Ameen Qudir
Published:2017-05-11 17:24:10 BdST
অবাক হয়ে চেন্নাইয়ে ঢাকার ' গরীব ' বাস ড্রাইভার রোগী দেখলাম
মিলন ফারাবী
______________________
অবাক হয়ে চেন্নাইয়ে ঢাকার ' গরীব ' বাস ড্রাইভার রোগী দেখলাম ৷
অঅমার ব্যাক্তিগত ভারতদর্শন সফরে আমি এবার চেন্নাইতে ঢাকার বাস ড্রাইভার রোগী পেয়েছি ৷ লাখ লাখ টাকা খরচ করে তারা এসেছে৷৷
বাসড্রাইভারের ইনকাম কি চেন্নাইতে চিকিৎসা সাপোর্ট করে ৷ তারপরও সে গেছে জায়গা বেচে চিকিৎসার জন্য ৷ এটা বাস্তবতা এখনই ৷
বাস ড্রাইভার ভাইসাহেব যেভাবে খাঁটি পূর্ববঙ্গের ভাষায় ঢাকার ডাক্তারদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছিল, কানে তালা দিতে হয়েছিল আমাকে ৷
বার বারই সে " ফকিরনীর— " নাকি ডাক্তার হয়—বলে চেচাচ্ছিল ৷
পরে আলাপে দেখলাম, সিরাজগঞ্জ র কিছু হাতুড়েকে দেখিয়ে তাদের পরামর্শে চেন্নাই পৌছে গেছে ৷
বিরাট অঙ্কের টাকার খরচ হয়েছে তার। সে বেদনা মর্মপীড়াদায়ক তার জন্য। তার পরিবারের জন্য। তারপরও এসেছে। এসে বাজেট হিসাব করছে। আর বাংলাদেশের ডাক্তারদের গালি দিচ্ছে।
সেই কষ্ট ভুলতে হায় আল্লা বলে বার বার দীর্ঘনি:শ্বাস ছাড়ছিল। আর সমানে গালি গালাজ।
মানুষজন অবাক হয়ে তার আহাজারি শুনছিল। বাংলাদেশ থেকে আসা আরও কিছু মানুষ তাকে তাল দিচ্ছিল। হাসছিল। তারাও নানরকম অপমানজনক কথা বলছিল। নিজ চোখে দেখা কঠিন বাস্তব ছবি। এরা কেউই উচ্চবিত্ত নয়। একেবারেই মধ্য দরিদ্র।
বিষয়টি গভীরভাবে ভাববার বিষয়। মানুষ তার প্রয়োজন দিয়ে চলে। এই রোগীরাও যার পরামর্শেই আসুক, এসে যেমন টাকা খরচ করছিল । তেমনি বাংলাদেশী ডাক্তারদের অপমান করছিল। খরচ আর গালি সব একাকার।
যেভাবে ডাক্তার ধোলাই হচ্ছে—অমেধাবী হাতুড়ে ডাক্তার নানা টাকার মেশিনে তৈরী হচ্ছে— আগামী ঢাকায় মেধাবী ডাক্তার আর তৈরী হবে না ৷ সে শুন্যস্থান হাফডাক্তার দিয়ে পূরণ হবে না ৷ লন্ডন আমেরিকা দিয়েও আমদানি হবে না ৷
পূরণ হবে চেন্নাইভিত্তিক চিকিৎসা দিয়ে ৷
চেন্নাই , ভেলোরের চিকিৎসা নিয়ে দুই কবির কথা ______________
কবি অরুণ চক্রবর্ত্তী বলছেন,
ভেলোরে সুচিকিৎসার মূলমন্ত্র, আমার অভিজ্ঞতায়, হাসপাতালের চার্চ। সেখানে ঢুকলে সেবার যে অনুরণন তাতে সেবা'র সুগন্ধে মিশে যায় রোগীর প্রত্যয়। ধর্ম যে কখনো সখনো ঈশ্বরের প্রতীক হয়ে ওঠে, ভেলোরে না গেলে বুঝতে পারতাম না।
পেশায় ডাক্তার কবি সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় বলছেন শেখার অভিজ্ঞতা । বলছেন,
আমি, মিলন এই কারণেই দুয়ারের কলকাতা ফেলে সুদূর, সারা বছর গরমের এবং বিপরীত খাদ্যাভ্যাসের চেন্নাই বেছেছিলাম, আমার স্নাতকোত্তর পড়াশুনার জন্য। ওই খাওয়া ও ভাষার আড়ষ্টতা পুষিয়ে দিয়েছিলেন আমার পূজনীয় শিক্ষক মহাশয়েরা তাদের নিষ্ঠা, সমবেদনাযুক্ত মনন আর মনোযোগ দিয়ে।
আপনার মতামত দিন: