Ameen Qudir

Published:
2018-07-20 19:27:14 BdST

হিট স্ট্রোক থেকে সাবধান: আক্রান্ত হলে যেভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা করবেন


 

 

ডা. কামরুল হাসান সোহেল
_____________________________

হিট স্ট্রোক কি? হিট স্ট্রোক হচ্ছে দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে সৃষ্টি হওয়া এক প্রকার জটিলতা। স্বাভাবিক দেহের তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রী ফারেনহাইট। যদি এটি ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট ক্রস করে তখনি হিট স্ট্রোক হতে পারে।

হিট স্ট্রোক এক প্রকার মেডিকেল ইমার্জেন্সি যেখানে সাথে সাথে রোগিকে চিকিৎসা না দেয়া হলে রোগি মৃত্যুবরন করতে পারে। রোগিকে গরম থেকে সরিয়ে এনে তার দেহের তাপমাত্রা কমিয়ে আনা হিট স্ট্রোকের চিকিৎসার একটি দরকারি ধাপ।

হিট স্ট্রোকের কারন: Dehydration হিট স্ট্রোকের প্রধান কারন। হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে প্রচন্ড গরমে দেহে পানি কমে গিয়ে যেন dehydration না হয় তা নিশ্চিত করা ও বেশি গরমে ভারি শারীরিক পরিশ্রমে না জড়ানোই উচিত।

কারা হিট স্ট্রোকে বেশি আক্রান্ত হয়? ছোট বাচ্চা, বয়স্ক লোক, ব্যায়ামবীর বা দিনমজুরদের হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা খুবই বেশি। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটি খুবই ভয়াবহ, বাচ্চাদের দেহের তাপ নিয়ন্ত্রন করার সিস্টেম ডেভেলপড না হওয়ায় তাদের হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেশি। প্রচন্ড গরমে বাচ্চাকে লক করা গাড়িতে রেখে পাশের দোকানে কেনাকাটা করতে নামবেন না। বাচ্চাকে সাথে নিয়ে যান। বৃদ্ধদেরও দেহের তাপ নিয়ন্ত্রন করার সিস্টেম দুর্বল হয়ে যায়, ফলে তারাও ভালনারেবল হয়ে পড়ে।

শরীরের তাপমাত্রা অসহনীয় অবস্থায় গেলে এসব জটিলতা দেখা যায়: মাথা ঝিম ঝিম করা, বমি করা, অবসাদ, দুর্বলতা, মাথা ব্যাথা, মাংশপেশির খিঁচুনি, চোখে ঝাপসা দেখা

তখন হিট স্ট্রোকের নিমোক্ত লক্ষনগুলো দেখা যায়: দেহের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বেশি, ঘামের অনুপস্থিতি, চামড়া খসখসে লাল হয়ে যাওয়া, পালস বেড়ে যাওয়া, শ্বাস নিতে কষ্ট, মাতালের মত ব্যবহার হ্যালুসিনেশন, কনফিউশন, অশান্তি করা খিঁচুনি, কোমায় চলে যাওয়া।

হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে কিভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা করবেন: আক্রান্ত লোকটিকে ছায়াযুক্ত একটি জায়গায় নিয়ে আসুন, গায়ের ভারি কাপড় খুলে দিন, তার গায়ে ঠান্ডা পানি ঢালুন। তাকে সম্ভব হলে ফ্যানের নিচে বা এসি রুমে নিয়ে আসুন। এতে গায়ের ঘাম উড়ে যাবে। সম্ভব হলে তার বগল ও রানের খাঁজে বরফ দিন। একটি থার্মোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মেপে দেখুন এবং ১০১-১০২ ডিগ্রী ফারেনহাইটে আসা না পর্যন্ত তাকে ঠান্ডা করা চালিয়ে যান। মনে রাখবেন, ঘামের সাথে দেহের লবন বেরিয়ে যায়, তাই দুর্বল লাগলে খাবার স্যালাইন খাওয়ান।
_____________________________________

লেখক ডা. কামরুল হাসান সোহেল

আজীবন সদস্য, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ , কুমিল্লা জেলা।
কার্যকরী সদস্য at স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ
আজীবন সদস্য,বিএমএ কুমিল্লা।
সেন্ট্রাল কাউন্সিলর, বিএমএ কুমিল্লা

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়