন তাদের বিবেক জাগ্রত ও হয় না, কেও এদের কসাই ও বলে না। কারণ জীবন থেকে যে এখানে ফ্যাশন অনেক মূল্যবান।

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়