Ameen Qudir

Published:
2017-02-21 03:16:21 BdST

'চিকিৎসকদের ক্যামেরা দিয়ে দেখবেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী' প্রসঙ্গে


 



ডা. বাহারুল অালম

_____________________________


ওয়েব ক্যাম্প ও ভিডিও কনফারেন্সে কর্মস্থলে চিকিৎসক ‘মাইরের’ দৃশ্য এতদিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টিতে আসা উচিত ছিল।


চিকিৎসকদের উপস্থিতি দেখতে গিয়ে মাননীয় মন্ত্রী আরও অনেক কিছুই অনুপস্থিত দেখবেন, তার প্রতিকার হবে কি?

চিকিৎসকের অনুপস্থিতি স্বাস্থ্যসেবাকে এতই কি সংকটে ফেলে দিয়েছে যে স্বয়ং মন্ত্রী মহোদয় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছেন! বিষয়টি চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থাপনার বিপর্যয়ের ইঙ্গিত বহন করে।

মন্ত্রী মহোদয়কে রাষ্ট্রায়ত্ত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান সমূহে চিকিৎসকদের অনুপস্থিতির তথ্য চমৎকার ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে মশলা মাখিয়ে মস্তিষ্কে ঢুকিয়েছে সচিবালয়ের ঔপনিবেশিক আমলারা। আমলাদের এ প্রয়াস, ‘কেবলমাত্র চিকিৎসক অনুপস্থিতির কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাচ্ছে, ভাগ্যিস তারা টেনে ধরে রেখেছে’-- এটি বিশ্বাস করানোর জন্য মন্ত্রী মহোদয়কে ভিডিও কনফারেন্সে দেখার পরামর্শ দিয়েছে বিষয়টি তা নয়, এটি -- সরকার ও জনগণের কাছে চিকিৎসকদের হেয় প্রতিপন্ন করার অভিলাষে মিথ্যাচার।

একটি গল্প না বলে পারছি না:

৯০’এর গণ-অভ্যুত্থানের পর জেলখানায় হো মো এরশাদের থাকার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সেই ভবনে তার গতিবিধির উপর নজর রাখার জন্য সবখানে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। কিভাবে যেন একটি ক্যামেরা শৌচাগারে স্থান পায়। সে সময় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বিএনপি এবং বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী।

তৎকালীন জাতীয় পার্টির নেতা শাহ মোয়াজ্জেম কোন এক জন সভায় আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘এই মিয়ারা, শৌচাগারের সি সি ক্যামেরায় সরকার হো মো এরশাদের কি দেখতে চায়?বাংলাদেশের জেলখানার এ কক্ষটি কখনও খালি থাকবে না। রাজনৈতিক পরিক্রমায় একদিন খালেদা জিয়াকেও এ কক্ষে আসতে হতে পারে। আপনারা বলুন, ‘সেদিন এ শৌচাগারে কি দেখা যাবে’?—সবাই মুচকি মুচকি হেসেছিলেন।

আজকে আমলাদের কুমন্ত্রণায় ভিডিও ক্যামেরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বা ইউনিয়ন সাব-সেন্টারের দিকে ফোকাস করলে মন্ত্রী মহোদয় চিকিৎসকের উপস্থিতি ছাড়া আর কি কি দেখবেন ?—

১। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সার্জন পদায়ন আছে কিন্তু এনাস্থেটিস্ট নাই। অপারেশন বন্ধ দীর্ঘদিন , সার্জন চেয়ারে বসে ঝিমুচ্ছে। কোথাও কোথাও দেখা যাবে অপারেশনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নষ্ট। দুর্ঘটনা বা আঘাতের কারণে কোন জখমের রোগী আসলে তাকে তাৎক্ষনিক অপারেশন করা প্রয়োজন দেখা দিলে তা সম্ভব হয় না। তখন অপারেশনের জন্য উচ্চতর হাসপাতালে রেফার করলে পথে রোগীর মৃত্যু হলে চিকিৎসকের 'পিটুনি' ও হাসপাতাল ভাংচুর অবধারিত ।

২। বহির্বিভাগে ক্যামেরা ফোকাস করলে মন্ত্রী মহোদয় দেখবেন, প্রতিদিন একজন মেডিকেল অফিসার রোগী দেখছেন ১০০ থেকে ১৫০ জন। রোগী ঢুকছে আর বের হচ্ছে। কারণ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাকে চিকিৎসা প্রদান শেষ করতে হবে। তার কক্ষের প্রবেশ দ্বারে একজন পিওন বা দারোয়ান নাই, প্রবেশ দ্বারে পর্দা নাই, নারী রোগী পরীক্ষার জন্য সেবিকা/আয়াসহ আলাদা কক্ষ নাই, কক্ষ সংলগ্ন ওয়াশ রুম নাই। কোন এক ফাঁকে মন্ত্রী যদি রোগীর ব্যবস্থাপত্র দেখে ফেলেন তাহলে তিনি দেখবেন ব্যবস্থাপত্রে এন্টিবায়োটিকের পরিমাণ অপর্যাপ্ত। যা মেডিকেল এথিকস বিরোধী এবং অপরাধ। যেহেতু এন্টিবায়োটিকের সরবরাহ অপ্রতুল তাই রোগীদের অল্প অল্প করে দেওয়া হচ্ছে যেন ফুরিয়ে না যায়। ফুরিয়ে গেলে ‘নাই কেন’- এই অজুহাতে চিকিৎসকের ভাগ্যে রোগীর স্বজনদের ‘গণপিটুনি’ অবধারিত।

৩। মন্ত্রীর ক্যামেরায় যা দেখা যাবে না কিন্তু মনের ক্যামেরায় তিনি দেখেন ও জানেন, খাতাকলমে রাষ্ট্রায়ত্ত (সরকারি) হাসপাতালের বহির্বিভাগের জন্য একটি ঔষধও বরাদ্দ নাই’। অথচ প্রতিদিন বহির্বিভাগে অসংখ্য রোগী
(প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও নিম্ন মধ্যবিত্ত) চিকিৎসার জন্য আসে। আন্তঃবিভাগের বরাদ্দকৃত ঔষধ বহির্বিভাগের রোগীকে দেওয়া হয়। হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে শয্যাসংখ্যার বিপরীতে ঔষধ দেওয়া হয়- সেটাও আবার অপর্যাপ্ত। ফলে ভর্তিকৃত রোগীকে ঔষধ বাইরে থেকে কিনতে হয়, দুর্নাম হয় চিকিৎসকদের। রাষ্ট্রের এই শুভঙ্করের ফাঁকির দায় কাঁধে নিয়ে চিকিৎসক হয় ' ঔষধ চোর'।

৪। মাননীয় মন্ত্রীর ক্যামেরা প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের দিকে ঘুরলে দেখতে পাবেন রোগ সনাক্তের প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরিতে কোন প্যাথলজিস্ট নাই, পদও নাই। অনেক যন্ত্রই দীর্ঘদিন বিকল/রি-এজেন্ট নাই। মেরামত/সরবরাহ করার মালিক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, তারা নীরব। এটি মেডিকেল এথিকস বিরোধী এবং অন্যায়। রোগ সনাক্ত ছাড়াই চিকিৎসা দিতে হচ্ছে নইলে ‘পিটুনি’ অবধারিত।

৫। ক্যামেরা এক্স-রে বিভাগের দিকে ঘুরলে মন্ত্রী মহোদয় দেখতে পাবেন কোথাও টেকনোলজিস্ট নাই-মেশিন আছে, কোথাও ফিল্ম/মেশিন নাই কিন্তু টেকনোলজিস্ট আছে। রোগ সনাক্তের জন্য প্রয়োজনীয় এক্স-রে পরীক্ষা বন্ধ। এক্স-রে ছাড়াই মেডিকেল অফিসার ব্যবস্থাপত্র দিতে বাধ্য। অন্যথায় ‘পিটুনি’ নিশ্চিত।

