Ameen Qudir
Published:2017-01-13 22:01:03 BdST
কেসস্টাডি সিরিজ: স্ত্রীর পরকীয়া: সন্দেহে নৃশংসভাবে খুন করল স্বামী
ডা. সুলতানা আলগিন
____________________________
সন্দেহের বশে কি না হয়!
স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুনের কথা কবুল করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ স্বামীর। বছর ৪০-এর জয়দেব রাতে স্ত্রী অঞ্জলিকে হাতে ও ঘাড়ে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে, ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেয়। স্ত্রীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে এই সন্দেহে খুন, অনুমান পুলিশের। জয়দেবেরও দাবি তাই।
এখন প্রশ্ন হল , এই লোক কি মানসিক রোগী। জয়দেব ঠান্ডা মাথার খুনি ! নাকি মানসিক রোগের শিকার ?
এধরনের ঘটনা নতুন কোন বিষয় নয়। পরকীয়া সামাজিক ব্যাধি। বাস্তবতার আয়নায় অামরা এসব সম্পর্কে জানি। সমাজে কানাঘুষাও চলে। কিন্তু যখন একটি মানুষ সন্দেহের বশে স্ত্রী বা স্বামীকে আঘাত করে; তখন তা চিন্তার বিষয় বৈকি।
অকারণে ফলো করা, তালা দিয়ে ঘরবন্দি করা , ঘর দোর বিছানা চাদর তন্ন তন্ন করে চেক করা, আজে বাজে মন্তব্য ; এমন কি গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা করে না এই রোগীরা।
আত্মীয় স্বজন ছেলে মেয়েরা দেখছে , সন্দেহের কারণে স্ত্রী র ওপর নির্যাততন চলছে; তাতে সংসার ভাঙার উপক্রম। সংসারের শান্তির শ পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকে না।
এধরনের মানসিক রোগকে মরবিড জেলাসি বলে।
সাধারণ ভাবে পুরুষদের মধ্যে এই রোগ বেশী। এই সন্দেহ অবিশ্বাস তার নৈমিত্তিক দৈনন্দিন কাজকে ব্যহত করে না। কিন্তু মনের শান্তি কুড়ে কুড়ে খায়।
যখন মনোযাতনার প্রকোপ বেড়ে যায়, তখন খুন করতে দ্বিধা করে না।
সঠিক ডায়াগনোসিস ও চিকিৎসার মাধ্যমে অবশ্যই এ রোগ সারানো সম্ভব। তবে তা সময় সাপেক্ষ।
_____________________________
লেখক ডা. সুলতানা আলগিন।
সহযোগী অধ্যাপক
মনোরোগবিদ্যা বিভাগ
বিএস এম এম ইউ , ঢাকা।
আপনার মতামত দিন: