Ameen Qudir

Published:
2016-12-19 03:05:55 BdST

১১স্বামীর দুষ্টু বউ : একেই বলে চালবাজ সুন্দরী


 
ডেস্ক রিপোর্ট
__________________

১১ জনকে বিয়ে ! চাট্টিখানি কথা নয়। বিয়ে করেই শেষ নয়, তাঁদের টাকাপয়সা, গয়না হাতিয়ে পালাত ২৩ বছরের সুদর্শনা মেঘা। তিনি এতটাই ধুরন্দর যে দুঁদে পুলিশ অফিসারদেরও নাকানি চোবানি খেতে হয়েছে তার কাছে।

সোনম কপূরের অভিনীত ‘ডলি কি ডোলি’ ছবিটা মনে আছে তো? ঠিক সে রকমই ফিল্মি কায়দায় অসহায় পুরুষদের শিকার বানানোর জন্য ফাঁদ পাতত মেঘা।

নয়ডার বাসিন্দা মেঘনা ভার্গব। থাকে দিদি আর জামাইবাবুর সঙ্গে। সেখান থেকে পাড়ি দেয় কেরলে। শিকারের খোঁজে নেমে পড়ে সে। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে এই কাজে সাহায্য করত মহেন্দ্র নামে এক যুবক। সে খুঁজে খুঁজে সেই পুরুষের খবর দিত মেঘনাকে যাঁদের বয়স হয়ে গিয়েছে, অথচ বিয়ে হয়নি, ডিভোর্সি পাত্র। আবার যাঁদের গায়ের রং কালো, ভাল পাত্রী পাচ্ছেন না। এমনকী শারীরিক ভাবে অক্ষম পুরুষদের কাছে নিজের রূপের ললনায় মন ভুলিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিত। তবে খেয়াল রাখত এরা সবাই বিত্তবান কিনা! সেই বুঝেই সে দিকে পা বাড়াত মেঘনা।
এক এক করে ১১ জনকে তাঁর রূপের ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা আর গয়না।

 

এ রকমই কেরলের এক ব্যক্তি লরেন জাস্টিনকে ফাঁদে ফেলে মেঘনা। বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যে ১৫ লক্ষ টাকার গয়না নিয়ে উধাও হয়ে যায় সে। জাস্টিন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। কেরলে এ রকম বেশ কয়েকটি অভিযোগ আগেই পুলিশের কাছে জমা পড়েছিল। কিন্তু নাগালে পাচ্ছিল না অপরাধীকে। খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানতে পারে নয়ডাতেও এ রকম কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। আর প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে মিল রয়েছে। কেরল পুলিশ নয়ডা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। শুরু হয় যৌথ তল্লাশি। তল্লাশি অভিযানে নেমে পুলিশের হাতে মহেন্দ্র নামে এক যুবকের নাম। তাঁর খোঁজ নিয়ে গতিবিধির উপর নজর রাখতে শুরু করে পুলিশ। সুযোগ বুঝে তাঁকে ফাঁদে ফেলে গ্রেফতার করা হয়। মেঘনার ডান হাত গ্রেফতার হতেই আসল গল্প বেরিয়ে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় মহেন্দ্র তাদের জানায় সে-ই নাকি মেঘনার জন্য বিত্তবান অসহায় পুরুষদের খুঁজে দিত। বিয়ের পর মেঘনা পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে তাঁর ‘স্বামী’দের খাওয়াত। তার পরই সব কিছু হাতিয়ে পগারপার।
_________________
ছবি প্রতিকী

আপনার মতামত দিন:


বিনোদন এর জনপ্রিয়