Ameen Qudir

Published:
2017-07-19 16:15:59 BdST

কিডনী আইন নিয়ে একটি অতি জরুরি মানবিক আবেদন


 

 

অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক
_____________________________


কিডনিট্রান্সপ্লান্ট করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে; বারডেম, কিডনী ইনস্টি টিউটে; এসব সবই আলাভজনক, সরকারী, আধাসরকারি প্রতিষ্ঠান।


ডাক্তাররা এখান থেকে বানিজ্য (হলুদ সাংবাদিকের প্রিয় ভাষা) করেন না।


দীর্ঘ ৫/৬ ঘন্টার অস্ত্রোপচার এর পুরো সময়টা দাড়িয়ে থাকতে হয়। আর সীমাহীন উদ্বেগ?
সেটা দায়িত্বশীল ডাক্তাররাই কেবল জানেন।


দায়িত্ব হীন মিডিয়া, একটা self defeating কাজ করেছে, যা তাদের নিজের মা,বাবা, আত্মীয়স্বজনদের প্রয়োজনের সময় বুঝতে পারবেন।

 

জয়পুরহাটে হাজার হাজার মানুষের কিডনী কেটে নেয়ার জন্যে বাংলাদেশের ডাক্তারদের দোষী করে মাতম করায়,
মা/বাবা/ভাই/বোন এমন নিকট আত্মীয় কারো ছাড়া kidney নেয়া যাবে না, এমন রায়

এবং এর ফলে সরকারী সিদ্ধান্ত, আসায় kidney বদলের operation একে বারেই কমে গেছে।
দক্ষ ডাক্তার অাছেন ; দরকারি মেডিকেল ইকুইপমেন্টস আছে; রোগী আছে। তারপরও সেবা বন্ধ।


নিবেদিত সার্জনরা দক্ষতা হারাবেন, প্রচুর operations এ লেগে না থাকলে।

 

সব যাবে পাশের অন্য দেশে , ৯/১০ লক্ষ বৈদেশিক মুদ্রা বেরিয়ে যাবে প্রতি রুগীতে।

 

(জয়পুরহাট এর পেট কাটা লোকগুলো পাশের দেশেই গিয়েছিলো, ৫ লাখ টাকার কথা বলে ৫ হাজার টাকা ধরিয়ে বিদায় করা হয়েছে,( ঔ সময়ে আমাদের দেশে operation শুরুই হয়নি, )।৩০ মিনিট পরেই kidney যে নষ্ট হয়ে যায়, দাতাকে OT তে পাশের বিছানায় থাকতে হয়,অনেক দিন হেকে matcing এর জন্যে এক সংগে থাকতে হয়, সব জেনেও মিডিয়া বাংলাদেশের ডাক্তার দের দিকেই ইংগিত, করতেই থাকে। কী যে ভয়াবহ দেশ বিরোধী কা; সময়েই তারা বুঝতে পারবেন।

বর্ত'মানে দেশে operation করা প্রায় সকল রোগীই বেচে আছেন। এটা একটা পরম স্বস্তির খবর।তবে সবই হয়েছে আত্মীয় স্বজন এর মধ্যে।

সম্প্রতি সরকার এক বিধিমালা প্রকাশ করেছেন।আইন এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এটা চমৎকার এবং প্রশংসনীয় ভাবেই হয়েছে।

কিন্ত ধরুন আপনার, আমা্‌র, এমন নিকটাত্মীয় নাই, বা সঙ্গত কারনে kidney দানে অনিচ্ছুক , অথচ অনাত্মীয় এর কাছ থেকে matching এ মেলে, এমন আগ্রহি কারো কাছ থেকে দান বা ক্রয় করে মুল্যবান জীবন রক্ষা করতে পারার প্রচেষ্টা এই আইনে রুদ্ধ উল্টো জেল জরিমানা।

অনৈতিক ভাবে , মিথ্যাচার করে , জোর করে , চালাকি করে, ঠগিয়ে কিডনিটি কারো কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে কি না, এটা ঠিক মত দেখা হয় না,এজন্য হয়ত আদালত এটা বন্ধ করেছেন।

দেশের এতো চৌকস আইন শৃঙ্খলা রক্ষা কারি বাহিনী, ও দায়িত্ব পূর্ণ ম্যাজিস্ট্রেট- এর অনুমতি নিয়ে এটা করালেই সব সমাধান হবেই।মাথা ব্যাথার জন্যে মাথা কেটে ফেলা কি সমুচিত হতে পারে।

ভুক্তভোগী রুগীরাই ,মাননীয় আদালতে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে নিশ্চিত অনুমতি বিবেচিত হবে মনে করি।
সারা দুনিয়া জুড়ে এরকম ই আইন বিদ্যমান।

বিদগ্ধ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী রা সকল অসহায়ের স্বার্থে, , জনমত সৃষ্টি করে একটা মঙ্গলময় আইনি সংশোধনীর জন্য কাজ করতে পারেন।

_________________________________

লেখক অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক । দেশের প্রখ্যাত লোকসেবী চিকিৎসক। সুলেখক ।
FCPS FRCP(uk)DDV(austria)
Skin & Sexul medicine specialist
Popular Dhanmondi 2

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়