Ameen Qudir

Published:
2019-02-14 21:31:16 BdST

শুভেচ্ছা সব্যসাচী চিকিৎসক লেখক ডা. সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন আজ


সব্যসাচী চিকিৎসক লেখক ডা. সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় জন্মদিন আজ
ডাক্তার প্রতিদিন প্রতিবেদন
____________________________

আজ ১৪ ফেব্রুয়ারী প্রখ্যাত চিকিৎসক লেখক
কবি, সব্যসাচী কলমের সপ্রাণ অধিকারী
ডা. সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়-এর জন্মদিন। তিনি ডাক্তার প্রতিদিনের একজন নিয়মিত লেখক, অভিভাবক ও পরামর্শক।

ডাক্তার প্রতিদিন সম্পাদক ডা. সুলতানা আলগিন তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ' শ্রদ্ধা প্রণাম জানাই দাদার জন্মদিনে । শুভ কামনা নিরন্তর। তিনি বাংলা চিকিৎসা সাহিত্যের একজন প্রধান লেখক। তার লেখায় উপকৃত হচ্ছে যেমন চিকিৎসক সমাজ; তেমনি উপকৃত হচ্ছে হাজারো পাঠক। তার লেখা পড়া এক অনন্য অভিজ্ঞতা। তার লেখায় জানার জানালা খুলে যায়। আমরা ডাক্তার প্রতিদিন পরিবার তার দীর্ঘায়ূ ও সুস্থ জীবন কামনা করি।

ডা. সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় ভারতবর্ষের একজন শীর্ষ
ডায়াবেটিস এনডোক্রাইনোলজি কনসালটেন্ট ;তিনি মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসাবিদ্যায় উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন। এমডি করেছেন। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও মাদ্রাজ মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
তিনি বাংলা, ফরাসী , ইংরাজী সহ বহুভাষায় পারদর্শী।

এখানে ফরাসী ভাষা শেখার স্মৃতি নিয়ে ডা. সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়-এর একটি মহার্ঘ্য লেখা প্রকাশ করা হল।
----------------------
২৪ বছর আগে। তখন লোকাল ট্রেনে চড়ার অভ্যেস ছিল। যেই দমদম থেকে টালিগঞ্জ পুরো মেট্রোরেল চালু হলো, আম্মো আলিয়ঁস ফ্রসেজে ভর্তি হয়ে গেলুম। পার্ক স্ট্রীট স্টেশন থেকে হাঁটা পথ।
তো আগে দমদমে তো পৌঁছতে হবে। তখন অবশ্য টিকিট কাটতুম। তিন দিন ক্লাস - সোম, বুধ, শুক্র। ৩ টে থেকে ৫ টা। আমার স্কুলের সহপাঠী তখন বসিরহাট কলেজে ইকোনমিকস এর টিচার। সোমবারে ওর অফ ডে। ওর টিকিট নিয়ে দমদম পৌঁছোতুম। বাকি দু দিন টিকিট কাটতুম। ফেরার সময়ে চেকার থাকতো না বলে ' পাসে' ফেরা।
তা একবার জানুয়ারি মাসের বুধবারে ডাউন ট্রেন দাঁড়ালো চার নম্বর প্লাটফর্মে। সাবওয়ে দিয়ে অনেকটা যেতে হবে তাড়াতাড়ি, নইলে মেট্রো মিস। দমদম বড় স্টেশন বলে কালো কোট মামাদের ভিড় থাকতোই। সেদিন ও ছিলো। এক গাল চাপ দাড়ি মামার পাশ দিয়ে যৎতাড়াতাড়ি পারি বেরোচ্ছি, উনি বললেন, টিকিট! আমি তো শুনতেই পাইনি, উর্ধশ্বাসে দৌড়। সাবওয়ে শেষ হয়ে মেট্রোরেলের কাউন্টারের সামনে পৌঁছে দৌড় শেষ। চাপ দাড়ি মামা আমার সঙ্গে দৌড়ে আমার হাত ধরে বললে - টিকিট দিন। আমি তখন আকাশ, টাকাশ, লোকজন দেখছি মন দিয়ে, শুনতেই পাইনি আর কি! তা তিনি বললেন টিকিট দেখাতে বললাম যে। অ। এই কথা, বলে টিকিট টি বার করে দেখালুম। বলে কিনা দৌড়লেন কেন? আমি তো লোকাল ট্রেনের আকাশ থেকে মেট্রোরেলের পাতালে পড়লুম, বললুম মানে? দৌড়নো অপরাধ এমন খবর পাই নি তো! তা দাদা কোন আইনে? সে বেচারির মধ্যপ্রদেশ বড়, জানুয়ারী তেও ঘাম ছুটেছে। আমসি মুখ করে টিকিটের ওপরে কি সব লিখে চলে গেল। আসলে স্প্রিন্ট টা ভালোই টেনেছিলুম। মেট্রো টাও পেয়ে গেলুম দুটো পাঁচের।
গল্প না না সত্যি কাহিনী এখানেই শেষ। তারপরে ক্লাস করে টরে বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যে সাতটা।।
একটু মুখে জল দিয়ে স্কুটার নিয়ে দোকানদারি। ফিরলুম রাত দশ টা। তবে শীতকাল বলেই ক্লান্ত লাগেনি তেমন। নিজের উপার্জনের টাকায় এমন জিনিস পড়ছি যা তে আমার কখনো কোন উপার্জন হবে না। কুনো চান্স ই নাই আইগ্যা।।--------------------------

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়