Ameen Qudir

Published:
2018-04-21 23:28:09 BdST

অ্যান্টিবায়োটিক কড়চা : পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এক মৃত্যুময় ভবিষ্যত উপহার


 

 

অধ্যাপক ডা. অনির্বাণ বিশ্বাস
___________________________________

অ্যান্টিবায়োটিক পরবর্তী যুগ হল মানুষের বিদায়ের সময়।
খানিকটা কাব্যিক শোনাতে পারে। আমি নিশ্চিত করছি আপনাদের, এখানে কাব্যিক কিছু নেই। নিতান্তই বাস্তব দুঃসংবাদ লিখতে শুরু করেছি। আপনি পড়তে পারেন, নাও পড়তে পারেন। আমরা ইতিমধ্যেই আমাদের নির্বুদ্ধিতার খেসারত দিতে শুরু করেছি!

আমরা গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে অদ্ভুত এক স্বর্গরাজ্যে বাস করছি। গতশতকের মাঝামাঝি অথবা তার আগের সময়ে ফিরে গিয়ে যদি কিছুদিন আমরা বেঁচে আসতে পারতাম তাহলে জীবন কাকে বলে সেই ধারনা খানিকটা আমাদের হতে পারত!

টাইফয়েডে মানুষ মরে যেতে দেখেছেন? দেখবার সম্ভাবনা কম। কারও টাইফয়েড হয়েছে শুনে আঁৎকে উঠেছেন। দুঃখ পেয়েছেন। ঠিক যেমন কারও ক্যান্সার হয়েছে শুনে দুঃখ পান, সেরকমটা না হলেও,অনেকটা ওরকমই । বরং ভেবেছেন ঠিকমত ওষুধ খেয়ে বিশ্রাম নিলেই সেরে উঠবে টাইফয়েডের রোগী। ফোঁড়া কাটতে হবে শুনে নিশ্চয় ভয় পান নি। ফোঁড়া কাটলে মানুষটা না-ও বাঁচতে পারে বলে কখনও ভাবেননি।ডায়ারিয়ায় কত মানুষ মরতে দেখেছেন? ওলাবিবির আক্রমণে গঞ্জ-গ্রাম উজাড় হয়ে যেত একটা সময়ে। এই দেশে। পৃথিবীর অনেক দেশেই। শামুকে পা কেটে গিয়ে মানুষ মরে যেতে পারে বলে মনে হয় আপনার? আমরা জানি, সে প্রায় অসম্ভব এখনকার সময়ে।

অনেক দিন হল গড়পড়তা রোগের নামে আমাদের বুক কাঁপে না। আমাদের এতদিন ছিল স্বর্গবাসের দিন।কেননা আমাদের রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক। যাদুর গুলি।

যে দুঃসংবাদটি দিতে চাইছিলাম, সেটি হচ্ছে, অ্যান্টিবায়োটিকের স্বর্ণযুগ শেষ হয়েছে। আমাদের স্বর্গবাসের সময়ও শেষ হয়েছে। আমাদের নরক দর্শনের দিন এখন। তবে কিছু হিসেবে আমরা খানিকটা ভাগ্যবান। সত্যিকারের নরক দেখবে আমাদের সন্তানেরা। বস্তুত নরক তারা এখন থেকেই দেখতে শুরু করেছে।

তৃতীয় প্রজন্মের সেফালোস্পোরিন একটা খুব ভালো ওষুধ ছিল। জুটিবেঁধে থাকা গোল গোল এক ব্যাকটেরিয়া জাতের শেষ ওষুধ। আগে সেফালোস্পোরিন খেলে ব্যাকটেরিয়া চামড়া ফুটো হয়ে তার নাড়িভুড়ি বাইরে এসে পড়ত। গণোকক্কাল সংক্রমণের (যেমন, গণোরিয়া) শেষ ভরসা সেফালোস্পোরিন এখন আর আমাদের ভরসা যোগাতে পারে না। সেফালোস্পোরিন প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে গেছে সারা দুনিয়ায়। আর এখনো সারা দুনিয়ায় প্রতিদিন কম করেও ১০ লাখ মানুষ গণোরিয়ায় সংক্রামিত হয় !

