Ameen Qudir

Published:
2019-01-18 21:45:50 BdST

শুক্রবারের বিশেষ কলামসেতুতে নারী ইঞ্জিনিয়ার , বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও নারী : নারী শিক্ষাই আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের চাবি


 

 


ডা. সোলায়মান আহসান
______________________________

ধর্মান্ধ ও পশ্চাদপদ চক্র নারীর বিরুদ্ধে হাজারও প্রতিবন্ধকতা করে বাংলাদেশকে অন্ধকার জাহিলিয়াতে নিতে চাইলেও নারী অজেয়। কখনও এই শয়তানকুল ধর্মান্ধ সেজে নারী শিক্ষা বন্ধ করতে চায়। কখনও নারীকে চারদেয়ালে বন্দী করতে চায়। কর্ম কখনও নারী পুরুষ চেনে না। চেনে সাফল্য ও যোগ্যতা। কিন্তু ধর্মান্ধ চক্র সেই যোগ্যতায় হাজার মাইল পেছেনে থেকে কেবলই বাংলাদেশকে পেছনে টানছে মরা তেতুঁল ভুত হয়ে।
কিন্তু বাংলাদেশের সাহসী নারীরা গার্মেন্ট সহ প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে দেখাচ্ছে অসাধারণ সাফল্য। শিক্ষায় নারীর প্রতি সরকারের বিশেষ নজর এই সাফল্যের চাবিকাঠি।
বিডি নিউজ ২৪ .কমের এক প্রতিবেদনে জানা গেল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় পুরুষের পাশাপাশি নারী প্রকৌশলীদের অবদান এখন আর চমক জাগানিয়া কোনো বিষয় নয়। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে নারী প্রকৌশলীরা ছাড়িয়ে গেছেন পুরুষকেও।

তবে নারী কিংবা পুরুষ- এমন লৈঙ্গিক পরিচয় নয়, একজন ‘প্রকৌশলী’ হিসেবেই সবাইকে মাপতে চান প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর।

প্রকৌশলীদের সংগঠন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) সভাপতি আবদুস সবুর নারী সহকর্মীদের অবদানের কথা জানিয়েছেন ওই সংবাদ অনলাইনকে ।


প্রকৌশলী আবদুস সবুর বলেন, “সময়ের বিবর্তনে জেন্ডার কোনো ইস্যু না। মহিলা হোক বা পুরুষ- আমরা আসলে তাকে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবেই দেখতে চাই। আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা সেভাবেই কাজ করে। মহিলারা ফিল্ডে দাপটের সাথে কাজ করে। আমি মনে করি আমাদের দেশের ইঞ্জিনিয়াররা সার্ক দেশগুলোর মধ্যে অনেক এগিয়ে আছে।”

তিনি বলেন, “পদ্মা ব্রিজের মত বিশাল প্রজেক্টে নারী ইঞ্জিনিয়ার রয়েছে। বিটিআরসিতে অনেক ইঞ্জিনিয়ার রয়েছে। আজকে সাড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনেও নারী ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করেছে। গ্রাম পর্যায়ে সড়ক-কালভার্ট নির্মাণে মাইলের পর মাইল হেঁটে- সে নারী না, বরং একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছে। কেমিক্যালে অনেক মেয়ে কাজ করছে। ভেহিকেল ডিজাইনেও আমাদের মেয়েরা আন্তর্জাতিকমানে কাজ করছে। এরা সবাই আমাদের আইডল।”

 


এক হাজার নারী সদস্যের উইমেন ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (ডব্লিউআইই), আইট্রিপলই, বাংলাদেশ শাখা ২০১৭ সালে অর্জন করেছে `আইট্রিপলই উইমেন ইন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাফিনিটি গ্রুপ অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’।

এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স কৌশল (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক সেলিয়া শাহনাজ জানান, যোগ্যতা ও কারিগরি দক্ষতায় পুরুষ সহকর্মীর চেয়ে যেন কম পারদর্শীতা না থাকে- এটা ধরে রাখতে হবে।

“আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার বিভাগে আমি প্রথম নারী পিএইচডি অর্জনকারী। আমি প্রথম নারী প্রফেসর এই বিভাগের। আমার মনে হয় আমার শিক্ষক বা সহকর্মীরা, উনারা ছাত্রী দেখেছেন, ইয়ং লেকচারার দেখেছেন। কিন্তু উনারা প্রথম নারী পিএইচডি অর্জনকারী দেখেননি, প্রথম নারী প্রফেসর দেখেননি। ভুল বোঝার কিছু নেই, এটা একটা চর্চার বিষয়। ধীরে ধীরে আমরা যদি আমাদের দক্ষতার ছাপ রেখে যাই, তবে আমরা অবশ্যই তাদের সমীহ আদায় করব।”

তিনি বলেন, “এটা কেবল মাইন্ড সেটের ব্যাপার। পরিবর্তনের জন্য সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। আমাদের উইমেন ইন ইঞ্জিনিয়ারিং, আইট্রিপলই বাংলাদেশ সেকশন প্রোগামে পুরুষ শিক্ষার্থী ও সদস্যরা স্বাগত। আমাদের কাজের মধ্যে পুরুষদেরও ইনভাইট করতে হবে। যেন তারা আমাদের সমস্যা বুঝতে পারে। তাহলে এর সমাধানে তারা আমাদের সহযোগী হবে, অন্তরায় নয়।”

এই অবস্থায় আমার সহকর্মী সহমর্মী ডাক্তার সমাজের প্রতি বক্তব্য আপনার কন্যা সন্তানকে সুশিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করুন। একটি শিক্ষিত কন্যা মানে বাংলাদেশ উন্নয়নর সিড়িতে আরও এক ধাপ অগ্রসর।
_____________________________
ডা. সোলায়মান আহসান । ঢাকা।

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়