Ameen Qudir

Published:
2018-03-15 15:49:41 BdST

ক্যানসার-কোষ নিধনের দাবি বাঙালি নিউরোসাইন্টিস্টের



ডেস্ক রিপোর্ট
কালীপদ পাহানের এই বিস্ময়কর আবিস্কারের কথা প্রথম জানান কলকাতার প্রখ্যাত সাংবাদিক সুনন্দ ঘোষ।
সাধারণ দেহকোষ প্রকৃতির নিয়মেই নির্দিষ্ট সময়ের পরে মরে যায়। অথচ মানবদেহের যে-কোষে ক্যানসার বাসা বাঁধে, তারা যেন কোন অদ্ভুত নিয়মে ‘অমর’! নিজেরা না-মরে রোগীকে মেরে ফেলে তারা। কিন্তু মরণশীল মানুষের দেহে ক্যানসার-আক্রান্ত কোষ সত্যি সত্যিই তো আর অমর হতে পারে না! এই যুক্তিতে ভর দিয়ে এগোতে এগোতেই ক্যানসার-আক্রান্ত কোষকে মেরে ফেলার বিকল্প উপায় তিনি বার করে ফেলেছেন বলে দাবি এক বাঙালি বিজ্ঞানীর।

শিকাগোর রাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-গবেষক কালীপদ পাহানের দাবি, তিনি ‘মোনোক্লোনাল’ নামে একটি অ্যান্টিবডি আবিষ্কার করেছেন, যা ক্যানসার কোষ নিধনে সাহায্য করবে। তাঁর দুই সহযোগীও বাঙালি— মধুচ্ছন্দা কুণ্ডু ও অভীক রায়। কালীপদবাবুর আবিষ্কারের বিষয়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রসিডিংস অব ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

ওই বিজ্ঞানী জানাচ্ছেন, ক্যানসার কোষকে কেমোথেরাপিতে জব্দ করার সময়ে প্রচুর সাধারণ সজীব কোষও মারা পড়ে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। গিনিপিগ ছাড়াও মানবদেহের লিভার, স্তন, প্রস্টেটের ক্যানসার কোষের উপরে তাঁর তৈরি অ্যান্টিবডি প্রয়োগ করে সদর্থক ফল মিলেছে। সাধারণ কোষ বাঁচিয়ে ক্যানসার কোষ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে। ফুসফুস ক্যানসারে কিন্তু ওই অ্যান্টিবডি কাজ করছে না।

মানবদেহের প্রতিটি সাধারণ কোষের নিজস্ব আয়ু থাকে। এক সময়ে নিজের থেকে মারা যায় তারা। কালীপদবাবু জানান, যে-কোষে গিয়ে ক্যানসার বাসা বাঁধে, সেই কোষ নিঃশেষে নিকেশ হচ্ছে না। তাঁর কথায়, ‘‘সাধারণ কোষের মতো ক্যানসার-আক্রান্ত কোষ মরে গেলে অনেক সুবিধা হবে। আমি প্রথমে খুঁজতে শুরু করি, ক্যানসার আক্রান্ত কোষ ‘অমর’ হয়ে যাচ্ছে কেন।’’

বিজ্ঞানী জানান, যে-মলিকিউল বা সাইটোকাইন দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে, তার পরিবারের চার সদস্য। তিন সদস্য সক্রিয়, এক জন নিষ্ক্রিয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সাইটোকাইনের নিষ্ক্রিয় সদস্য ক্যানসার-আক্রান্ত কোষে সক্রিয় হয়ে প্রচুর মাত্রায় বংশবৃদ্ধি শুরু করে। সেই নিষ্ক্রিয় সদস্যই অতি সক্রিয় হয়ে ক্যানসার-আক্রান্ত কোষকে বাঁচিয়ে রাখছে। এটাই ক্যানসার কোষের ‘অমরত্ব’-এর রহস্য। ওই বিজ্ঞানীর দাবি, তাঁর তৈরি অ্যান্টিবডি ওই নিষ্ক্রিয় সদস্যকে বংশ বিস্তার করতেই দেয় না। সেই অ্যান্টিবডি মানবশরীরে ঢোকালে আর-দশটা সাধারণ কোষের মতোই ক্যানসার কোষ নিকেশ হয়ে যাচ্ছে। এমনকী ক্যানসার-আক্রান্ত কোষ ছড়িয়েও পড়তে পারছে না।

কালীপদবাবুর দাবি, ওষুধ সংস্থার সঙ্গে তাঁর কথা চলছে। ওষুধ সংস্থা তাঁর কাছ থেকে পেটেন্ট কেনার পরে ওই ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করবে।

‘‘অনেক গবেষণাই তো হচ্ছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ছাড়পত্র পাওয়ার আগে যে-কোনও গবেষণার স্বীকৃতি নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই,’’ বলছেন ক্যানসার চিকিৎসক সৈকত গুপ্ত। চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালের অধিকর্তা তাপস মাজির বক্তব্য, কালীপদবাবুর দাবি সত্যি হলে সেটা সকলের পক্ষেই অত্যন্ত উপকারী হবে। কলকাতায় টাটা ক্যানসার হাসপাতালের অধিকর্তা মামেন চান্ডি জানান, ক্যানসার কোষ মেরে ওই রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি বেরিয়েছে। তাতে অন্য কোষের ক্ষতি হবে না। কালীপদবাবুর গবেষণাকেও স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

কে এই কালীপদ পাহান

Kalipada Pahan, Ph.D.
Professor of Neurological Sciences, Biochemistry and Pharmacology
Floyd A. Davis, M.D., Endowed Chair of Neurology

Research Scientist at the Jesse Brown VA Medical Center

Dr. Pahan was born in 1964, he received a BS (Chemistry) in 1985, MS (Biochemistry) in 1987, and PhD (Biochemistry) in 1992 from the University of Calcutta, India.

The same year he joined the Department of Pediatrics, Medical University of South Carolina, as a postdoctoral fellow. In 1996, he was promoted to Instructor and later in 1998, he was promoted to Assistant Professor in the same Department.

In 1999, he moved to the Department of Oral Biology of the University of Nebraska Medical Center (UNMC) as an Assistant Professor of Biochemistry where he was promoted to Associate Professor in 2002.

He is the recipient of the “D. H. Reinhardt Scholar” Award from the UNMC College of Dentistry and the “Silver U Award” from the UNMC Chancellor’s Council.

As a teacher of Biochemistry, he received the outstanding teaching award from the UNMC College of Dentistry.

He also received the Zenith Fellows Award from the Alzheimer’s Association.

Additional information about Dr. Pahan is available on the Rush University website.

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়