কার্বাপেনেম/ইমিপেনেম জাতের অসাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক ছিল আমাদের। প্রাণঘাতি পেটের অসুখের ওষুধ (নিশ্চয়ই হেসে ফেলছেন অনেকে? পেটের অসুখে আবার মানুষ মরে নাকি! এতদিন মরত না পুরোন অ্যান্টিবায়োটিকের জোরেই) । শিশুদের নির্দিষ্ট কিছু সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, রক্তের সংক্রমণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে কার্বাপেনেম/ইমিপেনেম ছিল আমাদের বাঁচবার সর্বশেষ উপায়। এছাড়াও সেপ্টিসিমিয়ায় (যেখানে সমস্ত শরীর ইনফেকশনে সংক্রামিত) এটাই ছিল প্রধান ওষুধ। এখন অনেক ব্যাক্টেরিয়া এই জীবন দায়ী অ্যান্টিবায়টিকের বিরুদ্ধে রেসিসটেন্স তৈরী করেছে।

ফ্লোরোকুইনোলন নামের একটা অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএ এ বিরাট গন্ডগোল করে দিতে পারত। মুখ আর মূত্রনালীর সংক্রমণে অতি চমৎকার ওষুধ! এখনকার প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া ফ্লোরোকুইনোলনে ডুবেও মরবে না। আমাদের মায়েদের, মেয়েদের মুত্রনালীর সংক্রমনের ভয় সবচে বেশি । আমাদের শিশুদের রয়েছে মারাত্মক মুখের সংক্রমণের ভয়। আমরা কী করব এখন?

স্টেফাইলোকক্কাস অরিয়াস নামের একটা জাত রয়েছে ব্যাকটেরিয়ার। ল্যাবরেটরিতে খুব সহজে দারুণসব পরীক্ষা করা যায় একে নিয়ে, সে আর বলার নয়! এই জাতটাকে যখন পাওয়া যায় তখন পরীক্ষার পাত্রে স্বর্ণের মতো তাদের রং ছিল বলে এই জাতের নাম দেয়া হয়েছিল "অরিয়াস' (লাতিন শব্দ "অরাম' অর্থ স্বর্ণ)। আঙুরের মতো থোকা বেধে জটলা পাকিয়ে থাকে, আর দেখতে গোল বলে গোত্রের নাম হয়েছিল "স্টেফাইলোকক্কাস'। অতি চমৎকার ব্যাকটেরিয়া। বাস করে মানুষের ত্বকে। কিন্তু এরাই সামান্য কেটে গেলে অথবা নগন্য ক্ষত থেকে মানুষের জীবন নিয়ে নিতে পারে! এরা এই সময়ে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়াদের মধ্যে সামনের সারিতে রয়েছে!

এ সামান্যই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া তথ্য খানিকটা তুলে দিয়েছি। মূল রিপোর্টটা(https://apps.who.int/…/9789241564748_eng.pdf;jsessionid=711D…) পড়লে খানিকটা বিস্তারিত জানা যেতে পারে।

২০১৪ সালের শেষ হিসেব থেকে আমরা এখন জানি, সারা পৃথিবী অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জীবাণুতে ছেয়ে হয়ে গেছে! খুব সামান্য সংক্রমণ আর সাধারণ রোগেও এখন মানুষ মরে যাবে। যেমন হতো ৫০ বছর আগে। যেসব সাধারণ রোগকে আমরা পাত্তা দিতে শিখিনি, খুব অবাক হয়ে এখন আবিষ্কার করব সেইসব রোগেই আমাদের প্রিয়জনেরা মরে যাচ্ছে! অবাক করা বিষয় হচ্ছে পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাক্টেরিয়া সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ এবং তা যাচাইয়ের ব্যবস্থা নেই। তারমানে আমরা জানিও না ঠিক কী কী বিপদ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে! (সকল দেশেই ভারী আকারের প্রতিরক্ষা বাজেট রয়েছে! সত্যিকারের বুদ্ধিমান কোন প্রাণী যদি জানত আমরাও নিজেদেরকে বুদ্ধিমান বলে দাবী করি তাহলে কী হাসাহাসিটাই না তারা করত!)

ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হওয়ার বড় কারণ হচ্ছে তাদের জীবনের চক্র অতি দ্রুত ঘোরে। তারমানে তারা অতিদ্রুত বংশবৃদ্ধি করতে পারে।

জেনেটিক কোড, যাতে জীবনের নিয়ম লেখা থাকে, সে বদলায়। বদলানো কঠিন। কিন্তু বদলায়। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বদলে যায় প্রজাতির রকম। ব্যাকটেরিয়া যেহেতু দুচারদিনে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের যাত্রা পার করে ফেলে তাই তাদের জেনেটিক কোড বদলায় খুব দ্রুত। সেইজন্য তাদের ভেতর প্রতিরোধী জিন তৈরির সম্ভাবণাও বেশি।

এবং আমরা তাদেরকে সাহায্য করি। বুড়ো ডারউইনের কথা তো আপনারা জানেনই। প্রাকৃতিক নির্বাচনে যোগ্যরাই টিকে থাকে। আমরা সবাই মিলে প্রাকৃতিক নির্বাচনে খুব দ্রুত অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়াদের টিকে থাকার সুযোগ করে দেই। উদাহরণ দিয়ে বোঝাতে চেষ্টা করি।

ধরুন হারাধনের দশটি ছেলেকে ছেড়ে দেয়া হলো কলকাতা শহরে। তাদের আর দশটা মানুষের মতই অতি সাধারণ। কেবল তারা বিশেষ একটা জলের ফিল্টার বানাতে পারে যা আর কেউ পারেনা। এখন তাদের পক্ষে কলকাতা শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাচ্চাকাচ্চা নাতিপুতি মিলে কলকাতা শহরে রাজত্ব করবার সম্ভাবণা ১৫ লক্ষে ১ (ধরছি কোলকাতার জনসংখ্যা ১৫০ লক্ষ)। এতো কম সম্ভাবণা হলে সেটাকে পাত্তা না দিলেও চলে। এখন যদি একটা অজানা কারণে কোলকাতার জল বিষাক্ত হয়ে যায়? ওই একটি ফিল্টারের গুণে হারাধনের দশটি ছেলের কোলকাতা শহরের মালিক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবণা একশোভাগ।

আমরা যখন আমাদের পছন্দমতো অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাই তখন ওইরকম প্রাকৃতিক নির্বাচনে সাধারণ ব্যাকটেরিয়া মেরে প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়াদের টিকে থাকার এবং ছড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেই।

একটা অ্যান্টিবায়োটিকের পরিচিতি আমাদের কাছে কেবল একটি ওষুধ। কিনে খেলেই হয়। কিন্তু বস্তুত অ্যান্টিবায়োটিকে মহাভারতের গল্প থাকে। সব অ্যান্টিবায়োটিক সব ব্যাকটেরিয়াকে মারতে পারেনা, সবের মাত্রা এক নয়, সবের ক্ষমতা এক নয়, সবের কার্যপ্রণালীও ভিন্ন ! অ্যান্টবায়োটিক পরস্পরের বিরোধী হতে পারে, পরস্পরের সহযোগী হতে পারে। অন্য ওষুধ/পদার্থের উপস্থিতিতে কখনো ইতিবাচক কখনো নেতিবাচক আচরণ করতে পারে! একটা অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে দশটা মহাকাব্য লিখে ফেলা যায়। একশোটা জীবন পার করে দেয়া যায় একটা অ্যান্টিবায়োটিকের ঠিকুজি বুঝতে বুঝতে!

আমি বলছিনা সবাইকে অ্যান্টিবায়োটিকের মহাভারত মুখস্থ করে ফেলতে হবে। কিন্তু মানুষের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসটি অন্তত কীভাবে ব্যবহার করতে হয় সেই তথ্যটুকু জানার এবং সেটা মেনে চলার মতো বুদ্ধিমত্তা তো আমরা দেখাতেই পারতাম, তাইনা?

একটি ব্যাকটেরিয়ার একটি অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জিন থাকলে সেটা সে অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারে। তার নিজের বংশধরেরা তো সেই জিন পায়-ই। এমনকি সেই ব্যাকটেরিয়াটি যদি মরে ছাতু হয়ে যায় তবুও প্রকৃতিতে পড়ে থাকা তার প্রতিরোধী জিন তুলে নিয়ে কাজে লাগাতে পারে অন্য ব্যাকটেরিয়া! একটি ব্যাকটেরিয়া কীভাবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠতে পারে সেই তালিকা দেয়া তাই সহজ নয়!

সব মিলিয়ে সেজন্য আমরা নিশ্চিত জানি ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হবেই। কিন্তু আমরা সেই হার কমিয়ে আনতে পারি। তাদের ছড়িয়ে যাওয়া রোধ করতে পারি। আর পারি নতুন আরো শক্তিশালী, আরো বিশেষায়িত অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করতে! সেই ক্ষমতা আমাদের রয়েছে। কিন্তু এই পৃথিবীতে নতুন অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে গবেষণা হয় কতটা? আপনি সেই হিসেব নিজেই করতে পারেন। এই দেশের ১২৫ কোটি মানুষের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে গবেষণা করার মতো উচ্চতর গবেষণাগার একটিও নেই। একটি জাতির বুদ্ধিমত্তা যে কত করুণ কৌতুক হতে পারে সে জানতে আমাদেরকে দেখা যেতে পারে!

প্রসঙ্গত মনে পড়ল, আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। যুদ্ধবিমান রয়েছে। ধারণা করি, এইসব ক্ষেপণাস্ত্র কিনে বেড়ানো বুদ্ধিমানেরা ওই ক্ষেপণাস্ত্রে ভর করেই প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়াদের থেকে পালাবার চিন্তা করে নিশ্চিন্ত থাকেন! অথবা তারা নিজেরা যে কীরকম বিপদে রয়েছেন সে বুঝতে যেরকম বুদ্ধিমত্তা দরকার হয় ওনাদের বুদ্ধিমত্তা তার চাইতে খানিকটা বেশি বেশি!

×××

"ডিনায়াল'' পর্যায়ে যারা নেই তারা সম্ভবত এখন কী করা যেতে পারে বলে একটা প্রশ্ন করতে চাইছেন।

এই পৃথিবীর সকলে মিলে চেষ্টা করা যেত। এবং সেরকম হলে মানুষের টিকে যাওয়া খানিকটা নিশ্চিত হতে পারত। কিন্তু সে হয়নি। হবেও না। সেইজন্য কোন আশার বানী শোনাতে পারছি না।

আগে ভাবতাম, অসুখ-বিসুখ তো মানুষের হয়ই। কোন ভয়ঙ্কর কিছু যেন না হয় আমার স্বজনদের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই হিসেবটা আজ নাহোক কাল পেতে হবে সেটাও জানতাম। কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি দুঃসংবাদটা পেয়ে গেলাম বলে মনে হচ্ছে। যেসব ঠুনকো রোগকে পাত্তাই দিতে শিখিনি আমরা, সেইসব সামান্য সংক্রমণ থেকে কী বিপদ হতে পারে ভাবলে ভয়াবহ ক্রোধে মাথা বিস্ফোরিত হতে চায়!

বিশেষত যখন আমি জানি সবকিছুর পরেও কিছু বদলাবে না। পৃথিবীর শিক্ষা আর গবেষনা বাজেট কোন যাদুবলেই আশাপ্রদ হয়ে উঠবে না। পৃথিবীর নীতিনির্ধারকেরা কোন মন্ত্রেই মানুষের প্রতি মমতা দেখাতে শিখবে না!

দুটি উদাহরন


আমার এক ছাত্র ছিল।জীবনের একটা সময় আমার কাছে প্রায়ই এসে নিঃশব্দে কাঁদতো। কারন জানেন ? সেই সময় ওর মরনাপন্ন বাবার চিকিৎসা চলছিল।তাঁর জ্বর ছাড় ছিলনা। শেষে দেখা গেল তাঁর মেনিনজাইটিস হয়েছে। এবং CSF (পিঠের শিঁড়দাড়ার পাশ থেকে বের করা এক ধরনের ফ্লুইড,যা কিনা ব্রেন স্পাইনাল কর্ডকে ঘিরে রাখে) এর স্টাডি তে দেখা গিয়েছিল ওনার মেনিনজাইটিস্ হয়েছে এবং সেই সময় (২০০৭) বাজারে এভেলেবল সমস্ত অ্যান্টিবায়টিকের বিরুদ্ধে আক্রান্তকারী জীবানু রেসিসটেন্ট।
এখনও ছেলেটির কান্না আমার কানে ভাসে।


যতদিন যাচ্ছে,MDR( Multi Drug Resistant) TB রোগ বাড়ছে। কেন,তার কার্য্যকারনএ আমি যাবনা। তবে MDR TB সাঙ্ঘাতিক ভাবে ছড়াচ্ছে।চিকিৎসা তার আছে। কিন্তু অনেকাংশেই রোগী তা নিতে পারছে না। ফলতঃ XDR TB যা কিনা প্রায় সমস্ত ওষুধের বিরুদ্ধে রেসিসট্যান্ট এবং অবধারিত মৃত্যু।

চলুন ,আমরা সবাই বর্তমান প্রজন্মের এপিটাফ লিখি। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এক মৃত্যুময় ভবিষ্যত উপহার দিয়ে।
___________________________________

অধ্যাপক ডা. অনির্বাণ বিশ্বাস । কলকাতার প্রখ্যাত লোকসেবী চিকিৎসক। কবি। চিন্তক।

 

 

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়