Ameen Qudir
Published:2017-04-11 13:51:44 BdST
নেশার জন্য পেশা বদল
ছবির ছেলেটি শহিদুল ইসলাম----------------------
মোহাম্মদ মোহসিন
_____________________________
ছবির ছেলেটি শহিদুল ইসলাম। পড়ত রহমানিয়া স্কুলে। সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীন সময় একদিন মামাতো বোন রানুর কাছে যায় সে। মামাতো বোন রানু খুবই আদর করত শহিদকে। বাসায় গেলেই এটা খাওয়ায় , সেটা খাওয়ায়, এটা দেয়, সেটা দেয়। তাই সুযোগ পেলেই রানুর বাড়িতে এভাবে ঢু মারতো শহিদ। যাই হোক, রানুর বাড়িতে যাওয়া মানেই সারপ্রাইজ। কিছু না কিছু সারপ্রাইজড গিফট নিয়েই বাড়ি ফিরে শহিদ। কিন্তু সেদিনের সারপ্রাইজ বিগত দিনের সব সারপ্রাইজকেই হার মানাল।
দুপুরে না খেয়ে আসা শহিদকে ইয়াবা দিয়ে আপ্যায়ন করল রানু!!!! সেই থেকে শুরু....
এমন আপ্যায়নের লোভে স্কুলের চেয়ে রানুর বাসাতেই নিয়মিত হওয়া শুরু করে শহিদ।কিন্তু শহিদকে আপ্যায়ন করতে গিয়ে নিজেই উপোস থাকার জোগাড় রানুর। তাই এক সময় রানুর দরজা বন্ধ হয়ে যায় শহিদের জন্য। এবার সে নিজেই নেমে পড়ে সেই গোলাপী বড়ির খোঁজে। প্রথম কয়েকদিন বাসা থেকে চুরি করেই কাজ সারে। কিন্তু বাড়িতে আর কত টাকাই বা থাকে? তাই নেমে পড়ে বিকল্প পথে। প্রথমে প্রতিবেশী বাসা, এরপর প্রতিবেশী ভবন, এভাবে শেষে পুরো এলাকার মানুষের বাসায় চুরি করা শুরু করে সে। কয়েক মাসের ব্যবধানেই ছাত্র থেকে পেশাদার চোরে পরিণত হয় সে!! মামাতো বোন রানুর একদিনের আপ্যায়নে ছাত্র শহিদ বনে যায় চোর শহিদ।
দীর্ঘদিন পর সেই শহিদুলকে আটক করেছে বায়েজিদ বোস্তামি থানা।তার কাছ থেকে আরও কিছু রানু ও শহিদের তালিকা পাওয়া গেছে। উপরের কথাগুলো তার কাছ থেকেই শোনা। তাই আবারো সেই চর্বিত চর্বন, আপনার সন্তান ভাই বোনের খবর রাখুন। তারা কোথায় যায়, কী করে , কার সাথে কথা বলে তা খেয়াল রাখুন। সন্দেহজনক কিছু দেখলে আমাদের জানান। আপনার সন্তানকে সুপথে আনার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
____________________________
লেখক মোহাম্মদ মোহসিন। অফিসার ইন চার্জ, বায়োজিদ বোস্তামি থানা, চট্টগ্রাম।
আপনার মতামত দিন: