Ameen Qudir

Published:
2017-05-08 16:23:17 BdST

কর্তব্যরত চিকিৎসক মার খায় স্বাস্থ্যঅভিভাবকদের অকর্মণ্যতায়


 

 


ডা. বাহারুল আলম
________________________

 

বর্তমান স্বাস্থ্যব্যবস্থায় কর্মরত চিকিৎসকদের কোন অভিভাবক নাই। কেবল চাঁদপুরের হাজীগঞ্জেই নয়, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েও চিকিৎসক লাঞ্ছিত হয়েছে। কর্মরত অবস্থায় তৃনমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত যে হাসপাতালেই চিকিৎসক লাঞ্ছিত হোক না কেন, অভিভাবকদের প্রধান মাননীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রী ও তার নিয়ন্ত্রিত ছোট , মাঝারি ও বড় অভিভাবক- এ নিয়ে কারো কোন মাথা-ব্যথা , দুঃখ-কষ্ট, উৎকণ্ঠা না থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসকরা অবলীলায় কর্তব্য পালন করে যাচ্ছে। নারী/পুরুষ চিকিৎসকদের শারীরিক লাঞ্ছনা নিঃসংকোচে মেনে নেওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে।

সরকারের বাইরে চিকিৎসকদের আরেক অভিভাবক বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন-- ঐতিহ্যের ভারে নুয়ে পড়েছে। আক্রান্ত চিকিৎসক ও তার প্রাথমিক সদস্য পদের শাখা সংগঠন ও আশেপাশের চিকিৎসকরা একজোট হয়ে প্রতিবাদ করার দৃশ্যপট অতীত ইতিহাসে রূপান্তরিত হয়েছে।

হাজিগঞ্জে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী লাঞ্ছিত, হাসপাতাল ভাংচুর ও চিকিৎসার যন্ত্রপাতি নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঁদপুর বিএমএ ও চাঁদপুরের জেলা/উপজেলার চিকিৎসকরা নিজেকে কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। সংগঠন ও সদস্যরা উভয়ই নীরব ও নিষ্ক্রিয় আছে।

যারা মেরেছে তাদের দিকে অভিভাবকরা দৃষ্টি নিবদ্ধ করে নি এবং যারা মার খেয়েছে তাদের দিকেও না। কেবল দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখেছে তাদের প্রতি, যে বা যারা এ মারের প্রতিবাদ করবে এবং প্রতিবাদ করলেই শাস্তি।

অভিভাবকদের এ আচরণ আমরা দেখেছি বগুড়া ইন্টার্নদের লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায়। যারা প্রতিবাদ করেছিল, অভিভাবক তাদেরকেই কঠোর শাস্তির আওতায় এনেছিলেন। স্বাস্থ্যব্যবস্থায় অভিভাবকত্বের এ নষ্টামি চিকিৎসকদের আরও অধিকারহীন , অমর্যাদা ও লাঞ্ছনার দিকে নিয়ে যাবে। চিকিৎসকদের শারীরিক লাঞ্ছনার সাথে সহ-অবস্থান ও নীরবে মেনে নেওয়া এ পরিস্থিতির জন্য সমভাবে দায়ী।

______________________________

ডা. বাহারুল আলম । লোকসেবী চিকিৎসক ও পেশাজীবী নেতা।

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়