Ameen Qudir

Published:
2017-06-14 18:15:50 BdST

প্রতিদিন ১০০০০ রোগী: সেটা বিবেচনায় নিন:পরে না হয় হৃদয়হীন মন্তব্য করুন


 


অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক
___________________

 

২৬০০(এটা সরকার নির্ধারিত সিট সং খা) রুগীর খাবার খাবেন ৪৫০০ রুগী (এতো জন এ মুহূর্তে ভর্তি আছে) ঢাকা মেডিকেল এ। খাবার অকল্পনীয় ভাবে কম পড়বে, কিন্তু কি হবে সমাধান? আপনি বলুন দেখি ।

 

৮০০ রুগী দেখার জনবলের এই হাসপাতালে প্রতিদিন রুগী দেখা হয় ১০০০০। এক রাতে সিজার অপারেশান (১/২ ঘণ্টা দাড়িয়ে থাকতে হয় প্রতি রুগির জন্যে) হয় প্রায় ৩০ টি।
৪/৫ জন ডাক্তার । emergency থেকে আসা trolley তেই ডেলিভারী করাতে হয়। জায়গা নাই।১৪০০ রুগীর হাসপাতালকে কাগুজে ২৬০০ বানাবার আদেশ দিয়েই খালাস।

গভীর রাতে ভর্তি হয়া অতি খারাপ স্বজন হীন রুগীকে রক্ত দেয় মেডিকেল hostel থেকে ছাত্রদের কেউ না কেঊ, নিয়মিত।

আর কত হলে সহানুভূতি পাওয়া যেতে পারে? emergency তে প্রতি শিফটে ৭০/৮০ রুগী আসেন, ডাঃ মাত্র দু জন!

 

জনগনের জন্যে অকল্পনীয় বার্তা হল, হাসপাতালের কোনও সমস্যা সমাধানই কর্মরত চিকিৎসক এর হাতে নাই। এটা secretariat এর বারান্দায় রয়েছে। সাধারনের জানাও নাই !

 

CMH এর মত হাসপাতালে, যেখানে সব কিছু ডাঃ রা দেখেন, সেখানে সবই ছিম ছাম। যন্ত্র পাতি কেনা হয়েছে প্রয়োজন মত। এসব নষ্টও হয় না সহজে( মানুষ জানেও না সরকারি হাসপাতালে এগুলো কেনায় ডাঃ এর হাত নাই, maintenance এও থাকে না ।

কোন যন্ত্র কিনবেন তাতেও ব্যবহার কারি ডাঃ এর অংশগ্রহন নাই। (বিখ্যাত 'তালাশ ' টিম এর পাবনার পরম সৎ civil surgeon এর পরিনিতি দেখে থাকবেন)।

 

 

 

ধারন ক্ষমতার তিন/চার গুন রুগীর পরিচর্যায় ক্লান্ত ডঃ / নার্স হয়ত প্রত্যাশা মত সেবা দিতে পারেননি , দিনের পর দিন চলা অতিরিক্ত শ্রমে।

তবে শত কষ্টেও রুগিকে বুঝিয়ে বলার কাজটি করা, জনগণকে এই অপর্যাপ্ততা বুঝিয়ে বলা,তাদের আস্থায় রাখা এটা করতে হবেই।

ডাঃ দের সকল কিছুর জন্যে দায়ী করা যে সম্পুন' ভুল, এটা জনগন জানেনই না।
ডাক্তারদের সকল দাবী জনগণকে , এর প্রয়োজনীয়তা, বিরাজমান বাস্তবতা , বুঝিয়ে, তাদের বিবেকবান প্রতিনিধি দের নিয়েই শুধু যে কঠোর, ও যৌক্তিক আন্দোলনে; দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া ডাঃ দের এর সমাধানে নামতে হবে। তবেই হয়তো এটা সফল হবে।

 

জনগন, যেনও বুঝতে পারে শেষ পর্যন্ত ,সবই হবে জনগনের মঙ্গলের জন্যেই। এ না হলে বহু বছর আাগে prof majed ( the then BMA president ) এর সময়ে তীব্র আন্দোলন সফল হলেও, জনগনের সমর্থন পায়নি।এবং সুচতুর পক্ষ( হলুদ সাংবাদিক, আমলা), এটাকে সমগ্র নিবেদিত ডাঃ সমাজের বিপক্ষে, ক্ষতিকর ভাবে ব্যবহার করেছিলো।

সারাটা দুনিয়াময় ডাঃ দের আর সকলের মত দু দিন ছুটি। সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ। এর বেশি হলে আনুপাতিক হারে সন্মানি। এই বাংলাদেশেই এটাই নিয়ম অন্য সব চাকরিতে। ক্লান্তিকর ৫ দিন পর আবার আনন্দ, উৎসাহে কাজের মান ভাল হয়। শুধু ডাঃ রা বাদ।তাদের ছুটি নাই। এই দিনের বাড়তি বেতন নাই।
এমন অবস্থার বিষযে নিজে খোঁজ নিন, বিবেচনায় নিন।পরে নাহয় হৃদয়হীন মন্তব্য করুন।

____________________

লেখক অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক । দেশের প্রখ্যাত লোকসেবী চিকিৎসক। সুলেখক ।
FCPS FRCP(uk)DDV(austria)
Skin & Sexul medicine specialist
Popular Dhanmondi 2

প্রাক্তন অধ্যাপক ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়