Ameen Qudir

Published:
2018-07-31 18:07:28 BdST

রাংগুনিয়ায় শিক্ষা দূর্নীতির শিকড় উপড়ে ফেললেন ডাঃ ফয়সল ইকবাল চৌধুরী


 

 


ডা. সুমিত্র দেওয়ান
_______________________________

চট্টগ্রাম বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ডাঃ ফয়সল ইকবাল চৌধুরী এবার শিক্ষাসেক্টরের দূর্নীতির বিরুদ্ধে নৈতিক যুদ্ধ শুরু করেছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তিনি অপপ্রচার ও বিরোধিতার মুখে পড়লেও সেসব পাত্তা না দিয়ে নিজ লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন।
ডাঃ ফয়সল ইকবাল চৌধুরী নির্বাচনী এলাকা রাংগুনিয়ার একটি ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে। সেখানে তিনি অনমনীয় দৃঢ় সৎ ও সাহসী ভূমিকা রেখেছেন শিক্ষা দূর্ণীতির বিরুদ্ধে। তিনি যে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিতে আছেন , সেখানে কোনরকম দূর্নীতি প্রশ্রয় দিচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বিশিষ্ট জন সাইদুল আলম চোধুরী বলেন,
মীর গোলাম মোস্তফা বাবুলের ছোট ভাই মীর কামাল মোস্তফা সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদের নিয়োগ পরীক্ষায় ২৫ নম্বরের মধ্যে মাত্র ২.৫(আড়াই) পেয়ে ১৪ জনের মধ্যে ১৩ তম হন।তিনি মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি।
আর এই পদে ১৫.৫ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকারী কে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়।

ছবিতে রেজাল্টশীট দেওয়া আছে

মীর বাবুল কয়েকদিন আগে অভিযোগ করেছেন তার ভাইকে নিয়োগ না দিয়ে স্কুল কমিটির সভাপতি ডাঃ ফয়সল স্বজনপ্রীতি করছেন,দূর্নীতি করছেন।
আপনারাই বলুন যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া কি দুর্নীতি? স্বজনপ্রীতি?
এলাকাবাসীর মতে,

দুর্নীতি,স্বজনপ্রীতি,অন্যায় এসব ডাঃ ফয়সলের সংবিধানে নেই। কলেজের নিয়োগে ডিআইজি সাহেবের রিকোয়েস্ট উনি ইগনোর করেছেন
আমাদের জেঠাতো ভাই ক্যান্সার আক্রান্ত উনার স্ত্রীর চাকরীর রিকোয়েস্ট ইগনোর করেছেন।আমাদের প্রতিবেশীর স্ত্রীর চাকরির এপয়ন্টমেন্ট ইগনোর করেছেন। উনি যোগ্যতায় বিশ্বাসী বলে উনার আত্মীয়দের চাকরী হয়নি।
উনি কলেজে ৩০০০ টাকায় বিজ্ঞান বিভাগে ফর্ম পূরণে বাধ্য করেছেন যেখানে রাণীরহাট কলেজে ফরম পূরণে ৬থেকে ৭ হাজার টাকা নেই।

এই কলেজ ২০১৮ সালের এইচ.এস.সি পরীক্ষায় ৬২% পাশ করেছে এবং রাংগুনিয়ায় দ্বিতীয় হয়েছে।

ডাঃ ফয়সল ইকবাল চৌধুরী চ্যালেঞ্জ করেছেন যদি কেউ উত্তর রাংগুনিয়া ডিগ্রী কলেজের যে কোন নিয়োগে অনিয়ম,দুর্নীতি,স্বজনপ্রীতি প্রমাণ করতে পারেন তাহলে তিনি নিজেই সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন।


এ ব্যাপারে ডাঃ ফয়সল ইকবাল চৌধুরী এক বার্তায় বলেন,

প্রশ্ন, পরীক্ষার্থীর তালিকা, মীর গোলাম মোস্তফা বাবুলের ভাই মীর কামাল হোসেনের খাতা সবই দিলাম, পরীক্ষা নিয়েছেন মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মনোনীত, প্রতিনিধি মহসিন কলেজের লাইব্রেরিয়ান মনোয়ারা বেগম, ২০ এর মধ্যে ২.৫ নং পেয়েছে, মৌখিক পরীক্ষা দেয় নাই, ১৪ জনের মধ্যে ১৩ তম হয়েছে, কিভাবে যে ১৫.৫ পেয়ে ১ম হয়েছে তাকে বাদ দিয়ে ১৩ তম হয়েছে তাকে নিবে আপনারাই বলুন। কোনটা দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, যে ১ম হয়েছে তাকে নেয়াটা? যে কোন সংস্হা তদন্ত করতে পারে উত্তর রাংগুনিয়া ডিগ্রী কলেজের নিয়োগ সহ যে কোন বিষয়ে, চ্যালেন্জ দিলাম বিন্দুমাত্র দুর্নীতি বা স্বজনপ্রীতি পেলে নিজেই পদত্যাগ করে চলে আসব।
আর কলেজের ফলাফল এবার ও ৬২% পাশ করেছে, যা সরকারি রাংগুনিয়া কলেজের চেয়ে ও ভাল, রাংগুনিয়ার মধ্যে ২য় সেরা কলেজ।

 

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়