৬। ক্যামেরা যদি জরুরী বিভাগে ফোকাস হয় তাহলে মন্ত্রী মহোদয় আঁৎকে উঠবেন। দেখবেন মেডিকেল অফিসারের অভাবে একজন মেডিকেল ডিপ্লোমা ডিউটি করছেন। ২৪ ঘণ্টা জরুরী বিভাগ খোলা রাখতে হলে চারজন মেডিকেল অফিসার,চার জন সেবিকা, চারজন করে আয়া ও ওয়ার্ড বয় প্রয়োজন হয়। এসব জনবলের কেউ জরুরী বিভাগে পদায়িত নাই। ও হ্যাঁ ,মন্ত্রী মহোদয় আরও জানবেন, ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘জরুরী বিভাগ’ নামে কোন অরগানোগ্রাম নাই।ফলে চিকিৎসকসহ কোন জনবল এখানে কখনও পদায়িত হয় না।আবার নবসৃষ্ট ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল সমূহে আমলারা পদ সৃষ্টি করে নি, সৃষ্ট পদে পদায়ন করে নি। হাসপাতালে যারা বহির্বিভাগ ও আন্তঃবিভাগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ডিউটি করেন তারাই বিকাল ও রাতে পালাক্রমে জরুরী বিভাগে ডিউটি করতে বাধ্য। অন্যথায় জরুরী বিভাগে আসা রোগী-মৃত্যুতে ‘পিটুনি’ অনিবার্য। জরুরি রোগী চিকিৎসা করার জন্য আই সি ইউ, সি সি ইউ ও ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ড নাই।

৭। আন্তঃ বিভাগের দৃশ্য আরও করুণ। রোগাক্রান্ত অনেক রোগী বিছানা না পেয়ে হাসপাতালের মেঝে/বারান্দা ও বাথরুমের আশেপাশে আত্মীয় পরিবেষ্টিত হয়ে,কেউ নিথর হয়ে, আবার কেউ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। মন্ত্রী মহোদয় আরও দেখবেন নির্দিষ্ট বরাদ্দের অধিক রোগী হওয়ায় এদের ভাগ্যে খাবার জুটছে না। জঠর জ্বালায় সকল রোষ পড়ছে চিকিৎসকের উপর এবং লাঞ্ছিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তারা মনে করছে চিকিৎসকরা চুরি করে খাবার খেয়ে ফেলে। নইলে খাবার গেল কোথায়? ---- চিকিৎসকের উপর আস্থা, বিশ্বাস, শ্রদ্ধা সবই গেল। ফলে তাকে 'পিটুনি' দিতে
দ্বিধা নাই।

৮। এরপরে ক্যামেরা উপজেলা হাসপাতালের গাড়ি বারান্দার দিকে ফোকাস করলেই তার অল্প একটু সামনে দেখা যাবে চাকা পাঞ্চার হয়ে কুঁজো ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে এ্যাম্বুলেন্স। UH & FPO এর বাজেট ক্ষমতার বাইরে বিধায় আর মেরামত হয়নি। মুমূর্ষু রোগীর এ্যাম্বুলেন্স প্রয়োজন হলে UH & FPO 'পিটুনি' খাচ্ছে।

৯। গভীর রাত্রে ক্যামেরা জরুরী বিভাগে ফোকাস করলে মাননীয় মন্ত্রীর চক্ষু ছানাবড়া হয়ে যাবে। তিনি দেখবেন কয়েকজন বখাটে ছেলে কর্তব্যরত নারী চিকিৎসককে তাদের বাড়িতে গিয়ে রোগী দেখার জন্য প্রচণ্ড চাপ দিচ্ছে, হুমকি দিচ্ছে, জোরে চিৎকার করছে। নারী চিকিৎসকসহ অপরাপর কর্মীরা ভয়ে তটস্থ । মন্ত্রী দেখবেন রাতে কোথাও কোন নৈশ/নিরাপত্তা প্রহরী নাই। পিটুনির ভয়ে নারী চিকিৎসক রাজী হলে, তাকে মোটরসাইকেলের পিছনে তুলে যুবকরা অন্ধকারে মিলিয়ে গেল।

১০। ঐ রাতে হাসপাতালের ওয়ার্ডে ক্যামেরা ফোকাস করলে দেখা যাবে, মুমূর্ষু রোগীর সংখ্যা একাধিক, অক্সিজেন সিলিন্ডার একটি। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে রোগী কাতরাচ্ছে, নেবুলাইজার মেশিনটি দীর্ঘদিন বিকল হয়ে আছে।

তিনি দেখে আরও অবাক হবেন সমগ্র হাসপাতালে চিকিৎসক মাত্র একজন। যিনি জরুরী বিভাগে রোগীদের নিয়ে ব্যস্ত। একই সময়ে হাসপাতালের আন্তঃবিভাগ ও জরুরী বিভাগে রোগী মুমূর্ষু হলে চিকিৎসক কোনদিকে যাবেন? তখনই 'পিটুনি' নির্ধারিত।

১১। কোন কারণে মন্ত্রীর ক্যামেরা হাসপাতাল এলাকা ছেড়ে গ্রামে গঞ্জে ফোকাস করলে দেখবেন, গ্রামীণ মেঠো পথে ধুলো উড়িয়ে UNO এর পাজেরো গাড়ি ছুটে চলছে।ঐ ধুলোর মধ্যে তিনি আবছা আবছা দেখতে পাবেন, মাঝ বয়সী এক লোক মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রী মহোদয় হয়ত চিনতে পারবেন না-- সে হলো ২০তম বি সি এস UNO এর বাবার বয়সী ১০ম বিসিএস ঐ উপজেলার UH & FPO।

১২। মাননীয় মন্ত্রী-কে সবিনয়ে বলছি – ‘ইউনিয়ন সাব-সেন্টার থেকে মেডিকেল কলেজ পর্যন্ত কত কিছু যে নাই এবং হাসপাতাল সমূহ ‘নাই’- এর সাগরে ভাসছে তার কোন কথাই আমলারা আপনার কানে দেয় না। সেখানে চিকিৎসক না থাকা মামুলি বিষয়। উদ্দেশ্য যদি চিকিৎসা দেওয়া হয় তাহলে চিকিৎসক থেকেই বা কি করবে? উপস্থিত থেকে শারীরিক, মানসিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়া ছাড়া গত্যন্তর নাই।লাঞ্ছনা থেকে বাঁচতে হলে তাকে অপ-চিকিৎসা বা মানহীন চিকিৎসা দিতে হবে রোগীকে।'

এর সাথে যুক্ত হয়েছে প্রচার মাধ্যম।চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দ্রুত জনমত সৃষ্টি করছে।অথচ মানহীন/অপ-চিকিৎসার কারণগুলো প্রচারে এনে জনগণসহ সরকারের গোচরীভূত করছে না। তার সাথে অনেক কিছুই অনুপস্থিত (জনবল, প্রযুক্তি, অবকাঠামো,উপকরণ) সেটিও প্রচারে আসছে না। আসে কেবল চিকিৎসকের অনুপস্থিতি।

১৩। মন্ত্রী মহোদয় খুব ব্যস্ত-- এই সুযোগে আমলারা টেলি-কনফারেন্সের ক্যামেরা তখনই বন্ধ করে দেবে যখন ক্যামেরা চালু থাকলে তিনি দেখতে পেতেন, জরুরী বিভাগে আসা রোগী মৃত্যুবরণ করায় রোগীর আত্মীয়-স্বজন কর্তব্যরত চিকিৎসককে বেদম প্রহার করছে এবং চিকিৎসক 'বাঁচাও' 'বাঁচাও' বলে চিৎকার করছে। কেউ এগিয়ে আসছে না। অপরাপর চিকিৎসক ও কর্মচারীরা হাসপাতালের কোন এক কক্ষে প্রাণ ভয়ে পালাচ্ছে/আশ্রয় নিচ্ছে। অবশেষে খবর পেয়ে রক্তাক্ত চিকিৎসককে উদ্ধার করার জন্য থানা থেকে পুলিশ আসলো বটে তবে উদ্ধারের নামে গ্রেপ্তার করে হাজতে নিয়ে গেল। তার স্থান হল হাসপাতাল থেকে হাজতখানায়।

এ দৃশ্য নির্মম সত্য হলেও আমলারা কখনও মন্ত্রীকে দেখাবে না। কারণ টেলি কনফারেন্সের ক্যামেরার চাবি আমলাদের হাতে।

মাননীয় মন্ত্রী চিকিৎসকের উপস্থিতি দেখতে গিয়ে আর যা কিছু দেখবেন তার প্রতিকার হবে কি?

আমরা চাই,-- ‘ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানসমূহে চিকিৎসকসহ প্রয়োজনীয় সকল অনুপস্থিতির সমাধান দিয়ে এবং রাষ্ট্র চিকিৎসার বিস্তৃতি ঘটাতে গিয়ে যে ব্যাপক মানহীন চিকিৎসার জন্ম দিয়েছে ,অবশ্যই মন্ত্রী সেগুলোর অবসান করবেন’।

“চিকিৎসকদের ক্যামেরা দিয়ে দেখবেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী”--প্রসঙ্গে মূল খবর লিঙ্ক

https://www.banglatribune.com/others/news/78827


____________________________

 

ডা. বাহারুল অালম । প্রখ্যাত লোকসেবী পেশাজীবী নেতা। সুবক্তা। সুলেখক।

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়